বাঙালি নিয়ে উক্তি: আমরা প্রায় সবাই কম বেশি উক্তি পড়ে থাকি। তার মধ্যে আমাদের সবার প্রিয় বাঙালি নিয়ে উক্তি । উক্তি আমাদের জীবনকে নতুন করে জাগ্রত করে তোলো। আমাদের সবার এই উক্তিগুলো জেনে বুঝে পড়া উচিত। এগুলো মনের ভেতর গুছিয়ে রাখা উচিত। এই উক্তি আমাদের মনকে শান্ত করে দেই। তাই আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম এই অসামান্য বাঙালি নিয়ে উক্তি ক্যাপশন স্ট্যাটাস ❤❤❤। যা আপনাদের খুবই ভালো লাগবে। অবশ্যই ভালো লাগবে।
তবে হ্যা আপনার যদি এই সব উক্তি ভালো লেগে থাকে। তা হলে আমাদের ওয়েবসাইটেরও অন্যান্য পোস্ট গুলো অবশ্যই পড়েবেন। ধন্যবাদ ❤❤❤
বাঙালি নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস
যদি ভারতবর্ষকে একখানা উপন্যাস মনে করেন, তবে বাঙালী তাহার নায়িকা! ভারতের পুরুষ সমাজে আমরা পুরুষিকা! অতএব, আমরা মূর্তিমান কাব্য।
— বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।
এ-বদ্বীপে দালালি ছাড়া ফুলও ফোটে না, মেঘও নামে না
—হুমায়ূন আজাদ
আমি সব ত্যাগ করতে পারি, তোমাদের ভালোবাসা আমি ত্যাগ করতে পারিনা।
—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বাঙালি অভদ্র, তার পরিচয় রয়েছে বাঙালির ভাষায়। কেউ এলে বাঙালি জিজ্ঞেস করে, ‘কী চাই?’ বাঙালির কাছে আগন্তুকমাত্রই ভিক্ষুক। অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে বাঙালি বলে, ‘দাঁড়ান’। বসতে বলার সৌজন্যটুকুও বাঙালির নেই।
—হুমায়ূন আজাদ
মানুষ মরণশীল, বাঙালি অপমরণশীল
—হুমায়ূন আজাদ
বাঙালিকে একটি একাডেমি দাও, বাঙালি সেটিকে গোয়ালে পরিণত করবে
—হুমায়ূন আজাদ
আমার প্রতিভাকে প্রসংশা করলেও ওই পুজিঁপতি গাধাটাকেই আসলে পছন্দ করো তুমি
—হুমায়ূন আজাদ
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ। মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বৈশাখ হে, মৌনী তাপস, কোন্ অতলের বাণী এমন কোথায় খুঁজে পেলে। তপ্ত ভালের দীপ্তি ঢাকি মন্থর মেঘখানি এল গভীর ছায়া ফেলে॥
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রুদ্রতপের সিদ্ধি এ কি ওই-যে তোমার বক্ষে দেখি, ওরই লাগি আসন পাতো হোমহুতাশন জ্বেলে॥ নিঠুর, তুমি তাকিয়েছিলে মৃত্যুক্ষুধার মতো তোমার রক্তনয়ন মেলে।
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাঙালীর হাজার বছরের যে ইতিহাস, তাতে সর্বশ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব হলো মুক্তিযুদ্ধ। বাঙালী জাতি একত্রিত হলে যে দা, শাবল, বটি, কুড়াল নিয়েও ট্যাংক, কামানের মোকাবিলা করতে পারে, বাংলাদেশের এই মুক্তিযুদ্ধই তার প্রমাণ।
— রাজশেখর বসু।
আমাদের অধিকাংশের চরিত্র এতো নির্মল যে তার নিরপেক্ষ বর্ণনা দিলেও মনে হয় অশ্লীল গালাগাল করা হচ্ছে
—হুমায়ূন আজাদ
বিনয়ীরা সুবিধাবাদী, আর সুবিধাবাদীরা বিনয়ী
—হুমায়ূন আজাদ
বাঙলা দেশে জন্মিয়াছে বলিয়াই যে সে বাঙালি তা নয়, বরং সে বাঙলা ভাষা ও সংস্কৃতির মধ্য দিয়া চিত্তলোকে যাতায়াত করিতেছে বলিয়াই, তাহারা বাঙালী।
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
