জীবনের শেষ কিছু কথা রয়ে যায় আমাদের অবিরাম ভালোবাসা এবং হাজার রকমের অভিজ্ঞতা। এইসব কথায় রয়েছে ভীষণ পরিমাণ তিক্ততা। তো চলুন আমরা কিছু জীবনের শেষ কথা পরি:
জীবনের শেষ কিছু কথা
স্মৃতি সুখ বা দুঃখের যাই হোক, সবসময়ই কষ্টের। দুঃখ-কষ্ট-বেদনা ছড়াতে হয় না। ছড়িয়ে দিতে হয় আনন্দ। দুঃখ ভুলে যাওয়া কঠিন। তবে সুখস্মৃতি মনে রাখা তার চেয়েও একটু বেশি কঠিন।
মোহের কাছে পরাজিত হওয়া ঠিক নয়। কিন্তু খুব কম মানুষই মোহযুদ্ধে অপরাজিত থাকে।
অতি দ্রুত যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, উষ্ণতা কমে যেতেও তার সময় লাগে না।
নিঃস্বার্থ কর্মী মানুষরা মৃত্যুর পরও থেকে যায়, কর্মপূণ্যে থেকে যায় মানুষের মনে – যুগের পর যুগ ধরে।
সৎ থাকো। অবশ্যই সুখী হবে।
পরিস্থিতিই মানুষকে তৈরি করে। পরিস্থিতি যখন বদলে যায়, মানুষও তখন পাল্টে যায়। মানুষ আসলে জলের মত। পাত্রের সঙ্গে সঙ্গে সে তার আকার বদলায়।
এই পৃথিবীর প্রতিটি দিনই সম্ভাবনার। সম্ভাবনাময়ী এখানে আসলে আমাদের প্রতিটি মুহুর্তই।
মানবজাতি ধীরে ধীরে সব সুযোগকেই উপলদ্ধি করবে। অবশ্যই সব সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিবে।
বলার আগে শুনে নাও, প্রতিক্রিয়া দেখানোর আগে চিন্তা কর, সমালোচনার আগে ধৈর্য্য ধর, প্রার্থনার আগে ক্ষমা চাও, ছেড়ে দেয়ার আগে চেষ্টা কর।
না চাইতেই যা পাওয়া যায়, তা সবসময় মূল্যহীন।
মনের কিছু না বলা কথা
পায়ের আলতা খুব সুন্দর জিনিস। কিন্তু আলতাকে সবসময় গোড়ালীর নিচে পড়ে থাকতে হয়, এর উপরে সে উঠতে পারেনা।
অতিরিক্ত যেকোন কিছু পতন নিয়ে আসে। সবকিছু তাই নির্দিষ্ট সীমায় রাখাই শ্রেয়।
চুপ থাকা খুব সহজ একটা কাজ। পারস্পরিক বহু সমস্যার সমাধান শুধু চুপ থাকলেই হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের সবচেয়ে বড় অযোগ্যাতা হচ্ছে সে মুখ বন্ধই রাখতে পারে না, অপ্রয়োজনে অনর্গল বকে যায়।
সুন্দর স্বপ্ন আফসোসেরও কারণ। বাস্তবতা যতই মধুরই হোক, স্বপ্নের মত হয় না। স্বপ্ন পূরণ হতেই হবে সেটা কিন্তু সত্যি নয়। স্বপ্ন দেখতে হয় আর সেটার জন্য কাজ করতে হয় – এটা হচ্ছে সত্যি।
প্রতিজ্ঞা করার আগে তাই একটু হলেও ভাবা উচিত। মিথ্যা দিয়ে হাসানোর চেয়ে সত্য বলে কাঁদানোই শ্রেয়।
চোখের জলের মত পবিত্র কিছু নেই। এই জলের স্পর্শে সব গ্লানি-মালিন্য কেটে যায়।
কিছু কথা শুধু নিজের ভেতর রাখো। দ্বিতীয় কেউ জানবে না। কোনভাবেই না। দুই জন জানলে বিষয়টা গোপন থাকে। তিনজন জানলে নাও থাকতে পারে। আর চারজন জানা মানে সবাই এক সময় জেনে যাবে।
রহস্য সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে। কৌতূহলেরও জন্ম দেয়।
শেষ কিছু কথা
বেশি নৈকট্য দূরত্বের সৃষ্টি করে। প্রিয়জনদের থেকে তাই দূরে থাকাই ভাল। সম্পর্ক স্থির নয়, পরিবর্তনশীল।
জীবন এত ক্ষণস্থায়ী বলেই মাঝে মাঝে সবকিছু এমন সুন্দর মনে হয়।
বেশি দিন ভালবাসতে পারে না বলেই ভালবাসার জন্য মানুষের এত হাহাকার।
কাগজে-কলমে কোন সৌন্দর্যের যথার্থতা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। সৌন্দর্যের মুখোমুখি গিয়ে দাঁড়াতে হয়।
তুমি যদি কাউকে হাসাতে পার, সে তোমাকে বিশ্বাস করবে। সে তোমাকে পছন্দও করতে শুরু করবে।
হৃদয়ের গভীরে যার বসবাস, তাকে সবকিছু বলতে হয় না। অল্প বললেই সে বুঝে নেয়।
মানবহৃদয় আয়নার মত। সে আয়নায় ভালবাসার আলো পড়লে তা ফিরে আসবেই।
