দশের লাঠি একের বোঝা – ভাবসম্প্রসারণ

প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ “দশের লাঠি একের বোঝা ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।

দশের লাঠি একের বোঝা

দশের লাঠি একের বোঝা ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব: জীবনে সমবেত প্রচেষ্টার বিশেষ তাৎপর্য আছে। সকলে মিলে যেকোনাে কাজই সহজে সমাধা করা যায়।

সম্প্রসারিত ভাব: মানুষের একার তেমন কোনাে শক্তি নেই, সবার মিলিত শক্তির কোনাে তুলনা নেই। একা যেখানে কোনাে কাজের উপযুক্ত বলে গণ্য হয় না, সেখানে অনেকে একত্রিত হয়ে একটা বৃহৎ শক্তিতে রূপ লাভ করে। সমবায়ের মধ্যে যথার্থ শক্তি নিহিত। অন্যদিকে একার পক্ষে যে কাজ করা কঠিন তা বহুজনে ভাগ করে করলে খুব সহজে সমাধা হয়ে যায়। মানুষের সামাজিক জীবন সে উদ্দেশ্যেই গড়ে উঠেছে। পারস্পরিক সহযােগিতার মাধ্যমে জীবন হয়ে ওঠে সুখময়। যৌথ জীবনের এই বৈশিষ্ট্য থেকেই মানুষ একতাবদ্ধ জীবনযাপনে নিয়ােজিত হয়েছে।

মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই আজ বিশ্ব এত বেশি উন্নত এবং সভ্যতার অগ্রগতিও এত বেশি সাধিত হয়েছে। মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও আবিষ্কারের উৎকর্ষের পেছনে বহু মানুষের অবদান কাজ করছে। তাই একার মধ্যে মানুষ কোনাে কল্যাণ খুঁজে পায় না। বরং একা যে কাজটি পারে না, দশজনের হাতে পড়ে তা খুব সহজে শেষ হয়ে যায়। আবার দশ জনের কাজ যদি একজনের ওপর পড়ে, তবে তা সম্পাদন করা মােটেই সত্ব হয় না। লাঠি যখন একজনের হাতে ব্যবহৃত হয় তা হালকা ও তুচ্ছ বলে মনে হয়। কিন্তু দশজনের লাঠি একজনের হাতে দিলে তা তখন বােঝা হয়ে ওঠে। তেমিন দশজনের কাজ একজনের জন্য বােঝা। আবার একজনের বােঝা দশজনের জন্য সাধারণ ব্যাপার। এই বৈশিষ্ট্যের জন্য সমবায় পদ্ধতি প্রচলিত হয়েছে। এর ফলে জীবনের যৌথ উদ্যোগের নানা নমুনা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। সমবেত উদ্যোগই জীবনকে সুখের আকর করতে পারে- এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই।

মন্তব্য: একতাই শক্তি এ কথাটি জীবনে প্রয়ােগ করা উচিত।

বিকল্প ১

মানুষের একার তেমন কোন শক্তি নেই, সকলের সম্মিলিত শক্তির কোন তুলনা নেই। একা যেখানে কোন কাজের উপযুক্ত বলে গণ্য করা হয় না, সেখানে অনেকে একত্রিত হয়ে একটা বৃহৎ শক্তিতে রূপ লাভ করে। সমবায়ের মধ্যেই যথার্থ শক্তি নিহিত। অপরদিকে একার পক্ষে যে কাজ করা কঠিন তা বহু জনে ভাগ করে করলে খুব সহজে সমাধা হয়ে যায়। জীবনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিশেষ তাৎপর্য আছে। সকলে মিলে যে কোন কাজই সহজে সমাধা করা যায়। মানুষের সামাজিক জীবন সে উদ্দেশ্যেই গড়ে উঠেছে। পারস্পরিক সহযােগিতার মাধ্যমে জীবন হয়ে ওঠে সুখময়। যৌথ জীবনের এই বৈশিষ্ট্য থেকেই মানুষ ঐক্যবদ্ধ জীবন যাপনে নিয়োজিত হয়েছে। মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে আজ বিশ্ব এত বেশি উন্নত এবং সভ্যতার অগ্রগতিও এত বেশি সাধিত হয়েছে। মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও আবিষ্কারের উৎকর্ষের পেছনে বহু মানুষের অবদান কাজ করছে। তাই একাকিত্বের মধ্যে মানুষ কোন কল্যাণ খুঁজে পায় না। বরং একা যে কাজটি পারে না, দশজনের হাতে পড়ে তা খুব সহজে সম্পন্ন। হয়ে যায়। আবার দশ জনের কাজ যদি এক জনের ওপর পড়ে তবে তা সম্পাদন করা মােটেই সম্ভব হয় না। লাঠি যখন একজনের হাতে ব্যবহৃত হয় তা হালকা ও তুচ্ছ বলে মনে হয়। কিন্তু দশ জনের লাঠি একজনের হাতে দিলে তা তখন বােঝা হয়ে ওঠে। তেমনি দশজনের কাজ এক জনের জন্য বােঝা। আবার একজনের বােঝা দশ জনের জন্য সাধারণ ব্যাপার। এই বৈশিষ্ট্যের জন্য সমবায়ের পদ্ধতি প্রচলিত হয়েছে। এর ফলে জীবনের যৌথ উদ্যোগের নানা নিদর্শন প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। সম্মিলিত উদ্যোগই জীবনকে সুখের আকর করতে পারে—এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

আরো পড়ুন: জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে

আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।

Leave a Comment