প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ “জ্ঞান-শক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য অথবা, আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।
জ্ঞান-শক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য অথবা, আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য। ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব : আত্মশক্তি মানুষের একটি মহৎ গুণ। এর অভাবে মানুষ পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর শিক্ষা মানুষকেআত্মশক্তিতে বলীয়ান করে তােলে।
সম্প্রসারিত ভাব : আত্মশক্তি মানুষের মহৎ গুণগুলাের মধ্যে অন্যতম। আত্মশক্তির বলে বলীয়ান মানুষ নিজের শক্তিরওপর নির্ভরশীল হয়ে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে ও কাজকর্ম করতে পারে। আত্মশক্তি না থাকলে মানুষ নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। তখন সামান্য কাজেও তাকে অন্যের সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সব কিছুতেই তাদের যেনসংশয় কাজ করে। অন্যদিকে শিক্ষার আলােয় আলােকিত ব্যক্তিদের দৃষ্টি বহুদূর প্রসারিত থাকে। তাদেরকে জীবনের বিভিন্ন ।সমস্যা সমাধানের জন্য পরমুখাপেক্ষী হতে হয় না। নিজের শক্তিকেই তারা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার মনে করে। আর এ সবকিছুই সম্ভব প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আত্মশক্তি অর্জনের মাধ্যমে। কিন্তু এ আত্মশক্তি মানুষের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় বিরাজকরে। তাকে সঠিকভাবে সঠিক সময়ে আবিষ্কার করে নিতে হয়। যারা উপযুক্ত শিক্ষা অর্জন করে, তারা তা পারে। আর যারামূৰ্থ তারা তার সন্ধান পায় না। পরনির্ভরশীল না হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য মানুষ শিক্ষা অর্জন করে থাকে। শিক্ষাতাকে কাজের যােগ্য করে তােলে এবং যােগ্যতা থাকলে সে দৃঢ় মনােবলের অধিকারী হয়। হাদিসে আছে, ‘যে শিক্ষা গ্রহণ করে তার মৃত্যু নেই।’
মন্তব্য : শিক্ষা মানুষকে যে কোনাে ভালাে ও সৎকর্মের যােগ্য করে তােলে। এর জন্য সর্বাগ্রে যে জিনিসটি প্রয়ােজন তাহলাে দৃঢ় মনােবল আর সুকঠিন একাগ্রতা।
বিকল্প ১
মূলভাব: আত্মশক্তি বা জ্ঞানশক্তি মানুষের একটি বিশেষ গুণ, যা তার অস্তিত্বের মাঝেই নিহিত থাকে। কিন্তু মানুষ জন্মগতভাবে এ শক্তির অধিকারী হয় না। মানুষের মধ্যে আত্মশক্তি বা জ্ঞানশক্তি তখনই জাগ্রত হয় যখন মানুষের মন প্রকৃত শিক্ষার আলােকে আলােকিত হয়। বস্তুত শিক্ষার মূল লক্ষ্য মানুষের আত্মশক্তি বা জ্ঞানশক্তির বিকাশের মাধ্যমে তার মনুষ্যত্ব ও বিবেককে জাগ্রত করা।
ভাবসম্প্রসারণঃ শিক্ষা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার। শিক্ষা মানুষকে নিজেকে জানতে ও চিনতে শেখায়। প্রকৃত শিক্ষা মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববােধ জাগ্রত করে, তার ভেতরের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তােলে। যে শিক্ষা শুধু খেয়ে-পরে বা ভােগবিলাসে জীবন কাটাতে বা বাঁচতে শেখায় তা কখনাে প্রকৃত শিক্ষা হতে পারে না। যে শিক্ষা জীবনকে সকলের সঙ্গে উপভােগ করতে এবং কল্যাণমুখী কাজে লাগাতে শেখায় না সেটি প্রকৃত শিক্ষা নয়। এ ধরনের শিক্ষা জীবনে সােনা ফলাতে পারে না। শিক্ষা। মানুষকে শেখায় ‘লােভে পাপ, পাপে মৃত্যু। অনেকের মতে, ‘শিক্ষা মনের একটি চোখ। তাই মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটে শিক্ষার মাধ্যমে। