আমাদের সবার ইতিহাস জানা দরকার। তার মধ্যে “দিল্লি-সুলতানির ভাঙনে উদ্ভূত আঞ্চলিক রাজ্যসমূহ : বিজয়নগর সাম্রাজ্য” এই বিষয়টি অবশ্যই জানতে হবে। এটি জানলে আপনার ইতিহাস সম্বন্ধে আরো ধারণা বেড়ে যাবে। আসেন যেনে নেয়।
দিল্লি-সুলতানির ভাঙনে উদ্ভূত আঞ্চলিক রাজ্যসমূহ : বিজয়নগর সাম্রাজ্য
আক্ষরিক অর্থে দিল্লি-সুলতানির পতন ঘটেছিল পানিপথের প্রান্তরে সুলতান ইব্রাহিম লোদীর পরাজয় এবং জহিরুদ্দিন মহম্মদ বাবর কর্তৃক মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠার সাথে (১৫২৬ খ্রিঃ)। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এই ভাঙনের সূচনা হয়েছিল অনেক আগেই সুলতান মহম্মদ-বিন-তুঘলকের রাজত্বকালে। মহম্মদ-বিন-তুঘলকের অবাস্তব পরিকল্পনাসমূহের উপর্যুপরি ভ্রান্তি ইত্যাদি একাধিক কারণে সুলতানি শাসন যখন অস্থির, তখন উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রাদেশিক শাসকরা আঞ্চলিক স্বাধীনতা অর্জনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার সুযোগ পান। সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে একের পর এক বিদ্রোহ দেখা দেয়। বিদ্রোহ দমনের জন্য সুলতান দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়ান। কয়েকটি ক্ষেত্রে বিদ্রোহ দমনে তিনি সফলও হয়েছিলেন। কিন্তু ব্যর্থতার প্রতিক্রিয়া ছিল বেশি ক্ষতিকর। দক্ষিণ ভারতে স্থাপিত হয় স্বাধীন বিজয়নগর সাম্রাজ্য। দাক্ষিণাত্যের আরও উত্তরে বহিরাগত মুসলমানরা দৌলতাবাদকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠা করেন স্বাধীন মুসলমান রাজ্য। পরে এটিই ‘বাহমনী সাম্রাজ্যে’ পরিণত হয়। পূর্ব ভারতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে। যে মহম্মদ তুঘলকের আমলে দিল্লি-সুলতানি বিস্তৃতির সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছিল; সেই মহম্মদের রাজত্বের শেষ পর্বে শুরু হয়েছিল ভাঙনের অধ্যায়। পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থার ক্রমিক অবনতি; তৈমুর লঙের বিধ্বংসী আক্রমণ, তুঘলকবংশীয় শাসনের অবসান ইত্যাদির সুযোগে কয়েকজন প্রাদেশিক শাসক এবং ছোটো ছোটো স্বশাসিত রাজ্যের রাজারা স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দাক্ষিণাত্যের বাহমনী ও বিজয়নগর রাজ্যে এবং পূর্ব ভারতে বাংলাদেশ এর পথে অগ্রসর হয় পশ্চিম ভারতের সিন্ধু ও মুলতান, গুজরাট, মালব ও জৌনপুর (পূর্ব উত্তরপ্রদেশ)। আজমির থেকে মুসলমান শাসনকর্তাকে বিতাড়িত করে রাজপুতানার রাজ্যগুলিও তাদের হৃতস্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে। ১৪১৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে সুলতানি সাম্রাজ্যের পরিধি উত্তর ভারতের ক্ষুদ্র গণ্ডীর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
