প্রিয় নবীর প্রায় সকল সাহাবী জান্নাতী। সাহাবীদের সংখ্যা হাজার হাজার। কিন্তু আমরা আজকে তাদের মধ্যে মাত্র ২০ জনের নাম জানব। আমরা হয়তো অনেকেই জান্নাতি সাহাবীদের নাম জানিনা। তাই আজকে আমরা মাত্র ২০ জন জান্নাতী সাহাবীর নাম জানতে পারব। আশা করি আপনারা এই পোস্ট থেকে উপকৃত হবেন। যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। তো চলুন পড়ে নেওয়া যাক।
জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম
- ওহাব ইয়াসির ইবনে আমির বা ইবনে ওহাব
- আবু উবাইদা ইবনুল জাররা রাদিয়াল্লাহু
- বাশার হাবিব বিনতে মাসলামা
- সাইব বিনতে মালিক
- সালমান আল ফার্সি
- হাসান ইবনে সাবিত
- হোসাইন ইবনে আলী
- উমায়ের ইবনে ওয়াহাব
- ইবনে আফফান
- ওয়াকিব ইবনে আব্দুল্লাহ
- হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু
- ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু
- আলী ইবনে আবু তালিব রাদিয়াল্লাহু
- তালহা ইবনে উবাই বিল্লা রাদিয়াল্লাহ
- জুবায়ের ইবনুল আউয়াম রাদিয়াল্লাহু
- আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু
- সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু
- ওসমান ইবনে আফফান রাদিয়াল্লাহু
- ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ
- লায়লা বিনতপ আল মিনহাল
আশারায়ে মোবাশশারা সাহাবীদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
নিচে আশারায়ে মোবাশশারা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা করা হল-
আবু বকর সিদ্দিক (রা)
আবু বকর সিদ্দিক (রা) মুহাম্মদ (স)-এর জন্মের দুই বছর পর জন্মগ্রহণ করেন ও তার মৃত্যুর দুই বছর পর ২৩ আগস্ট ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ইসলামের প্রথম খলিফা এবং প্রথম মুসলিমদের অন্যতম। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি। মুহাম্মদ (সা)-এর শ্বশুর ছিলেন। রাসুল (সা)-এর মৃত্যুর পর তিনি খলিফা হন এবং মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব দেন। নবি (সা)-এর প্রতি অতুলনীয় বিশ্বাসের জন্য তাকে ‘সিদ্দিক’ বা ‘বিশ্বস্ত’ উপাধি দেন মুহাম্মদ (স)।
উমর ইবনুল খাত্তাব
উমর (রা:) এর জন্ম ৫৮৩ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যুর ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল। ইসলামী দ্বিতীয় খলিফা এবং প্রধান সাহাবীদের অন্যতম হলেন হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা:) । আবু বকর রাদিয়াল্লাহু এর মৃত্যুর পর তিনি দ্বিতীয় খলিফা হিসেবে দায়িত্ব নেন ইসলামি খিলাফতের। তার মেয়ের জন্য তাকে আল-ফারুক বা সত্য মিথ্যার পার্থক্য কারো উপাধি দেয়া হয়। আমিরুল মুমিনিন উপাধিটি সর্বপ্রথম হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা:) ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে ।
ওসমান ইবনে আফফান
উসমান ইবনে আফফান ৫৮0 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৭ জন ৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন ইসলামিক তৃতীয় খলিফা ৬৪৪ থেকে ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেন। খলিফা হিসেবে তিনি চারজন খোলাফা রাশি দিনের একজন। তিনি সেই ছয় জন সাহাবীদের অন্যতম যাদের উপর আল্লাহ খুশি। তাকে দুই নুরের অধিকারী হিসেবে নামকরন করা হয়।
আলী ইবনে আবু তালিব রাদিয়াল্লাহু
আলী ইবনে আবু তালিব রাদিয়াল্লাহু ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬৬১ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। খলিফা ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাঃ তিনি ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হন। ইসলামের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম ব্যক্তি যে মহানবী সাঃ এর সাথে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন।
Also Read: উৎসাহ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন এসএমএস
তালহা ইবনে উবাই বিল্লা রাদিয়াল্লাহ
ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম আট জনের একজন। তিনি একজন কনিষ্ঠ সাহাবী ছিলেন দ্বিতীয় যুদ্ধে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জুবায়ের ইবনে আওয়াম
জুবায়ের ইবনুল ইসলামের প্রথমদিকে একজন সাহাবী তিনি আসার আই মোবাশশারা ১০ জন সাহাবীদের একজন।
আব্দুর রহমান ইবনে আউফ
আব্দুর রহমান ইবনে আউফ ৭২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। প্রথমে তার নাম ছিল আব্দুল অমর বা আমরের দাস। ইসলাম গ্রহণ করার পর হযরত মুহাম্মদ সাঃ তার নাম দেন তালহা ইবনে উবাই বিল্লা রাদিয়াল্লাহ।
সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু
১৭ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৭তম ব্যক্তি ছিলেন। ৬১৬ এবং ৬৫১ সালে তিনি কূটনীতির দায়িত্ব নিয়ে চীনে গিয়েছিলেন।
সাদ ইবনে সাঈদ
সাঈদ ওমর রাদিয়াল্লাহু এর ভাগ্নির প্রতি অর্থাৎ মনের মন ফাতেমা বিনতে খাত্তাবের স্বামী ছিলেন। তিনি পুর্তলিকতা থেকে মুক্ত ছিলেন। ৬৭৩ খ্রিস্টাব্দে ৮০ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আবু ওবাইদ ইবনে ওমর
ইবনে আব্দুল্লাহ সেনাবাহিনী সেনাপতি ছিলেন। তিনি ৫৮৩ সালে বণিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সদস্য ছিলেন ইসলাম গ্রহণের পরীয়দিনে অন্যতম কুরাইশএবং সকলের গণ্য হতেন তিনি তার অমায়িকতা এবং সাহসিকতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।