যে বয়সে বাঙালি তারুণ্য প্রায় অনিবার্যভাবে কবিতা লিখে, আমি সেই বয়সে ইউরোপীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শুনতে পছন্দ করতাম।
— সত্যজিৎ রায়।
গণশৌচাগার দেখলেই কেনোযেনো আমার বাঙালির আত্মাটির কথা বারবার মনে পড়ে
—হুমায়ূন আজাদ
বাঙালি জাতি এখন বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলছে, আগামীতেও মাথা উঁচু করে চলবে, সেটাই হবে আমাদের আজকের দিনের প্রতিজ্ঞা।
—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পাকিস্তান সৃষ্টির ক্ষেত্রে বাঙালিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু আমরা তাদের সঙ্গে উপযুক্ত আচরণ করিনি এবং তাদের আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিই।
—নওয়াজ শরীফ
টয়লেট আপনাদের সম্পদ, এটাকে আপনাদেরই সুরক্ষা করতে হবে। এত সুন্দর টয়লেট আমার বাড়িতেও নেই।
—মেয়র আনিসুল হক
মুজিব হত্যার পর বাঙালীদের আর বিশ্বাস করা যায় না, যারা মুজিবকে হত্যা করেছে তারা যেকোন জঘন্য কাজ করতে পারে
—উইলিবান্ট
বাঙলার বিবেক খুবই সন্দেহজনক। বাঙলার চুয়াত্তরের বিবেক সাতাত্তরে পরিণত হয় সামরিক একনায়কের সেবাদাসে।
—হুমায়ূন আজাদ
বাঙলাদেশ অমরদের দেশ। এ-দেশের প্রতি বর্গমিটার মাটির নিচে পাঁচ জন ক’রে অমর ঘুমিয়ে আছেন।
—হুমায়ূন আজাদ
শাড়ি প’রে শুধু শুয়ে থাকা যায়; এজন্যে বাঙালি নারীদেরহাঁটা হচ্ছে চলমান শোয়া
—হুমায়ূন আজাদ
চৈত্রে দিয়া মাটি বৈশাখে কর পরিপাটি।
—ক্ষণা
চৈত্রে চালিতা, বৈশাখে নালিতা, আষাড়ে……… ভাদ্রে তালের পিঠা। আর্শ্বিনে ওল, কার্তিকে কৈয়ের ঝুল
—ক্ষণা
চৈত্রেতে থর থর বৈশাখেতে ঝড় পাথর জ্যৈষ্ঠতে তারা ফুটে তবে জানবে বর্ষা বটে।
—ক্ষণা
চৈতে গিমা তিতা, বৈশাখে নালিতা মিঠা, জ্যৈষ্ঠে অমৃতফল আষাঢ়ে খৈ, শায়নে দৈ। ভাদরে তালের পিঠা, আশ্বিনে শশা মিঠা, কার্তিকে খৈলসার ঝোল, অগ্রাণে ওল। পৌষে কাঞ্ছি, মাঘে তেল, ফাল্গুনে পাকা বেল।
—ক্ষণা
মাঘে মুখী, ফাল্গুনে চুখি, চৈতে লতা, বৈশাখে পাতা।
—ক্ষণা
শুনরে বেটা চাষার পো, বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে হলুদ রো। আষাঢ় শাওনে নিড়িয়ে মাটি,ভাদরে নিড়িয়ে করবে খাঁটি। হলুদ রোলে অপর কালে, সব চেষ্টা যায় বিফলে।
—ক্ষণা
বৈশাখের প্রথম জলে, আশুধান দ্বিগুণ ফলে।
—ক্ষণা
পৌষের কুয়া বৈশাখের ফল। য’দ্দিন কুয়া ত’দ্দিন জল। শনিতে সাত মঙ্গলে/(বুধ) তিন। আর সব দিন দিন
—ক্ষণা
বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনও বসে—বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি, ফিকাহ ও হাদিস চষে
—কাজী নজরুল ইসলাম
বাঙালি গরমের ভক্ত নরমের যম। একটু নরম দেখলেই উপায় নেই—ঝাঁপ দিয়ে পড়বে। তারা যত ঝাঁপ দেবে পুলিশ তত বিপদে পড়বে। বাঙালি জাতির যত রাগ খাকি পোশাকের দিকে। পুলিশের দিকে ঢিল মারতে পারলে তারা আর কিছু চায় না
—হুমায়ূন আহমেদ
আমাদের মধ্যে সম্মান করা এবং অসম্মান করার দুটি প্রবনতাই প্রবলভাবে আছে। কাউকে পায়ের নিচে চেপে ধরতে আমাদের ভালো লাগে, আবার মাথায় নিয়ে নাচানাচি করতেও ভালো লাগে
—হুমায়ূন আহমেদ