তুঘলক শাসনের অবসান ও মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থানের অন্তর্বর্তীকালে ভারতের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু দিল্লি থেকে অন্তর্হিত হয়েছিল। আলোচ্যপর্বে উত্তর ভারতের সদ্য-স্বাধীন রাজ্যগুলির ক্ষমতাদখলের চেষ্টা এবং দিল্লির সৈয়দ ও লোদীবংশীয় শাসকদের সুলতানির মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যর্থ প্রচেষ্টার মধ্যেই ভারতের রাজনৈতিক কর্মসূচি সীমাবদ্ধ হয়েছিল। তবে এই সময় আঞ্চলিক রাজ্যগুলির মধ্যে শক্তিসাম্য বজায় রাখার নির্দিষ্ট প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ এই সকল রাজ্যের রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে বৃহত্তর সাম্রাজ্য স্থাপনের প্রয়াস যেমন দেখা যায়নি; তেমনি কোনো একটি বিশেষ রাজ্যের শক্তিবৃদ্ধির পথে অন্তরায় সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে অন্যান্যদের উদ্যোগেরও অভাব ছিল না। পশ্চিম ভারতে গুজরাট, মালব ও মেবার একে অপরের শক্তিবৃদ্ধির পথে বাধা হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকে। বাংলাদেশের সাথে সংঘাত চলে উড়িষ্যা ও জৌনপুরের মধ্যে। লোদীদের দ্বারা জৌনপুর অধিকৃত হলে একদিকে বাংলার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে লোদীশাসক রাজপুতনা ও মালবে কর্তৃত্ব বিস্তারের কাজে উদ্যোগী হন। অধ্যাপক সতীশ চন্দ্রর মতে, এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী রাজ্যই উত্তর ভারতের কর্তৃত্ব অর্জনের অধিকারী হত। সম্ভবত, এই কারণে রানা সংগ্রাম সিংহ দিল্লির বিরুদ্ধে বাবরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল মুঘলের সাহায্যে লোদী শক্তিকে ধ্বংস করে মেবারকে উত্তর ভারতের নেতৃশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। অবশ্য এই ঘটনা সত্যি হলে স্বীকার করতে হয় যে, রানা সংগ্রামের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব হয়তো ছিল না, কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাব অবশ্যই ছিল।
বিজয়নগর সাম্রাজ্য :
বিজয়নগর সাম্রাজ্যের উৎপত্তি সম্পর্কে নানা মত প্রচলিত আছে। তবে দুটি প্রাথমিক বিষয়ে সবাই একমত যে, মহম্মদ-বিন্-তুঘলকের আমলে দাক্ষিণাত্যের তুর্কি মুসলমানদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া এই হিন্দুরাজ্যের উৎপত্তির প্রেরণা দিয়েছিল এবং সঙ্গমবংশীয় দুই ভাই হরিহর এবং বুক্ক ছিলেন এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। ঐতিহাসিক সীওয়েল (Sewell) তাঁর বিখ্যাত ‘এ ফরগটুন এম্পায়্যার গ্রন্থে বিজয়নগরের উৎপত্তি সম্পর্কে সাতটি কিংবদন্তীর উল্লেখ করেছেন। এগুলির মধ্যে ‘হরিহর’ ও ‘বুদ্ধ’ সম্পর্কিত কাহিনিটি একাধিক পণ্ডিতের বক্তব্যে সমর্থিত হয়েছে। সিওয়েল লিখছেন যে, বরঙ্গলের কাকতীয়বংশের অধীনে সামন্ত হিসেবে সঙ্গমবংশ নিয়োজিত ছিল। কাকতীয়বংশীয় রাজা প্রতাপরুদ্রদেবের অধীনে সঙ্গমবংশীয় হরিহর ও বুদ্ধ নামক দুই ভাই নিয়োজিত ছিলেন। সুলতানি বাহিনী বরঙ্গল আক্রমণ করলে এই দুই ভাই হোয়সলরাজ তৃতীয় বীরবল্লালের রাজ্যে চলে আসেন এবং তাঁর অধীনের চাকুরি গ্রহণ করেন। সুলতানি বাহিনী হোয়সলরাজ্য আক্রমণ কালে এই দুই ভাইকে বন্দি হিসেবে দিল্লিতে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়। পরে দাক্ষিণাত্যের হিন্দু-বিদ্রোহকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে মহম্মদ তুঘলক এদের আনেগুণ্ডিতে শাসকপদে নিযুক্ত করেন। পরে সুযোগমতো এঁরা স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং স্বাধীন বিজয়নগর রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
