খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০-৩০০ অব্দে সামাজিক অবস্থা : বৈষ্ণব ধর্ম ও শৈবধর্ম

আমাদের সবার ইতিহাস জানা দরকার। তার মধ্যে “খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০-৩০০ অব্দে সামাজিক অবস্থা : বৈষ্ণব ধর্ম ও শৈবধর্ম” এই বিষয়টি অবশ্যই জানতে হবে। এটি জানলে আপনার ইতিহাস সম্বন্ধে আরো ধারণা বেড়ে যাবে। আসেন যেনে নেয়।

বৈষ্ণব ধর্ম

খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০-৩০০ শতকের অন্তর্বর্তীকালে ধর্মচিন্তায় নতুনত্ব দেখা যায়। বৈদিক ধর্ম ছিল প্রধান। উপনিষদের যুগে তা হয় কর্মপ্রধান। এখন জ্ঞান ও কর্ম ভক্তিপ্রধান হয়ে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, যা ব্যাপক অর্থে ‘পৌরাণিক যুগ’ নামে খ্যাত। এই পর্যায়ে মহাজ্ঞানী ঋষিরা উপলব্ধি করেন যে, ধর্ম ও শাস্ত্রকে ভক্তির মাধ্যমে প্রচার করতে না পারলে সমাজকে ধর্মের বন্ধনে বেঁধে রাখা সম্ভব হবে না। উপনিষদের যুগেই নির্গুণ ব্রষ্ম থেকে সগুণ ব্রহ্মের ধারণা রূপ পেতে শুরু করে। শাণ্ডিল্য ঋযি এই ভক্তিমার্গকে গ্রহণ করে ধর্মশাস্ত্রে ভক্তিবাদকে উচ্চাসন দান করেন। এই দিক থেকে ভক্তিমার্গকে বেদ-উপনিষদ থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি ধারণা মনে করা অযৌক্তিক এবং অবতারবাদ ও প্রতিমা পূজার প্রচলনকে বেদ ও বেদান্তের অন্যতম পরিণতি বলা যায়। ভগবদ্গীতা ও ভাগবত পুরাণের মাধ্যমে অবতারকেন্দ্রিক ভক্তিবাদের ধারা বিশেষ জনপ্রিয়তা ও প্রচার লাভ করে। এই ধারার অন্তর্গত পাঁচটি জনপ্রিয় ধর্মগোষ্ঠী হল—বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত, সৌর ও গাণপত্য। এদের মধ্যে আবার প্রথম তিনটি শাখার অনুগামীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি। প্রসঙ্গত স্মরণীয় যে, ভাগবতীয় ধর্ম বলতে কেবলমাত্র ভাগবত পুরাণভিত্তিক বৈষ্ণব ধর্মকে বোঝায় না। বৈষ্ণব, শৈব, শাক্ত ইত্যাদি ভক্তিবাদী সমস্ত ধারাই ভাগবত ধর্মের অন্তর্গত। অবশ্য সম্প্রতি কেবল বৈষ্ণবধর্মের অনুষঙ্গেই ভাগবত কথাটি প্রয়োগ করা হয়।

বৈষ্ণবধর্মের আরাধ্য দেবতা হলেন বিষু বা বাসুদেব। বৈষুববাদ ক্রম-বিকাশের ধারায় কৃয় ও বাসুদেব এবং বিয়ু ও নারায়ণ অভিন্ন বলে সনাক্ত হন। বৈদিক যুগে দেবতা হিসেবে ‘বিষ্ণু’র উল্লেখ আছে। আবার ছান্দোগ্য উপনিষদে কৃয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। মহাভারত ও পুরাণের মানুষ বাসুদেব এবং কৃয় অভিন্ন বলে চিহ্নিত হন। ব্যক্তি বাসুদেবের উপর দেবত্ব আরোপিত হবার কারণে তিনি ‘ভাগবত’ বলে অভিহিত হন। এই কারণে তাঁর অনুগামীরা ভগবতীয় নামে পরিচিত হন। আবার বাসুদেব ও বিষ্ণু (নারায়ণ)-কে অভিন্ন কল্পনা করায় এঁর অনুগামীরা বৈষ্ণব নামে অভিহিত হন। বৈষ্ণব ধর্মের উদ্ভব প্রসঙ্গে অধ্যাপক নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য লিখেছেন, “ভাগবত বা বৈষ্ণব ধর্মের উদ্ভব হয়েছিল পশ্চিম-ভারতে এবং এই ধর্মের আদি প্রবক্তারা ছিলেন সম্ভবত যাদব উপজাতির ভাঙনের যুগের মানুষ। এই ধর্মের প্রাথমিক পর্যায়ে এই উপজাতির প্রাচীন কতিপয় বীরপুরুষ বাসুদেব ও তাঁর জ্ঞাতিরা দেবতার পর্যায়ে উন্নীত হন। কালক্রমে তাঁদের প্রধান দেবতা বাসুদেব কৃষ্ণ সুপ্রাচীন বৈদিক দেবতা বিষ্ণুর সঙ্গে অভিন্ন ঘোষিত হন। বৈদিক দেবগোষ্ঠী থেকে এঁরা বিষুকে বেছে নিয়েছিলেন সর্বশক্তিমান একেশ্বর হিসেবে এবং সেই কারণেই ভাগবত ধর্ম পরবর্তী পর্যায়ে বৈষ্ণবধর্ম রূপে খ্যাত।”

