প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ “জ্ঞান মানুষের মধ্যে সকলের চেয়ে বড় ঐক্য ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।
জ্ঞান মানুষের মধ্যে সকলের চেয়ে বড় ঐক্য ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব: জ্ঞানের উপযোগিতা ও গুরুত্বের কোন তুলনা নেই। জ্ঞানই শক্তি বলে বিবেচনা করা হয়। মানবজীবনে জ্ঞানের সীমাহীন প্রয়োগে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। জ্ঞানের পথ ধরেই মানুষ। আদিম জীবন থেকে বর্তমানের উন্নত জীবনে এসে পৌঁছেছে।
সম্প্রসারিত-ভাব: বিশ্বের সকল মানুষের মধ্যে জ্ঞান বাহন হিসেবে কাজ করছে। জ্ঞানের গুরুত্ব মানবজীবনে অপরিসীম। সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়ানো মানুষ নানা জাতি, ধর্ম ও বর্ণে বিভক্ত। মানুষের আচার আচরণ সর্বত্র এক নয়। আকারে প্রকারে, ধর্মে বর্ণে মানুষের এ পার্থক্য বিশ্বের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচনার যোগ্য। মানুষে মানুষে এ পার্থক্য বর্তমান থাকলেও একটি ক্ষেত্রে মানুষের ঐক্য রয়েছে এবং তা হল জ্ঞানের বিষয়ে। জ্ঞান মানুষকে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে, এক মহামিলনের তীর্থে মানুষকে মিলিত করেছে। মানুষ দেশ, জাতি, ধর্ম, বর্ণে যতই পৃথক হোক না কেন জ্ঞান সাধনার পথে মানুষের কোন ব্যবধান নেই। সবাই একই পথের পথিক, কারণ জ্ঞানের ব্যাপারে মানুষের ভিন্নতা নেই। জ্ঞান সকলের মনকে সমানভাবে উচ্চকিত করে। জ্ঞানের তাৎপর্য একজনের কাছে একরকম, অন্যজনের কাছে ভিন্ন রকম এমন মনে করার কোন কারণ নেই। মধ্যাকর্ষণ শক্তির জ্ঞান সকল বিশ্বমানবের কাছে একই মর্যাদায় বিধৃত হয়। জ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রে জ্ঞানের প্রয়োগের ব্যাপারে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে। জ্ঞানের রাজ্যের মানুষের মনের কোন পার্থক্য নেই। জ্ঞান মানুষের মধ্য থেকে সকল পার্থক্য দূর করে।
আর তাই জ্ঞানের ফল সকল মানুষই ভোগ করে। সবাই জ্ঞান থেকে উপকৃত হতে পারে। জ্ঞানের সীমাহীন তাৎপর্য বিশ্বের মানুষকে ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করে রেখেছে।
বিকল্প ১
মূলভাব: জ্ঞানের উপযােগিতা ও গুরুত্বের কোন তুলনা নেই। জ্ঞানই শক্তি বলে বিবেচনা করা হয়। মানবজীবনে জ্ঞানের সীমাহীন প্রয়ােগে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। জ্ঞানের পথ ধরেই মানুষ আদিম জীবন থেকে বর্তমানের উন্নত জীবনে এসে পৌছেছে।
সম্প্রসারিত-ভাব: বিশ্বের সকল মানুষের মধ্যে জ্ঞান বাহন হিসেবে কাজ করছে। জ্ঞানের গুরুত্ব মানবজীবনে অপরিসীম। সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়ানাে মানুষ নানা জাতি, ধর্ম ও বর্ণে বিভক্ত। মানুষের আচার আচরণ সর্বত্র এক নয়। আকারে প্রকারে, ধর্মে-বর্ণে মানুষের এ পার্থক্য বিশ্বের অবিক বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচনার যােগ্য। মানুষে মানুষে এ পার্থক্য বর্তমান থাকলেও একটি ক্ষেত্রে মানুষের ঐক্য রয়েছে এবং তা হল জ্ঞানের বিষয়ে। জ্ঞান মানুষকে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে, এক মহামিলনের তীর্থে মানুষকে মিলিত করেছে। মানুষ দেশ, জাতি, ধর্মে, বর্ণে যতই পৃথক হােক না কেন জ্ঞান সাধনার পথে মানুষের কোন ব্যবধান নেই। সবাই একই পথের পথিক, কারণ জ্ঞানের ব্যাপারে মানুষের ভিন্নতা নেই। জ্ঞান