চলক ও ধ্রবকের মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় চলক ও ধ্রবকের মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক চলক ও ধ্রবকের মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
চলক ও ধ্রবকের মধ্যে পার্থক্য কি?
চলক | ধ্রবক |
---|---|
গাণিতিক প্রক্রিয়ায় যে রাশির মান পরিবর্তিত হতে পারে তাকে চলক বলে। যেহেতু চলক যে কোন মান গ্রহণ করতে পারে সেজন্য এটি কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা দ্বারা নির্দেশ না করে প্রতীক দ্বারা নির্দেশ করা হয়। যেমন X, Y, Z, P, Q ইত্যাদি। অর্থনীতিতে ব্যবহৃত চলকসমূহ হচ্ছে চাহিদা, যোগান, দাম, আয় ইত্যাদি। মনে করি Q চলকটি বাংলাদেশে চা উৎপাদনের পরিমাণ নির্দেশ করে। কোন বিশেষ বছরে একটি নির্দিষ্ট মান গ্রহণ করতে পারে কিন্তু বিভিন্ন বছর এটির মান বিভিন্ন হবে। | গাণিতিক প্রক্রিয়ায় যে রাশির মানের কোন পরিবর্তন হয় না তাকে ধ্রবক বলে। যেহেতু ধ্রবকের মান স্থির থাকে এটি নির্দিষ্ট সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায় কিংবা নির্দিষ্ট প্রতীক দ্বারা নির্দেশ করা যায়। সাধারণত a b c ইত্যাদি দ্বারা ধ্রবক নির্দেশ করা হয়। যখন ধ্রবক কোন চলকের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে তখন তাকে চলকের সহগ বলা হয়। যেমন ax, by ইত্যাদি উপরের আলোচনা থেকে এটি পরিষ্কার যে, চলক ও ধ্রবক পরস্পর বিপরীত ধারণা গাণিতিক প্রক্রিয়ায় চলকের মান পরিবর্তিত হয় কিন্তু ধ্রবকের মান স্থির থাকে। |
চলক (Variable)
চলক হচ্ছে গণিতশাস্ত্রের একটি ধারণা। গাণিতিক প্রক্রিয়ায় ইহার মান পরিবর্তিত হয় অর্থাৎ চলক বিভিন্ন মান গ্রহণ করতে পারে। অর্থনীতিতে চলক হলো- দামস্তর, মুনাফা, আয়-ব্যয়, জাতীয় আয়, ভোগ, বিনিয়োগ, আমদানি ও রপ্তানি ইত্যাদি। যেহেতু প্রতিটি চলক বিভিন্ন মান গ্রহণ করতে পারে তাই ইহাকে কোন নির্দিষ্ট সংখ্যার পরিবর্তে প্রতীক দ্বারা নির্দেশ করা হয়। যেমন- আমরা দামস্তরকে (চ), মুনাফাকে (π), আয়কে R , ব্যয়কে C, জাতীয় আয়কে Y দ্বারা নির্দেশ করি। এক্ষেত্রে আমরা P = ৩ C=১০ অথবা P ও C এর মান যেকোন একটি ধরা যায়। অর্থাৎ চলকের মান পরিবর্তনশীল। তাই ইহাকে বাস্তব সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায় না।
ধ্রুবক (Constant)
গাণিতিক প্রক্রিয়ায় যে রাশির মানের পরিবর্তন হয় না বা স্থির থাকে, তাদের ধ্রবক বলে। যেহেতু ধ্রবকের মান স্থির থাকে সেহেতু ইহাকে বাস্তব সংখ্যা, যেমনঃ ১,২,৩ ……… ইত্যাদি দ্বারা প্রকাশ করা যায়। আবার ধ্রবককে নির্দিষ্ট প্রতীক দ্বারা নির্দেশ করা যায়। যেমন ইংরেজি বর্ণমালার ছোট হাতের অক্ষর a, b, c ……………….. এবং গ্রীক বর্ণমালা α, β, γ ইত্যাদি দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য চলক ও ধ্রবকের মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব চলক ও ধ্রবকের মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)