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ তার মানবিক গুণগুলাে অর্জন করে। শিক্ষার আলাে না হলে মানুষ আর পশুর মধ্যে কোনাে পার্থক্য থাকত না। আত্মশক্তিতে বলীয়ান মানুষই কর্তব্যপরায়ণ, বিবেকবােধ সম্পন্ন, সমব্যথী, সর্বোপরি সকল মানবিক গুণের অধিকারী। জ্ঞানশক্তি বা আত্মশক্তি না থাকলে মানুষ শিক্ষিত হয়েও কখনাে যথার্থ মানুষ হতে পারে না! ডিগ্রি বা সনদের কোনাে মূল্যই থাকে না যদি শিক্ষিত ব্যক্তি আত্মশক্তি ও জ্ঞানশক্তি অর্জন না করে। প্রতিটি মানুষ অফুরন্ত সম্ভাবনার খনি, সে কী হতে পারে তা সে নিজে জানে না, আর এ অজ্ঞতাই তার উন্নতির পথে বাধা। শিক্ষা মানুষের ভেতরে প্রতিভার আলাে জ্বালিয়ে অজ্ঞতাকে দূর করে তাকে আত্মশক্তিতে বলীয়ান করে, সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তােলে। মানুষ জ্ঞান আহরণ করলে অর্জন করে আত্মশক্তি, আর জ্ঞান নামক এ শক্তি হৃদয়ের লুকানাে সকল গুণকে শক্তিশালী করে।
শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করে মানুষ হয়ে ওঠে আত্মশক্তিতে বলীয়ান। তাই শিক্ষার উদ্দেশ্য সনদ অর্জন করে চাকরি করে। বিলাসী জীবনযাপন নয়। নিজেকে জানা, বােঝা, আবিষ্কার করা ও শক্তিশালী করাই শিক্ষার উদ্দেশ্য।
বিকল্প ২
মূলভাব : মানুষ শিক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত শক্তির দ্বারা আত্মবলিয়ান হয়ে ওঠে।
সম্প্রসারিত ভাব : শিক্ষা মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এটা সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত। পশুপক্ষি, জীবজন্তু ও প্রাণীকুলের মধ্যে মানুষ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। কারণ, তার আছে বিবেক, বুদ্ধি ও জ্ঞান। বিবেবকবান প্রাণী বলেই সে বুদ্ধি ও জ্ঞান অর্জন করেছে। আর এ বুদ্ধি ও জ্ঞানার্জনের পেছনে আছে শিক্ষা। উন্নত শিক্ষা ও গবেষণা মানুষকে নিজের ওপর প্রত্যয়ী করে তােলে। এ আত্মপ্রত্যয়ের কারণ তার আত্মশক্তি । আত্মশক্তির বলে মানুষ নব নব আবিষ্কার করতে পেরেছে , অনন্ত রহস্যময় মহশূন্যে অভিযান করতে পেরেছে, চন্দ্রাভিযান সফল করেছে। আরাে নতুন নতুন আবিষ্কারে সে উৎসাহী। যে শিক্ষা মানুষকে আত্মশক্তি অর্জনে সহায়তা করে, যে শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি বড় হতে পারে নি, বড় হয় নি কোন দেশ; সেই শিক্ষা বিশ্বের সবারই কাম্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য দেশসমূহ উন্নত শিক্ষা ও প্রযুক্তির দ্বারা মানবকল্যাণের পথে অগ্রসর। সেরূপ শিক্ষার আলােকে আলােকিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমাদের সবারই কাম্য হওয়া উচিত। কেননা শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য আত্মশক্তি অর্জন; আত্মশক্তিই তাকে অজেয় করে তুলতে পারে। শিক্ষার্জনের অন্যতম উদ্দেশ্য হলাে মানুষের অন্তরের বলকে বলীয়ান করা।
মূলভাব: প্রকৃত মানুষ হতে হলে আমাদেরকে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হতে হবে। আর আত্মশক্তি অর্জনের একমাত্র উপায় হচ্ছে শিক্ষা।
বিকল্প ৩
সম্প্রসারিত ভাব: প্রতিটি মানুষই চায় মর্যাদাবান হতে। এজন্য প্রয়ােজন আত্মশক্তি। আর আত্মশক্তি অর্জনের জন্য প্রয়ােজন। শিক্ষা। শিক্ষা মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায়, বিবেক-বুদ্ধিকে জাগ্রত করে ও আত্মশক্তিতে বলীয়ান করে। আত্মশ বলীয়ান মানুষ স্বনির্ভর হয়, স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ এবং কাজকর্ম করতে পারে। আত্মশক্তি না থাকলে মানুষ নিজের ওপর আস্থা রাখতে পারে না। আত্মশক্তিহীন মানুষের পক্ষে কোনাে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না। প্রতিটি ক্ষেত্রে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকতে