ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক-এর মধ্যে পার্থক্য কি? -নতুন তথ্য

ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক-এর মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক-এর মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক-এর মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক-এর মধ্যে পার্থক্য কি? -নতুন তথ্য

ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক-এর মধ্যে পার্থক্য কি?

ইন্টারনেটনেটওয়ার্ক
যখন দুটি বা দু’রও বেশি কম্পিউটার বা ডিভাইস একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে যাতে তারা ডেটা এবং তথ্য বিনিময় করতে সক্ষম হতে পারে বলে বলা হয়।অন্যদিকে, ইন্টারনেট একে অপরের সাথে সংযুক্ত নেটওয়ার্কের একটি গ্রুপ এবং নেটওয়ার্ক।
ইন্টারনেট পুরো বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকেএকটি নেটওয়ার্ক সীমিত পরিমাণের ক্ষেত্রটিকে কভার করতে পারে।
ইন্টারনেটের জন্য ব্যয়বহুল ইন্টারনেট নেটওয়ার্কিং ডিভাইস প্রয়োজন।তবে তিন থেকে চারটি ডিভাইস সংযুক্ত একটি সাধারণ নেটওয়ার্ক সস্তা হতে পারে ।
ইন্টারনেটে বিভিন্ন ব্যয়বহুল নেটওয়ার্কিং ডিভাইস প্রয়োজন হয়।তবে নেটওয়ার্ককে কম সংখ্যক এবং ধরণের নেটওয়ার্কিং ডিভাইস প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারে।
 ইন্টারনেট হলো অনেক নেটওয়ার্কের মধ্যে একটি সংযোগ মাত্র।  নেটওয়ার্ক একাধিক কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক-সক্ষম ডিভাইসগুলির মধ্যে একটি লিঙ্ক মাত্র ।

নেটওর্য়াক

একটি কম্পিউটার যখন এক বা একাধিক কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হয়ে তথ্য আদানপ্রদান করে তখন থাকে নেটওর্য়াক বলে। নেটওর্য়াক করার জন্য ন্যূনতম দুটি কম্পিউটার প্রয়োজন। নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ : নেটওয়ার্কে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

  1. LAN
  2. MAN
  3. WAN Local Area Network

LAN একই বিল্ডিং এর মাঝে অবস্থিত বিভিন্ন কম্পিউটার নিয়ে গঠিত নেটওয়ার্রকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। এই নেটওয়ার্ক এর ডাটা ট্রান্সফার গতি ১০এমবিপিএস। এই নেটওয়ার্ক এ ব্যবহিত ডিভাইসগুলো হলো রিপিটার, হাব, নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস ইত্যাদি। MAN একই শহরের মধ্যে অবস্থিত কয়েকটি ল্যানের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারফেসকে বলা হয় মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক । এ ধরনের নেটওয়ার্ক ৫০-৭৫ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। এই নেটওয়ার্কর ডাটা ট্রান্সফার স্পিড গিগাবিট পার সেকেন্ড। এ ধরনের নেটওয়ার্ক এ ব্যবহিত ডিভাইস গুলো হলো রাউটার, সুইজ, মাইক্রোওয়েভ এন্টেনা ইত্যাদি। WAN দূরবর্তী ল্যানসমূকে নিয়ে গড়ে উঠা নেটওয়ার্ককে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। এ ধরনের নেটওয়ার্ক এর ডাটা ট্রান্সফার স্পীড ৫৬ কেবিপিএস থেকে ১.৫৪৪ এমবিপিএস। ওয়্যানের গতি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে।

ইন্টারনেট

ইন্টারনেট হলো পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। অন্যভাবে বলা যায় – বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেকগুলো নেটওয়ার্কের সমন্বিত ব্যবস্থার নামই ইন্টারনেট। আনেক গুলো কম্পউটার এক সাথে যুক্ত করে একটি নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত করে আর একটি নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত করাই হলো ইন্টারনেট।তাই একে ইন্টারনেটওয়ার্কিং ও বলা হয়। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেল্-স এর UCLA ল্যাবরেটরিতেএটি সর্বপ্রথম আরপানেট(Arpanet-Advanced Research Projects Administration Network) দিয়ে যাত্রা সুরু করে। ইন্টারনেট সংযোক ২ প্রকার?

  • অনলাইন(Online)
  • অফলাইন(offline)

আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক-এর মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক-এর মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)

Leave a Comment