ইতিহাসবিদ ভেঙ্কটরামনাইয়া (N. Venkataramanayya) এবং ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার বিজয়নগর রাজ্যের উৎপত্তির মূল প্রেরণা হিসেবে দাক্ষিণাত্যে মুসলিম-বিরোধী হিন্দু-প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। ড. স্মিথ (V. A. Smith) লিখেছেন : “There is however no doubt that the new power was the outcome of the efforts made by the five brothers, sons of Sangama, to stay the tide of the Muslim invasion and preserve the Hindu Dharma in the penisula.” এঁদের মতে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতাদখলের উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়; বিজয়নগর রাজ্য স্থাপিত হয়েছিল দাক্ষিণাত্যে ক্রমপ্রসারমান মুসলিম অধিপত্যকে বাধা দেবার জন্য। ড. মজুমদারের মতে, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র এবং কৃষ্ণা-তুঙ্গভদ্রার দক্ষিণতীরের হিন্দু রাজ্যগুলির মধ্যে মুসলমান সম্প্রসারণ-বিরোধী একধরনের শক্তিজোট গড়ে উঠেছিল। এর অন্যতম কারণ হল দক্ষিণ ভারতে মুসলমান শক্তির অগ্রগতির প্রাথমিক চরিত্র যতটা রাজ্যবিজয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল, তার থেকে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ ছিল একদল শক্তিশালী মানুষের দত্তপূর্ণ কর্তৃত্ব জাহির করা ও লুঠতরাজের মানসিকতার সাথে। দক্ষিণ ভারতের যেখানেই মুসলমান বাহিনী গিয়েছে, সেখানেই তারা ধ্বংস ও মৃত্যু বয়ে নিয়ে গেছে। তখন দক্ষিণ ভারতে হিন্দুরাই ছিল সংখ্যায় ও কর্তৃত্বে গরিষ্ঠ। স্বভাবতই মুসলমান আক্রমণের ফলে হিন্দুরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সবথেকে বেশি এবং এই ক্ষতি হয়েছিল আর্থিক ও প্রতিপত্তি উভয় দিক থেকেই। এমতাবস্থায় দক্ষিণ ভারতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল, তাই ক্রমে মুসলিম-বিরোধী মুক্তি সংগ্রামের রূপ নেয়। মহম্মদ-বিন-তুঘলকের আমলে হিন্দু- প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কৃষ্ণা-গোদাবরী নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে জনৈক প্রলয় নায়ক হিন্দু অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। প্রলয় নায়ক-এর মৃত্যুর পর তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র কাপায় নায়ক (বা কৃষ্ণ নায়ক) এর নেতৃত্বে হিন্দু-সংগঠন আরও জোরদার হয়। দক্ষিণ ভারতের প্রায় পঁচাত্তর জন হিন্দু নায়ক কৃষ্ণ নায়কের নেতৃত্বে আন্দোলন চালিয়ে যান। হোয়সলরাজ তৃতীয় বীরবল্লালের সহায়তায় তিনি বরঙ্গলের মুসলমান গভর্নর মালিক মকবুলকে বিতাড়িত করে অন্ধ্র অঞ্চল মুসলিম-কর্তৃত্বমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ক্রমে এই হিন্দু জাগরণ পশ্চিম দাক্ষিণাত্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। তুঙ্গভদ্রার উপকূল অঞ্চলে চালুক্য সোমদেবের নেতৃত্বে হিন্দুরা সংঘবদ্ধ হন। কাম্পিলির মুসলমান গভর্নর মালিক মহম্মদের বিরুদ্ধে সোমদেব ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন। পোর্তুগীজ পর্যটক নুনিজ-এর বর্ণনা থেকেও কাম্পিলির নিকবর্তী আনেগুণ্ডিতে হিন্দু কর্তৃত্ব স্থাপনের কাহিনি সমর্থিত হয়েছে। সুলতান মহম্মদ-বিন-তুঘলক কূটনৈতিক উপায়ে কাম্পিলি পুনঃরুদ্ধারের উদ্যোগ নেন। তিনি ইতিপূর্বে