প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ “নাচতে না জানলে উঠানের দোষ ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।
নাচতে না জানলে উঠানের দোষ ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব : কাজে কুশলতা দেখাতে না পারলে মানুষ অপরের উপর দোষ চাপাতে চেষ্টা করে। নিজের অক্ষমতা ঢেকে রাখার জন্য মানুষের এ ধরনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
সম্প্রসারিত-ভাব : নিজের কোন দোষ-ত্রুটি কেউ স্বীকার করতে চায় না বলে অপরের উপর দোষ চাপানোর বৈশিষ্ট্য মানুষ দেখিয়ে থাকে। নাচতে জানলেই তবে নৃত্যশিল্পী হয়ে ওঠা সম্ভব। দক্ষতার জন্য বাহাদুরি তারই প্রাপ্য। কিন্তু নাচে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব না হলে তখন দোষ চাপানো হয় নাচের উঠানের উপর। উঠান বাঁকা সেজন্য নাচা গেল না। এমন কৈফিয়ৎ অক্ষম নৃত্যশিল্পীরাই দিয়ে থাকে। এ ধরনের প্রবণতা মানুষ তার বিভিন্ন কাজে ফুটিয়ে তোলে। নিজের ব্যর্থতা বা অক্ষমতার কথা মানুষ সহজে স্বীকার করতে চায় না। অন্যের উপর দোষারোপ করে নিজের গ্লানি থেকে রেহাই পেতে চায়। সেজন্য মানুষ যুক্তির আড়ালে ক্রুটি গোপন করে। নিজেকে নির্মল করে রাখার চেষ্টা মানুষের থাকে। কিন্তু জীবনে ব্যর্থতা থাকবে না এমন হতে পারে না। দুর্বল মনের মানুষ সে ব্যর্থতাকে স্বীকার করে না। যার সাহস নেই, উদারতা নেই সে-ই এমন পরের উপর দোষ চাপায়।
তাই মানুষকে বড় মনের অধিকারী হতে হবে এবং সত্যকে যথাযথভাবে স্বীকার করে নিতে হবে। নিজের দোষ স্বীকার করা বড় গুণ। মানুষকে এ গুণের অধিকারী হওয়া উচিত।
আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।