আমাদের দেশের পূর্বসুরী বলতে যাদের বোঝায়, তাদের মধ্যে জ্ঞানে, গুণে —কবি, সাহিত্যিক, লেখক, শিল্পী, বিজ্ঞাণীদের মধ্যে এমন কোন বড় বিশ্বমাপের লোক নেই যাদের চিন্তাধারা অনুসরণ করে বেশীদূর এগিয়ে যাওয়া যাবে। সুতরাং “নেই” এটা মেনে নিয়ে কাজ করলে সুফল পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ কুয়াসার চাইতে অন্ধকার ভালো
—আহমদ ছফা
সাত কোটি বাঙালিরে হে মুগ্ধ জননী রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমাদের যখন গুছিয়ে কথা বলা দরকার তখন টেলিগ্রাফের ভাষায় কথা বলি। আর যখন সার সংক্ষেপ বলা দরকার তখন পাঁচ শ পৃষ্ঠার উপন্যাস শুরু করি।
—হুমায়ূন আহমেদ
বাঙ্গালীকে বেশি প্রশংসা করতে নেই। প্রশংসা করলেই বাঙালি এক লাফে আকাশে উঠে যায়। আকাশে উঠে গেলেও ক্ষতি ছিল না—আকাশ থেকে থুথু ফেলা শুরু করে।
—হুমায়ূন আহমেদ
ধর্মপ্রাণ বাঙ্গালী মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে; কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না এ ধারণা অনেকেরই হয়েছিল। জনসাধারণ চায় শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।
—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হলে অসাধ্য সাধন করতে পারে
—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে?
—শের-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক
ভীষণ, তোমার প্রলয়সাধন প্রাণের বাঁধন যত যেন হানবে অবহেলে। হঠাৎ তোমার কণ্ঠে এ যে আশার ভাষা উঠল বেজে, দিলে তরুণ শ্যামল রূপে করুণ সুধা ঢেলে॥
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঈশানের পুঞ্জমেঘ অন্ধবেগে ধেয়ে চলে আসে বাধাবন্ধহারা গ্রামান্তরে বেণুকুঞ্জে নীলাঞ্জনছায়া সঞ্চারিয়া হানি দীর্ঘধারা। বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন, চৈত্র অবসান—-গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের সর্বশেষ গান।
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাঙালি নিয়ে ক্যাপশন এসএমএস
ধূসরপাংশুল মাঠ, ধেনুগণ যায় ঊর্ধ্বমুখে, ছুটে চলে চাষি। ত্বরিতে নামায় পাল নদীপথে ত্রস্ত তরী যত তীরপ্রান্তে আসি। পশ্চিমে বিচ্ছিন্ন মেঘে সায়াহ্নের পিঙ্গল আভাস রাঙাইছে আঁখি—-বিদ্যুৎ-বিদীর্ণ শূন্যে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলে যায় উৎকণ্ঠিত পাখি।
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ওরা আমারই সন্তান। আমাকে কেন হত্যা করবে?
—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে, বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি, অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক। মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বছর ঘুরে এলো আরেক প্রভাতী ফিরে এলো সুরের মঞ্জুরী পলাশ শিমুল গাছে লেগেছে আগুন এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি মেলায় যাইরে, মেলায় যাইরে বাসন্তী রঙ শাড়ী পরে ললনারা হেটে যায়
—মাকসুদ
হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ! ধুলায় ধূসর রুক্ষ উড্ডীন পিঙ্গল জটাজাল, তপঃক্লিষ্ট তপ্ত তনু, মুখে তুলি বিষাণ ভয়াল কারে দাও ডাক হে ভৈরব, হে রুদ্র বৈশাখ!
