ত্যাগ ও ভােগ দুয়েরই প্রয়ােজন আছে জীবনে – ভাবসম্প্রসারণ

প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ “ত্যাগ ও ভােগ দুয়েরই প্রয়ােজন আছে জীবনে ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।

ত্যাগ ও ভােগ দুয়েরই প্রয়ােজন আছে জীবনে - ভাবসম্প্রসারণ

ত্যাগ ও ভােগ দুয়েরই প্রয়ােজন আছে জীবনে ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব : সুন্দর সুখী জীবনের জন্য ত্যাগ ও ভোগ উভয়ই প্রয়োজনীয়। এর যে কোন একটির আধিক্যই খারাপ। তাতে একঘেয়েমি জন্মে। ফলে জীবন পরিপূর্ণতা পায় না।

সম্প্রসারিত-ভাব : ভোগ বা আসক্তি মানুষের সহজাত প্রভৃত্তি। এ প্রবৃত্তি এক সময় মানুষকে তার দাসে পরিণত করে। সে অতৃপ্তভাবে শুধু চাইতে থাকে ‘আমাকে আরও দাও, আরও দাও।’ কিন্তু যতই দেওয়া হোক না কেন কোন কিছুতেই তার এ আসক্তি দূর হয় না। এমন হলে মানুষ জীবনে সুখী হতে পারে না। সেসব সময় অতৃপ্তি বোধ করে। এতে জীবনে একঘেঁয়েমি জন্মে। তাছাড়া এ আসক্তি বা লোভ শেষ পর্যন্ত মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়। তাই শুধু ভোগ করলেই হয় না। ভোগের পাশাপাশি ত্যাগও জীবনের জন্য অপরিহার্য। ভোগের চেয়ে ত্যাগেই সুখ বেশি। কারণ ত্যাগের দ্বারা প্রবৃত্তিকে নিবৃত্ত করা যায়। আর প্রবৃত্তিকে জয় করার সাধনাই হচ্ছে জীবনের শ্রেষ্ঠ সাধনা। এ সাধনার দ্বারাই মানুষ প্রকৃত মনুষ্যত্ব লাভ করে। আর সেজন্যই বলা হয়ে থাকে যে, ‘ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।’ তবে শুধু আত্মত্যাগেও জীবনের পরিপূর্ণতা বা পরিপক্কতা আসে না। তাই জীবনকে উপলব্ধি করতে হলে ত্যাগ ও ভোগ উভয়কেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। উভয়ের সমন্বয়েই জীবন পরিপূর্ণ হয়।

অতি আহারে যেমন স্বাস্থ্যহানি ঘটে অনাহারেও তেমন স্বাস্থ্যহানি ঘটে। তাই ত্যাগ ও ভোগ উভয়ই জীবনের জন্য অপরিহার্য।

আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।

Leave a Comment