প্রাপ্ত উপাদান থেকে ঐতিহাসিকদের অনুমান খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম শতক থেকে মানুষ বীর বাসুদেবের উপর দেবত্ব আরোপের সূচনা হয়েছে। ঐ সময়ে রচিত পাণিনির ‘অষ্টাধ্যায়ী তে এর প্রথম আভাস পাওয়া যায়। মেগাস্থিনিসের বিবরণ থেকে এই বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন, মথুরা অঞ্চলের অধিবাসীরা ‘হেরাক্লেসের’ প্রতি বিশেষ অনুরক্ত ছিলেন। গ্রীকবীর হেরাক্লেস-এর জীবন ও কাজের সাথে মহাভারতের কৃষ্ণের জীবন ও জীবিকার অনেক মিল আছে। যেমন উভয়ে ছিলেন কৃষ্ণবর্ণ, উভয়েই সর্প নিধন করেছিলেন, উভয়ের মৃত্যু ঘটেছিল গোড়ালিতে বিষক্রিয়ার ফলে ইত্যাদি।

বৈদিক দেবতা ইন্দ্ৰ, বরুণ প্রমুখের স্থানচ্যুতি এবং সেই স্থানে কৃষ্ণের প্রতিষ্ঠার পশ্চাৎপটে বস্তুগত পরিবর্তন গুরুত্বপূর্ণ। বৈদিক ধর্মে যজ্ঞ ও পশুবলির মাধ্যমে ইন্দ্র, বরুণ প্রমুখ দেবতার আরাধনা করা হত। পরবর্তীকালে কৃষিভিত্তিক জীবনধারার সূচনা ঘটলে গো-হত্যা অনাকাঙ্ক্ষিত হয়ে পড়ে। ফলে গো-সম্পদের রক্ষক ও পালক হিসেবে কৃষ্ণের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। আঞ্চলিক ধর্মবিশ্বাসের সাথে বৈদিক দেবতা বিষ্ণুর একীকরণ প্রক্রিয়াও বৈষ্ণববাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করেছিল। অধ্যাপক সুনীল চট্টোপাধ্যায়-এর মতে, ব্যুহবাদ ও অবতারবাদের মাধ্যমে এই সমন্বয় সম্ভব হয়েছিল। তিনি লিখেছেন, “সর্বশক্তিমান ঈশ্বর নারায়ণ-বিষু চারটি ভিন্ন ভিন্ন রূপে (ব্যুহে) নিজেকে প্রকাশ করেন। এর ফলে বিভিন্ন আঞ্চলিক দেবতা বিষ্ণু-ধারণার অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছিলেন। এই আঞ্চলিক দেবতাদের অন্যতম ছিলেন বাসুদেব। বাসুদেবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কৃষক সম্প্রদায়ের উপাস্য সঙ্কর্ষণও (বলদেব) এইভাবে বৈষ্ণবধর্মের অঙ্গীভূত হয়েছিলেন। কৃষ্ণ সম্পর্কেও একই প্রক্রিয়া কাজ করেছিল।”