হয়। আত্মশক্তি এমন একটি অদৃশ্য শক্তি যা মানুষের মাঝে সুপ্তভাবে বিদ্যমান থাকে। এটিকে সঠিকভাবে সঠিক সময়ে আবিষ্কার করে নিতে হয়। যারা উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত কেবল তারাই তা আবিষ্কার করতে পারে। আর যারা মূর্খ, তারা এর সঠিক সন্ধান পায় না। এজন্যই মানুষ পরনির্ভরশীলতা পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার মানসে শিক্ষার্জন করে থাকে। শিক্ষাই একজন মানুষকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে যােগ্য করে তােলে। যােগ্যতার বলেই মানুষ সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং দৃঢ় মনােবলের অধিকারী হয়। হাদিসে আছে, “যে ব্যক্তি প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করে, তার মৃত্যু নেই।” আমরা পুথিগত বিদ্যার্জনের মধ্য দিয়ে সনদপত্র লাভকেই শিক্ষা মনে করি। আমাদের এ ধারণা নিতান্তই ভুল। এ ভুল ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু সনদপত্র লাভ বা ডিগ্রি অর্জনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না।পরিপূর্ণ শিক্ষার জন্য ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি প্রকৃতি তথা বাস্তবতা থেকে শিক্ষা লাভ করতে হবে। এমনকি ডিগ্রি অর্জন ছাড়াও কেউ প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারে ইতিহাসে এর নজির রয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে শিক্ষার উদ্দেশ্য সনদপত্র লাভ নয়, বরং আত্মশক্তি অর্জন। তাই শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে আমাদের আত্মশক্তি অর্জনে ব্রতী হতে হবে। তবেই শিক্ষা সার্থক হবে।
মন্তব্য: শিক্ষা মানুষের আত্মশক্তিকে বিকশিত করে দৃঢ় মনােবলের অধিকারী করে এবং জাতীয় অগ্রগতি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে। তাই আত্মশক্তি অর্জনে শিক্ষাকেই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে।
বিকল্প ৪
মূলভাব: শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবল পার্থিব ভোগ-লালসা চরিতার্থ করা কিংবা চাকরি পাওয়া নয়। জ্ঞানার্জনের ভেতর দিয়ে মানুষের মধ্যে যে শক্তি অর্জিত হয় সে শক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্য।
সম্প্রসারিত ভাব: জ্ঞানশক্তি অর্জনই মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। এ | জ্ঞানশক্তি একজন মানুষকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলে, তাকে বাঁচার মতো বাঁচতে শেখায়। এ শক্তি অর্জনের মধ্য দিয়ে মানুষ তার নিজের পরিবারের, সমাজের, রাষ্ট্রের উন্নতি করতে পারে। জ্ঞানশক্তি অর্জনের মাধ্যমে মানুষের জীবন অর্থবহ হয়ে ওঠে। মানব ও মানবজীবন সম্পর্কিত | যাবতীয় কর্মকাণ্ডে মহৎ গুণাবলি, শক্তি সঞ্চারিত হয়। জ্ঞান ছাড়া জীবনে চলার পথ খুঁজে পাওয়া যায় না। জ্ঞানই জীবনে আলো ছড়ায়। আমরা যদি আলোকিত জীবনের সন্ধান পেতে চাই তাহলে আমাদের জ্ঞানের কাছে বারবার ফিরে আসতে হবে। তা না হলে জীবনে দুর্ভাগ্য এবং দুর্ভোগ নেমে আসতে বাধ্য। জ্ঞানই হচ্ছে মানুষের জীবনের পরশপাথর। পরশপাথরের মতো স্পর্শ দিয়ে জীবনকে ফুলে-ফলে বিকশিত করে তোলে জ্ঞানশক্তি। জ্ঞান তার সমস্ত শক্তি দিয়ে জীবনের প্রতিকূলতাকে জয় করতে এবং : আত্মাকে বিনির্মাণ করতে সহায়তা করে। জ্ঞানই আত্মিক, জাগতিক সকল কিছুর সফল বিকাশ ঘটায়। এ জ্ঞানশক্তিই মানুষকে আত্মশক্তিতে বলীয়ান করে শিক্ষার উদ্দেশ্যকে সফল বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় মানুষের জানা, বোঝা, শেখার কৌশলের সাথে সমন্বয় সাধন করে। আমাদের