সকলের মনকে সমানভাবে উচ্চকিত করে। জ্ঞানের তাৎপর্য একজনের কাছে একরকম, অন্যজনের কাছে ভিন্ন রকম এমন মনে করার কোন কারণ নেই। মধ্যাকর্ষণ শক্তির জ্ঞান সকল বিশ্বমানবের কাছে একই মর্যাদায় বিধৃত হয়। জ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রে জ্ঞানের প্রয়ােগের ব্যাপারে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে। জ্ঞানের রাজ্যের মানুষের মনের কোন পার্থক্য নেই। জ্ঞান মানুষের মধ্য থেকে সকল পার্থক্য দূর করে। আর তাই জ্ঞানের ফল সকল মানুষই ভােগ করে। সবাই জ্ঞান থেকে উপকৃত হতে পারে। জ্ঞানের সীমাহীন তাৎপর্য বিশ্বের মানুষকে ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করে রেখেছে।
বিকল্প ২
জ্ঞান মানুষের চরম, পরম ও একান্ত নিজস্ব সম্পদ। মানবসভ্যতার এই চরম উন্নতির মূলে রয়েছে জ্ঞান জ্ঞানই সভ্যতা, জ্ঞানই উন্নতির চাবিকাঠি। সারা পৃথিবী জুড়ে জাতি, ধর্ম, বর্ণের শ্রেণীবিভাগ রয়েছে, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ রয়েছে। শ্রেণীভেদ রয়েছে পরিবারে,সমাজে, দেশে, জাতিতে, এমনকি চালচলনে, কথাবার্তায়— সর্বত্রই শ্রেণীবিভাগ লক্ষ করা যায়। মানুষে মানুষে এই পার্থক্য থাকলেও একটি ক্ষেত্রে মানুষের ঐক্য রয়েছে এবং তা হল জ্ঞান। জ্ঞানের বিষয়ে মানুষের মধ্যে কোনো ব্যবধান নেই। সবাই একই পথের পথিক। জ্ঞান মানুষকে মহা ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে, এক মহামিলনের তীর্থে মানুষকে মিলিত করেছে। জ্ঞানের উপযোগিতা ও গুরুত্বের কোন তুলনা নেই। জ্ঞানই শক্তি বলে বিবেচনা করা হয়। মানবজীবনে জ্ঞানের সীমাহীন প্রয়োগে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। জ্ঞানের পথ ধরেই মানুষ।
আদিম জীবন থেকে বর্তমানের উন্নত জীবনে এসে পৌঁছেছে। বিশ্বের সকল মানুষের মধ্যে জ্ঞান বাহন হিসেবে কাজ করছে। জ্ঞানের গুরুত্ব মানবজীবনে অপরিসীম। সারা পৃথিবী জুড়ে ছড়ানো মানুষ নানা জাতি, ধর্ম ও বর্ণে বিভক্ত। মানুষের আচার আচরণ সর্বত্র এক নয়। আকারে প্রকারে, ধর্মে বর্ণে মানুষের এ পার্থক্য বিশ্বের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচনার যোগ্য। মানুষে মানুষে এ পার্থক্য বর্তমান থাকলেও একটি ক্ষেত্রে মানুষের ঐক্য রয়েছে এবং তা হল জ্ঞানের বিষয়ে। জ্ঞান মানুষকে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে, এক মহামিলনের তীর্থে মানুষকে মিলিত করেছে। মানুষ দেশ, জাতি, ধর্ম, বর্ণে যতই পৃথক হোক না কেন জ্ঞান সাধনার পথে মানুষের কোন ব্যবধান নেই। সবাই একই পথের পথিক, কারণ জ্ঞানের ব্যাপারে মানুষের ভিন্নতা নেই। জ্ঞান সকলের মনকে সমানভাবে উচ্চকিত করে।
জ্ঞানের তাৎপর্য একজনের কাছে একরকম, অন্যজনের কাছে ভিন্ন রকম এমন মনে করার কোন কারণ নেই। মধ্যাকর্ষণ শক্তির জ্ঞান সকল বিশ্বমানবের কাছে একই মর্যাদায় বিধৃত হয়। জ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রে জ্ঞানের প্রয়োগের ব্যাপারে মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে। জ্ঞানের রাজ্যের মানুষের মনের কোন পার্থক্য নেই। জ্ঞান মানুষের মধ্য থেকে সকল পার্থক্য দূর করে।আর তাই জ্ঞানের ফল সকল মানুষই ভোগ করে। সবাই জ্ঞান থেকে উপকৃত হতে পারে। জ্ঞানের সীমাহীন তাৎপর্য বিশ্বের মানুষকে ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করে রেখেছে।
আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।