ভাগবত ধর্মের প্রধানতম তাত্ত্বিক ভিত্তি হল ভগবদ্গীতা। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুনের দ্বিধাগ্রস্ততা ও তাঁর নানা প্রশ্নের উত্তর শ্রীকৃষ্ণের মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়ে জীব ও জগতের সম্পর্ক ও মুক্তির পথ নির্দেশ এই গ্রন্থের বিষয়বস্তু। সেই সময় বৈদিক কর্মবাদ, সাংখ্যের প্রকৃতিবাদ, উপনিষদের প্রকৃতিবাদ, যোগানুশাসন, প্রতীক উপাসনা, অবতারবাদ ইত্যাদি ধর্মের নানা ধারা প্রচলিত ছিল। এই অনুশাসনগুলির মধ্যে বৈচিত্র্য ও বিরূপতা ছিল স্পষ্ট। ফলে মানুষ ছিল বিভ্রান্ত। কর্ম বড় না জ্ঞান বড় এই প্রশ্নে মানুষ ঘোর বিভ্রান্তির মুখে পড়েছিল। গীতা এই বিরোধের অবসান ঘটায়। নিষ্কাম কর্ম ও আত্মজ্ঞান যে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করে গীতা বিভ্রান্তির অবসান ঘটায়। কর্ম বন্ধন সৃষ্টি করে না, বন্ধনের উৎসস্থল কর্মফলের চেতনা। নিষ্কাম কর্মের প্রতি আসক্তি স্বাভাবিক। সমস্ত কর্মের একটাই প্রেরণা থাকবে এবং তা হল আত্মজ্ঞান বা আত্মশুদ্ধি অর্জন করা। এই আত্মজ্ঞানের দ্বারাই ব্রষ্মত্বলাভ সম্ভব। গীতার বাণী খুব সহজেই সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে। চর্চা, ক্রিয়া, যোগ ও জ্ঞান—এই চারটি মার্গ অনুশীলন বৈষ্ণবধর্মের প্রধান আচরণ হিসেবে গৃহীত হয়।

পাণিনির ‘অষ্টাধ্যায়ী’ (খ্রিঃপূঃ ৫ম শতক) বা মেগাস্থিনিসের রচনায় (খ্রিঃপূঃ ৪র্থ শতক) ভাগবত সম্প্রদায়ের উল্লেখ থাকলেও, সম্ভবত খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতকের আগে ভারতে ভাগবত বৈষ্ণব ধর্ম দৃঢ় ভিত্তি পায়নি। প্রাথমিক পর্বে উত্তর-ভারতের মথুরা ও মধ্যভারতের বিদিশা অঞ্চলে ভাগবত ধর্ম সমাজবদ্ধ ছিল। যাদব সম্প্রদায়ের অভিপ্রয়াণের সূত্রে পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে ধীরে ধীরে ভাগবত ধর্মের সম্প্রসারণ ঘটে। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় থেকে প্রথম শতকের কয়েকটি লেখ থেকে বিদিশা অঞ্চলে ভাগবত ধর্মের অস্তিত্বের কথা জানা যায়। ড. দীনেশচন্দ্র সরকার, নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য প্রমুখের বক্তব্য থেকে জানা যায় যে, মথুরা ও বিদিশা অঞ্চলে বহিরাগত ভারতীয় শাসকদের কেউ কেউ ভাগবত ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।

শৈবধর্ম

প্রাক্‌-ঐতিহাসিক কাল থেকেই ভারতীয় ধর্মবিশ্বাসে দেবতা রূপে পশুপতি বা শিবের কল্পনা দেখা যায়। বৈষ্ণবধর্মের মত শৈবধর্মও একেশ্বরবাদী এবং প্রধানত ভক্তিবাদকে ভিত্তি করেই এই ধর্মবিশ্বাস গড়ে উঠেছে। ভারতের সমাজচেতনা ও রাষ্ট্রচেতনা প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে শৈবধর্ম ও জনপ্রিয়তা ও দৃঢ় ভিত্তিলাভ করেছে। বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবধর্মের মতই শৈবধর্ম ও রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে দ্রুত প্রসার ও প্রচারের আলোয় উদ্ভাসিত হতে পেরেছে।