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দিন চলে যায় ঋতুর খেয়ায়, আসে ও যায় বছর মাস কারো কাটে কষ্টে আবার কেউ বা করে সুখেই বাস বদল খেলায় রঙিন আলোয় সুবজ পাতায় লাগে দোল বছর ঘুরে বোশেখ আসে একতারা ও বাজে ঢোল।
—শাহানারা রশিদ
এখন আমার জেগে ওঠার সময় এখন আমার সময় পথে নামার এখন সময় নতুন সূর্যের.. এখন সময় পূর্বপানে চাওয়ার
—সংগৃহীত
শোনা যায় ভোরের আযান আর কোকিলের কলতান আর ফেসবুকে জ্বল-জ্বলন্ত নববর্ষের জয়গান
—সংগৃহীত
কী যে খুঁজি, নিজেই পাই না বুঝে হেলায় ভুলে, খেয়াল খুলে দেয়াল মরি জুঝে। আমার দিন কেটে যায় খুঁজে!
—সংগৃহীত
অপেক্ষা —একটি রাত্রিশেষের অপেক্ষা —একটি সূর্যোদয়ের আকাঙ্ক্ষা —চিরন্তন নতুনত্বের সময় যখন —একটি নববর্ষের
—সংগৃহীত
বাঙালীদের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা হলো তাদের ভালোবাসার ক্ষমতা। এই বিষয়ে বিশ্বের যে কোনো জাতি অনায়াসে বাঙালিদের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য।
— কিশোরীমোহন দাস।
‘ সালে সবচেয়ে নৃশংস ঘটনা ঘটেছিলো নারীদের সাথে। পাকিস্তানি সৈন্যরা যখন পরাজয় বুঝতে পারলো, তখন তারা যেভাবে বাঙালী নারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো, তার নিন্দা করার ভাষাও আমার কাছে নেই।
— ইরিশ চ্যাঙ।
আমাদের বাঙালীর মধ্যে দুটো দিক আছে, এক হলো আমরা মুসলমান, আর দুই হলো আমরা বাঙালী।
— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
যে জাতি ( বাঙালী ) বিড়ালের ভয় দেখিয়ে সন্তানদের ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করবে কি করে?
— শেরে-বাংলা এ কে ফজলুল হক।
সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে, মানুষ কর নি।
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ।
বাংলাদেশের বাঙালী যে আমার বাবাকে হত্যা করতে পারে, এ তো চিন্তারও বাইরে।
— বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা।
বাঙালীদের সামনে তাদের বেশি প্রশংসা করতে নেই, প্রশংসা করলেই তারা এক লাফে মাথায় উঠে যায়।
— হুমায়ূন আহমেদ।
আমরা হিন্দু বা মুসলিম এ কথা যেমন সত্য, তেমনি সত্য যে আমরা বাঙালি। এটি কোনো আদর্শের কথা নয়। এটি একটি বাস্তব কথা। মা প্রকৃতি আমাদের চেহারায় ও ভাষায় বাঙালিত্বের এমন ছাপ দিয়ে দিয়েছেন যে মালা – তিলক – টিকিতে কিংবা টুপি – লুঙ্গি – দাঁড়িতে তা ঢাকবার জো – টি নেই।
— ডমুহম্মদ শহীদুল্লাহ্।
মানুষের ওপর থেকে বিশ্বাস হারানো পাপ, তবে বাঙালির ওপর বিশ্বাস রাখা আরো বেশি বিপদজনক।
— হুমায়ূন আজাদ।
“মানুষের ওপর থেকে বিশ্বাস হারানো পাপ, তবে বাঙালির ওপর বিশ্বাস রাখা আরো বেশি বিপদজনক।” – হুমায়ূন আজাদ
“যে বয়সে বাঙালি তারুণ্য প্রায় অনিবার্যভাবে কবিতা লিখে, আমি সেই বয়সে ইউরোপীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শুনতে পছন্দ করতাম।” – সত্যজিৎ রায়।
