জিংক সিরাপ: আসসালামু আলাইকুম, বন্ধুরা আপনারা কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে গুগলে সার্চ করে থাকি। তার মধ্যে একটি হলো মেডিসিন বিষয়ক সার্চ।
এই মেডিসিন এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জিংক সিরাপ এর কাজ কি,জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম,জিংক সিরাপ এর দাম,জিংক সিরাপ এর উপকারিতা,জিংক সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তো চলুন দেখা পড়ে নেওয়া যাক।
জিংক সিরাপ এর কাজ কি?
জিংক সিরাপ এই ওষধটি বাজারে এনেছে এসকেএফ ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড। জিংক সিরাপ প্রতি চামচে রয়েছে জিংক সালফেট মনোহাইডেট ১০ মিলিগ্রাম। স্বাস্থ্য ও স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য শরীরে জিংক অত্যন্ত প্রয়োজন এবং শিশুর জন্মের পর কম ওজন এবং অপুষ্টি, ক্যালরি ঘাটতি দূর করতে জিংক ভীষণভাবে সাহায্য করে।
এছাড়াও জিংকের অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, দেরিতে ক্ষত সুখায়, সাদ ও গন্ধের অনুভূতি কমে যায়, রাত কানা হয় এবং অ্যাবেসন এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। জিংক সিরাপ আমাদের শরীরে অনেক কাজ করে যেমন:
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
- তীব্র ডায়রিয়া রোধ করে
- বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে
- হজম শক্তি বাড়ায়
- ক্ষত দ্রুত শুকায়
জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম কি?
জিংক সিরাপ ডায়রিয়া চিকিৎসায় :ডায়রিয়া শুরুর পর যত দ্রুত সম্ভব জিংক সেবন করা উচিত।
- ২ থেকে ৬ মারে শিশু :দৈনিক ১০ মি.গ্রা. জিংক করে ১০-১৪ দিন।
- ৬ মাস থেকে ৫ বছরের শিশু :দৈনিক ২০ মি.গ্রা. জিংক করে ১০-১৪ দিন।
- অন্যান্য নির্দেশনায় :শিশুদের ক্ষেত্রে অনুমোদিত মাত্রা হচ্ছে দৈনিক ২-২.৫ মি.গ্ৰা./ কেজি দৈহিক ওজন হিসাবে।
- ১০ কেজির নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে: ১০ মি.গ্রা. জিংক দৈনিক ২বার। ১০ কেজি থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত শিশুদের জন্য : ২০ মি.গ্ৰা. জিংক দৈনিক ১-৩ বার।
- প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ৩০ কেজি-এর উর্দ্ধে শিশুদের জন্য : ৪০ মি.গ্রা. জিংক দৈনিক ১-৩ বার।
প্রতি নির্দেশনা : জিংক এর প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।
বিভিন্ন কারনে ওষুধের মাত্রার তারতম্য হতে পারে। ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক সেভাবে ওষুধ গ্রহন করুন। আপনার প্রেসক্রিপশনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
জিংক সিরাপ এর দাম কত?
জিংক সিরাপ ১০০মি.লি. প্রতি পিসের দামঃ৫০.০০ টাকা
জিংক সিরাপ এর উপকারিতা কি?
জিংক সিরাপ ডায়রিয়া চিকিৎসায়, বিশেষ করে ২ মাস থেকে ৫ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে, জিংকের ঘাটতিজনিত অন্যান্য সমস্যা যেমন-রোগ প্রতিরোধের অভাব, বয়স সম্পর্কিত অন্ধত্ব, ঠান্ডা প্রতিরোধ ও চিকিত্সায়, স্বাদ এবং গন্ধ রক্ষণাবেক্ষণ, পুরুয়ের যৌন ক্ষমতা, বন্ধ্যাত্ব, প্রোস্টেটের সমস্যা, চুলের ক্ষতি এবং রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস।
জিংক সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি?
সাধারণত সুসহনীয়।
আশা করি আপনাদের এই বিষয়টি ‘জিংক সিরাপ এর কাজ কি,জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম,জিংক সিরাপ এর দাম,জিংক সিরাপ এর উপকারিতা,জিংক সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া’ ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে তাহলে অন্য পোস্ট পড়তে ভুলবেন না।
নোট: এই সব তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহিত। তাই কোনো তথ্য ভুল বলে প্রমাণিত হলে এই ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।