ড. নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য লিখেছেন, “এই অনুমান অসঙ্গত নয় যে, শক্তিসাধনার মত শৈব সাধনারও সূত্রপাত প্রাক্-বৈদিক যুগে এবং বেদোত্তর ভারতের ধর্ম-বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও শক্তি-সাধনার মত শৈব-সাধনাও অবিচ্ছিন্নভাবে টিকে আছে। হরপ্পা-মহেঞ্জোদরোতে খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত নিদর্শনাদি থেকে এইরূপ অনুমান অসঙ্গত নয়। মহোগ্বোদরোয় প্রাপ্ত একটি সীলে তিন মুখ ও দুই শৃঙ্গবিশিষ্ট এবং যোগাসনে উপবিষ্ট একটি মূর্তি অঙ্কিত আছে। মূর্তিটির বক্ষদেশে কয়েকটি মালা আছে এবং উভয় পার্শ্বে হস্তী, ব্যাঘ্র, গণ্ডার ও মহিয—এই চারটি প্রাণী অঙ্কিত আছে। এই মূর্তিটিকে ঐতিহাসিক স্যার জন মার্শাল পশুপতি শিবের আদি প্রতীক বলে উল্লেখ করেছেন। হরপ্পায় প্রাপ্ত আর একটি সীলে যোগাসনে উপবিষ্ট এবং নানা প্রাণী পরিবেষ্টিত একটি মূর্তি পাওয়া গেছে। এই সীলটির উল্টোপিঠে বৃমূর্তি ও ত্রিশূলধ্বজ অঙ্কিত আছে। দ্বিতীয় সীলটিকে প্রথম সীলটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলা যায়। মূর্তিটি উপবেশন ভঙ্গী, বৃষের অবস্থান এবং ত্রিশূলধ্বজ আধুনিক শিব-কল্পনার সাথে অনেকটাই সম্পর্কযুক্ত। এই কারণে বহু ঐতিহাসিক জন মার্শালের বক্তব্যের সাথে একমত হয়ে হরপ্পা-সংস্কৃতিতে শিবের উপাসনার কথা সমর্থন করেছেন।

হরপ্পায় খননকার্য থেকে অসংখ্য লিঙ্গ ও যোনি মূর্তি পাওয়া গেছে। মার্শাল প্রমুখ মনে করেন লিঙ্গপূজার সাথে শিব-কল্পনার গভীর যোগ বর্তমান। বৈদিক পরবর্তীকালে শিবসাধনার অংশ হিসেবে লিঙ্গপূজা কেবল জনপ্রিয়তা পায়নি ; কালক্রমে শিবমূর্তির পরিবর্তে কেবল লিঙ্গ প্রতীক পূজাই বেশি প্রচলিত হয়েছে। ইলোরার কৈলাস মন্দির, ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দির-সহ নানা শিবমন্দিরের গর্ভগৃহে পূজার কেন্দ্রে লিঙ্গ স্থাপনা করা হয়েছে। স্বভাবতই হরপ্পা-সংস্কৃতিতে লিঙ্গ উপাসনার নিদর্শন থেকে ওই সময়ে শৈবসাধনার অস্তিত্ব কল্পনা করা অযৌক্তিক নয়। শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে লিঙ্গ ও যোনি পূজার সাথে শিবের সম্পর্ক উল্লেখ করা হয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের একটি মুদ্রার এক পিঠে যোগারূঢ় শিব ও অন্য পিঠে লিঙ্গমূর্তি অঙ্কিত আছে। ফলে শিব সাধনা ও লিঙ্গপূজার অভিন্নতা কল্পনা করা অসঙ্গত নয়। অধ্যাপক ভট্টাচার্য মনে করেন, শৈবধর্মে তান্ত্রিক প্রভাববৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্গপূজার সাথে যোনিপূজাও জনপ্রিয় হয়েছে।

ঋগ্বেদে শিবের উল্লেখ নেই। যজুর্বেদে দেবতা হিসেবে রুদ্রের উল্লেখ আছে। তবে ঋগ্বেদের মত যজুর্বেদের ‘রুদ্র’ কেবল ভীতির দেবতা নয়, তিনি একই সাথে ধ্বংস ও সৃষ্টির দেবতা। আবার অথর্ববেদে রুদ্রের নামের সাথে পশুপতি, মহাদেব ইত্যাদি নামও আছে। বিভিন্ন ব্রাহ্মণ ও উপনিষদে রুদ্রের নাম বা উপাধি হিসেবে ‘মহাদেব’, ‘শিব’ ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার আছে। মহাভারত ও রামায়ণের নানা স্থানে ‘শিব’-এর উল্লেখ আছে। রামায়ণে শিবকে মহাদেব, রুদ্র, শংকর, পশুপতি ইত্যাদি বহু নামে অভিহিত করা হয়েছে। এই মহাকাব্যে শিবের বিবাহ থেকে সৃষ্টিরক্ষার নানা কাহিনী বিধৃত আছে। সম্ভবত মহাভারতের যুগ থেকে (খ্রিঃ পূঃ ৪র্থ শতক—খ্রিষ্টীয় ৪র্থ শতক) পাশুপত ধর্মের জনপ্রিয়তা এসেছে।

আশা করি আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যদি বুঝতে পারেন তাহলে আমাদের অন্যান্য পোস্ট ভিজিট করতে ভুলবেন না।

Leave a Comment