“বাঙালী বাংলা দেশে জন্মেছে বলেই যে বাঙালি তা নয়। বাংলা ভাষার ভিতর দিয়ে মানুষের চিত্তলোকে যাতায়াতের বিশেষ অধিকার পেয়েছে বলেই সে বাঙালি।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাঙালিরা সবার মন জুগিয়ে চলতে পারে, তাদের মন বোঝা সত্যিই খুব কষ্টকর।
“বাঙালী তার রসনার পরিচর্যায় যে সময় ব্যায় করে, তার কিছু অংশ যদি জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিজ্ঞান চিন্তায় ব্যবহার করতো, তবে বাঙালী আজ পৃথিবীর বুকে এক অনন্য জাতি হতে পারতো৷” – সত্যজিৎ রায়।
বাঙালীর হাজার বছরের যে ইতিহাস, তাতে সর্বশ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব হলো মুক্তিযুদ্ধ।
বাঙালিরা নিজেদের সংস্কৃতি বজায় রাখার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্ত জাতিকে সন্মান করে।
বাঙালিরা একজোট হলে অসাধ্য সাধন করতে পারে।
বাঙ্গালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ।
বাঙালিয়ানা বাঙালির প্রতিচ্ছবি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পালটে যাচ্ছে বাঙালির আচরণ।
বাঙালীদের বীরত্বের ইতিহাসের শুরু তো আজকে নয়। সেই তো কবে থেকেই বাঙালির লড়াই শুরু। দিনে দিনে তা শুধু রং পাল্টে নতুন মোড়ক ধারণ করেছে। আর কিছু না।
— সমরনাথ কুণ্ডু।
বাঙালী তার রসনার পরিচর্যায় যে সময় ব্যায় করে, তার কিয়দাংশও যদি জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিজ্ঞান চিন্তায় ব্যবহার করতো, তবে বাঙালী আজ পৃথিবীর বুকে এক অনন্য জাতি হতে পারতো৷
— সত্যজিৎ রায়।
আপন মাংস যেমন হরিণের বৈরী, তেমনি বাঙালিই বাঙালির প্রতিদ্বন্দ্বী। সে সাবানের মধ্যে যেটি নিকৃষ্টতম সেটির নাম দিয়েছে ‘বাংলা সাবান’, মদের মধ্যে যেটি নিকৃষ্টতম সেটির নাম দিয়েছে ‘বাংলা মদ’, অতএব দুর্মুখেরা বলাবলি করবেই, ‘এই নিরিখে জাতির মধ্যে সবচেয়ে মন্দ যে জাতি, সেটা হচ্ছে বাঙালি জাতি।
— নীরদ চৌধুরী
আমরা (বাঙালিরা) আরম্ভ করি ঠিকই , তবে শেষ করি না; আড়ম্বর করি, কিন্তু কাজ করি না; যাহা অনুষ্ঠান করি, তাহা বিশ্বাস করি না; যাহা বিশ্বাস করি, তাহা পালন করি না; ভূরি পরিমাণ বাক্য রচনা করিতে পারি, তবে তিল পরিমাণ আত্মত্যাগ করিতে পারি না;… পরের চক্ষে ধূলি নিক্ষেপ করিয়া আমাদের পলিটিকস এবং নিজের বাকচাতুর্যে নিজের প্রতি ভক্তিবিহ্বল হইয়া উঠাই আমাদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য।
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বাঙালীর ইতিহাসে সেরা বিষ্ময় যে রবীন্দ্রনাথ, এতে সন্দেহ নাই। তবে সেই বাঙালীর একমাত্র পরিচায়ক নয়। জগদীশ চন্দ্র বসু, সত্যেন বোস, রাজশেখর বসু, সত্যজিত রায়ের মতো লোকেরাও নিজেদের বাঙালী বলেই পরিচয় দেন।
— সংগৃহীত।
Also Read: অমানুষ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন এসএমএস
আমি আশা করি আপনারা এই পোস্ট থেকে বাঙালি নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন এসএমএস পেয়েছেন। এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটকে ফলো করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।