জীবনকে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে উল্লসিত করার ক্ষেত্রে জ্ঞানশক্তির কোনো বিকল্প নেই। জ্ঞানী ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের মধ্য দিয়ে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শিক্ষার উদ্দেশ্যকে সুস্থ, সুন্দর ও সফল খাতে প্রবাহিত করে। এজন্যই ‘শিখা’ পত্রিকার আদর্শবাণী ছিল ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’। জ্ঞানের নিরলস সাধনা জীবনকে উন্নত করে, শিক্ষার উদ্দেশ্যকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলে।
বিকল্প ৫
মূলভাব: শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মনুষ্যত্বের বিকাশ; যা মানুষকে সহায়তা করে আত্মশক্তি বিকাশে। আত্মার শক্তি অর্জন হল শিক্ষার মূল লক্ষ্য। আমাদের শিক্ষা সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণা ভ্রান্ত। সার্টিফিকেট নয় আত্মশক্তি অর্জনই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য তা আমরা বিশ্বাস করতে কুণ্ঠাবোধ করি।
সম্প্রসারিত ভাব: আমাদের সমাজে শিক্ষা মানে কতিপয় সার্টিফিকেট লাভের মাধ্যমে একটা চাকরি জোগাড় করা। কর্ম কিংবা উপার্জন শিক্ষার উদ্দেশ্য নয়, পথ। শিক্ষা মানুষকে চিনতে শেখায় নিজেকে। প্রকৃতপক্ষে নিজেকে জানা বা নিজের সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করায় শিক্ষার উদ্দেশ্য। যে শিক্ষা মানুষকে শুধু বেঁচে থাকার পথ দেখায়, তা কখনো শিক্ষা হতে পারে না। প্রকৃত শিক্ষা মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তোলে মনুষত্ব। তার ভেতরের লুপ্ত শক্তিকে চিনিয়ে দেয়। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ নিজের ক্ষমতা ও শক্তির বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয়। শিক্ষার ফলে মানুষের আত্মপ্রত্যয় আত্মবিশ্বাসের উন্মেষ ঘটে। একজন শিক্ষিত মানুষ অন্যের থেকে পৃথক হয়ে পড়ে তার মার্জিত রুচি বোধ, আচারনিষ্ঠা,ও কর্তব্যপরায়ণতার দ্বারা। আর আত্মবিশ্বাসের বলেই মানুষ তার জীবনকে সুখী ও সুন্দর করে গড়ে তোলার অনুপ্রেরণা লাভ করে। জীবনকে সার্থক ও সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে মানুষকে অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে হয় এবং জীবনে নানা ঘাত প্রতিঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে প্রতিকূল অবস্থার সাথে লড়াই করতে হয়। আত্মবিশ্বাস থেকে শ্রেষ্ঠ আত্মশক্তির বলেই মানুষ জীবন সংগ্রামে জয়ী হতে পারে। আত্মশক্তি মানুষকে তার নিজের ক্ষমতা ও সামর্থের প্রতি আস্থাশীল করে। ফলে সে জীবনের মূল লক্ষ্যের ধারণা লাভে সক্ষম হয় এবং নিজেকে সাফল্যের উচ্চতম স্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। সুশিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রই স্বশিক্ষিত। শিক্ষা মানুষকে তার প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে, যা পরবর্তী জীবনে তাকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এবং আত্মশক্তি অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীবনের সমৃদ্ধি ও সফলতায় মানুষের কাম্য। আর এ জন্য শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আত্মশক্তিকে জাগ্রত করা। কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে পরীক্ষায় পাশ করার মাধ্যমে সার্টিফিকেট লাভ এবং একটি চাকরির ব্যবস্থা করা। ফলে আমাদের আর্থিক উন্নতি হয়ে আত্মশক্তির জাগরণ ঘটছে না।
আরো পড়ুন: জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা
আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।