হরিহর ও বুব্ধ নামক দু ভাইকে কাম্পিলি থেকে বন্দি করে রাজধানীতে এনেছিলেন। এঁরা ইসলামে ধর্মান্তরিতও হয়েছিলেন। মহম্মদ আনুগত্যের শপথ করিয়ে নিয়ে এই দুই ভাইকে কাম্পিলির শাসক পদে নিয়োগ করেন। সুলতানের উদ্দেশ্য প্রাথমিক পর্যায়ে সফল হয়। আনেগুণ্ডিতে এই দুই ভাই জনসমর্থনলাভে সমর্থ হন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই এই দুই ভাই দিল্লির আনুগত্য অস্বীকার করেন। এঁরা বুঝতে পারেন যে, দিল্লির বহু দূরে অবস্থিত এই হিন্দুপ্রধান অঞ্চলে দিল্লি-সুলতানির আধিপত্য বজায় রাখা খুবই কষ্টকর। আবার দিল্লির প্রভাবমুক্ত স্বাধীন সুলতানি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। এমতাবস্থায় হরিহর এবং বুব্ধ ইসলামধর্ম ত্যাগ করে পুনরায় হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন এবং তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে স্বাধীন হিন্দুরাজ্যের সূচনা করেন।
ইসামী ও বারাণীর রচনাতেও জনৈক বিধর্মী কর্তৃক কাম্পালায় স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠার কাহিনি উল্লিখিত হয়েছে। স্বধর্মে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে হরিহর ও বুক্ককে প্রভাবিত করেন তাঁদের গুরু মাধব বিদ্যারণ্য। স্বধর্মে প্রত্যাবর্তনের কাজটাও খুব সহজ ছিল না। কারণ হিন্দুধর্মে অন্য কোনো ধর্মাবলম্বীকে পুনর্গ্রহণের রীতি ছিল না। তা ছাড়া, মুসলিম শাসকের প্রতিনিধি হবার ফলে এই দুই ভাইকে হিন্দুরা কিছুটা সন্দেহ ও অবিশ্বাস করত। হিন্দুদের এই সন্দেহ দূর করার জন্য বিদ্যারণ্য তাঁর শৃঙ্গেরীর অদ্বৈত মঠের প্রধান বিদ্যাতীর্থের শরণাপন্ন হন। বিদ্যারণ্য তাঁর গুরুকে বোঝান যে, মুসলমানদের হাত থেকে হিন্দুধর্মকে রক্ষা করার জন্য এই দুজনকে হিন্দুধর্মে পুনর্গ্রহণ আবশ্যিক। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত তিনি সফল হন। জনগণকে সন্তুষ্ট করার জন্য ঘোষণা করা হয় যে, হরিহর ভগবান শ্রীবিরূপাক্ষের প্রতিনিধি রূপেই দেশ শাসন করবেন। এজন্য হরিহর ‘শ্রীবিরূপাক্ষ’ নাম গ্রহণ করেন এবং এই নামেই সমস্ত সরকারি নথিতে স্বাক্ষর দেন। ১৩৩৬ খ্রিস্টাব্দে হরিহর ‘হাম্পি হস্তিনাবতী’র রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন। এই বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য তুঙ্গভদ্রার তীরে নতুন রাজধানী বিজয়নগর-এর ভিত্তি স্থাপন করেন। ঐতিহাসিক দেশাই একটু স্বতন্ত্রভাবে এই ঘটনার ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, দাক্ষিণাত্যে হিন্দু-জাগরণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হোয়সলরাজ তৃতীয় বীরবল্লাল। তিনিই অধীনস্থ রাজ্য হিসেবে হাম্পিরাজ্যের পত্তন করেন এবং হরিহরকে শাসক নিযুক্ত করেন। তৃতীয় বল্লাল নিহত হবার পর হরিহর স্বাধীনভাবে রাজ্য শাসন শুরু করেন। যাই হোক, একথা সর্বজনস্বীকৃত যে, হরিহর এবং বুদ্ধ বিজয়নগর রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং দাক্ষিণাত্যের মুসলমান শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রায় তিনশো বছর বিজয়নগর রাজ্যে নিজের অস্তিত্ব বজায় রেখেছিল।
আশা করি আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যদি বুঝতে পারেন তাহলে আমাদের অন্যান্য পোস্ট ভিজিট করতে ভুলবেন না।