যার কাছে ঘুম আনন্দময় সে-ই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। অতি সামান্য জিনিসও মানুষকে অভিভূত করে ফেলতে পারে।
খুব বেশি সুন্দর কোন কিছু দীর্ঘস্থায়ী হয় না। খুব ভাল মানুষরাও বেশি দিন বাঁচে না। স্বল্পায়ু নিয়ে তারা পৃথিবীতে প্রবেশ করে।
যখন কেউ কারো প্রতি মমতা বোধ করে, তখনই সে লজিক থেকে সরে আসতে শুরু করে। মায়া-মমতা-ভালবাসা এসব যুক্তির বাইরের ব্যাপার।
দুর্নামকারীরা সাধারণত আড়ালপ্রিয়। সামনে ভাল মানুষ সেজে বসে থাকে।
বুদ্ধিহীনরা তর্কবাজ হয়। নিজের বুদ্ধির অভাব তর্ক দিয়ে ঢাকতে চায়।
সুখী হওয়ার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে মানুষের। এ জগতে সবচেয়ে সুখী হচ্ছে সে, যে কিছুই জানে না। জগতের প্যাঁচ বেশি বুঝলেই জীবন জটিল হয়ে যায়।
সব শখ মিটে গেলে বেঁচে থাকার প্রেরণা নষ্ট হয়ে যায়। যেসব মানুষের শখ মিটে গেছে তারা অসুখী।
জীবনের কিছু বাস্তব কথা
বিচার যখন থাকে না, সমস্যার সমাধানও হয় না। সব সমস্যা বরং পুঞ্জীভূত হয় আরও। আমাদেরও তাই হচ্ছে।
নগদ টাকা আলাদীনের চেরাগের মত। হাতে থাকলে পৃথিবী নিজের হয়ে যায়।
পথ কখনও শেষ হয় না। দীর্ঘ ভ্রমণের পর গন্তব্যে পৌছেও কেউ স্থির থাকে না। ছুটতে শুরু করে অন্য কাজে, অন্য পথে, অন্য আরেক লক্ষ্যস্থলে।
এক একটি দিন শেষ করে আমরা এগুতে থাকি চুড়ান্ত যাত্রার পথে। মানবমৃত্যুই পথের সমাপ্তি। নিরন্তর ছুটে চলা মানুষের শেষ গন্তব্য। সবাই মারা যায়। কিন্তু সবাই চলে যায় না।
না পাওয়ার কিছু কথা
নিজেকে দেখার মত ভালো কোন আয়না নেই।
ছিল একটি, যা কিনা ভেঙ্গে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেছে!
চূর্ণ হওয়া গুটি কয়েক টুকরা দিয়ে আবারও,
নিজেকে নতুন করে দেখার স্বপ্ন বুনেছিলাম।
তার মধ্যে আরও একটি টুকরা বিচূর্ণ হয়ে যায়!
অত:পর আমি চূর্ণ হওয়া অপর একটি টুকরা বেছে নিলাম।
আবারও শুরু হলো নতুন করে নিজেকে দেখা।
দেখতেও ভালোই লাগতো, খুব আনন্দও হতো মনে মনে।
একবারের জন্যও মনে হয়নি আয়নাটি ভাঙ্গা।
কিছু দিন পড়ে কেমন যেন ঝাপসা ঝাপসা লাগে!
অবাক ব্যপার! এমন ঝাপসা ঝাপসা লাগে কেন?
পরে কোন এক সময় বুঝতে পারলাম যে,
আয়নাটি যে কৈশরের! কৈশর কাটিয়ে কখন যে,
যৌবনে পা রেখেছি মনে নেই।
এখনতো যৌবনেরও অনেকটা সময় পার করেছি,
এর পরই বুঝতে পারলাম অনেক কিছু,
এই ভাঙ্গা আর পুরানো আয়নাতে যে.
নিজেকে এর বেশী পরিষ্কার দেখা যাবে না।
মেনে নিতেই হবে কঠিন এই বাস্তবতা কে,
তবুয় মাঝে মাঝে ভুল করে ফেলি!
ভাঙ্গা আর ঝাপসা আয়নাতে নিজেকে খুঁজি।
আবার মনে পড়ে যায়, কোন লাভ নেই এতে।
ঘুমিয়ে থাকা বিবেক বলে দেয় তখন,
আমায় বার বার কেন বিরক্ত করিস?
এর চেয়ে ভালো আর দেখতে পাবিনা,
এটি নিয়েই সন্তুষ্ট থাক, এর বেশী আশা করিস না।
জীবনের কথা ২
অসীম শূণ্যতার মাঝে তোমার অস্তিত্ব খুঁজতে খুঁজতে বড্ড ক্লান্ত আমি।সমস্ত শক্তি দিয়ে কষ্টের পর্দা সরিয়ে আর উঁকি দেয়না আলো. আড়ালে ছিলাম আজো আড়ালে আছি
জানি না তো আমি কোন পথ খুঁজি
আমি এখন! নিয়ম করে ইচ্ছে মৃত্যু চাই
থমকে আছে অর্থহীন. এই বাঁচতে চাওয়া
বুকের মধ্যে কার যেন আওয়াজ শুনতে পাই
তাই চেনা পথ ধরে আমার হেঁটে যাওয়া
আশা করি আপনাদের এইসব জীবনের শেষ কিছু কথা বা জীবনের বাস্তব কিছু কথা খুব পছন্দ হয়েছে। উক্ত উক্তিগুলো আমরা বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ করেছি এবং বিভিন্ন রকম বই থেকেও সংগ্রহ করেছি। যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য পোস্টগুলো করতে ভুলবেন না।