“ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে” – ভাবসম্প্রসারণ

প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ ““ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে” ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে

“ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুদের অন্তরে” ভাবসম্প্রসারণ

আজকের শিশুরা একদিন বড় হয়ে জীবনের বৃহত্তর দায়িত্ব পালন করবে। তাই বর্তমানে শিশুর জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সে গুরুত্বের কথা চিন্তা করে শিশুদের যথাযোগ্য পরিচর্যা করতে হবে। শিশুর পিতারা আজকে যে দায়িত্বের ভার বহন করছেন একদিন শিশুরা বড় হয়ে সে পর্যায়ে উপনীত হবে। তাই শিশুর পিতার বৈশিষ্ট্য এখনকার শিশুদের মনের মধ্যে নিহিত আছে। তার মধ্যে যেন তার পিতা ঘুমিয়ে আছে। শিশু জীবনের এই বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করলে তার গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা করা যায়। একদিন শিশুটি বড় হয়ে যখন জীবনের গুরুদায়িত্ব বহন করবে তখন যাতে সে তা সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারে সে ব্যাপারে তাকে তৈরি করতে হবে। তার এমন পরিচর্যা করা বাঞ্ছনীয় যাতে সে যথার্থ যোগ্য হয়ে উঠতে পারে- তার পিতার মত দায়িত্ব বহনের ক্ষমতা জন্মায়। শিশু জীবনের এই গুরুত্ব অবশ্যই স্বীকার করে তার জীবন গঠনে তৎপর হতে হবে।

বিকল্প ১

মূলভাব: জগৎ সংসারে আজ যারা পিতৃত্বের দাবিদার, তারা সবাই একসময় শিশু ছিল। কাজেই আজকের শিশুই আগামী দিনের দায়িত্বশীল পিতা।

সম্প্রসারিত ভাব: শিশুই জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। প্রত্যেক শিশুর মধ্যে ভবিষ্যৎ দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের নেতৃত্বের প্রতিভা সুপ্ত রয়েছে। এ সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন হলে প্রতিটি শিশু জাতির কর্ণধারের ভূমিকা পালন করতে পারে। শিশুরাই প্রত্যেক পরিবার, সমাজ ও জাতির ভবিষ্যৎ। কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থ লিখেছেন- Child is the father of men. জাতি আশা করে, আজকের শিশু সার্বিক গুণে গুণান্বিত হয়ে দেশের আদর্শ নাগরিক হবে। প্রতিটি শিশুর মধ্যে নিহিত আছে বিপুল সম্ভাবনা। কারণ শিশুরাই বড় হয়ে একদিন সমাজ ও দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। শিশুমানসে তাদের প্রতিভা লুক্কায়িত থাকে। তাই সম্ভাবনাময় নতুন প্রজন্ম তথা শিশুদের উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে হবে। আর এ দায়িত্ব সর্বাগ্রে যারা পালন করবেন তারা হলেন পিতামাতা। শিশুরা অনুকূল ও উপযুক্ত পরিবেশে প্রতিপালিত হলে এবং সুশিক্ষা পেলে আদর্শ মানুষ হয়ে দেশ ও দশের সুনাম বৃদ্ধি করবে। শিশুরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার হিসেবে শিশুমানসের সযত্ন গঠন দরকার। উপযুক্ত পরিবেশ ও শিক্ষার অভাবে আমাদের দেশের বহু শিশুর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়। দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য শিশুর উপযুক্ত মানসিক বিকাশের ব্যবস্থা করা সবার একান্ত কর্তব্য।

মন্তব্য: শিশুরাই ভবিষ্যতে বড় হয়ে জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবে। তাই শিশুদের প্রতি যত্ন নেওয়া প্রত্যেকের নৈতিক কর্তব্য। ভবিষ্যতে শিশুরাই আমাদের স্থানে স্থলাভিষিক্ত হয়ে কাজ করবে।

বিকল্প ২

ক্ষুদ্রের মাঝে বৃহত্তের প্রকাশ। আজকের ছােট্ট চারাগাছটি আগামী দিনের শক্তিময় বৃক্ষ। এখন যেটি পরিচর্যার প্রয়ােজনীয়তায় দুর্বল অবস্থায় রয়েছে, আগামীতে এটিই বৃহত্তর ও শক্তিশালী বৃক্ষরূপে ফুল ও ফল প্রদান করবে। প্রকৃতির এমনি নিয়মে আজকের শিশু আগামী দিনের কর্ণধার, আগামীর রূপকার। পৃথিবীর সমস্ত শিশুই জন্মের সাথে নিয়ে আসে এ মহতী ও শক্তিমান রূপ। আর তাই এদের দিতে হয় ভালােভাবে বেড়ে ওঠার সুযােগ্য পরিবেশ। কেননা আজকের শিশুরা একদিন বড় হয়ে জীবনের বৃহত্তর দায়িত্ব পালন করবে। তাই বর্তমান শিশুর জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সে গুরুত্বের কথা চিন্তা করে শিশুদের যথাযােগ্য পরিচর্যা করতে হবে। শিল্প পিতারা আজকে যে দায়িত্বের ভার বহন করছেন একদিন শিশুরা বড় হয়ে সে পর্যায়ে উপনীত হবে। তাই শিশুর পিতার বৈশিষ্ট্য এখনকার শিশুদের মধ্যে নিহিত আছে। তার মধ্যে যেন তার পিতা ঘুমিয়ে আছে। শিশু জীবনের এই বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করলে তার গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা করা যায়। একদিন শিশুটি বড় হয়ে যখন জীবনের গুরুদায়িত্ব বহন করবে তখন যাতে সে তা সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারে সে ব্যাপারে তাকে তৈরি করতে হবে। তার এমন পরিচর্যা করা বাঞ্ছনীয় যাতে সে যথার্থ যােগ্য হয়ে উঠতে পারে- তার পিতার মতাে দায়িত্ব বহনের ক্ষমতা জন্মায়। শিশু জীবনের এই গুরুত্ব অবশ্যই স্বীকার করে তার জীবন গঠনে তৎপর হতে হবে।

আরো পড়ুন: চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে কি পারে

আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।

Leave a Comment