তো আজকে আমরা দেখবো বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
বিগত দুই বছর ধরে আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু রে ভাই বিয়েটা কেমনে করি! আগে তো নিজের পায়ে দাড়াই, বিয়ে করে বউ কে খাওয়াবো কি। আমি তানভীর এই ছাত্রজীবন শেষ হলো। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে, বাবার যে বিজনেস আছে তা দিয়ে আমার ৩ পুরুষ খেতে পারবে। তাই ভাবছি ২-৩ বছর শুধু আড্ডা দিমু ঘুরাঘুরি করমু, পারলে একটা প্রেম করমু, প্রেম করে বিয়া করুম।
এই মূহুর্তে আমি বাড়ির ছাদে বসে আছি,,, আর কান দিয়ে শুনতে পাচ্ছি কে যেনো আমার নাম ধরে আমাকে ডাকছে। এই রে,, বাবা ডাক দিছে, আবার বিয়ের কথা বলবে ধুর ভাল্লাগেনা। আব্বু আমায় ডেকেছেন? তারপর আব্বু যা বল্লেন তা শুনে আমি অবাক,, তিনি বল্লেন, এই নাও Credit Card শপিং করে আসো, এরপর থেকে তো আর একা শপিং এ যেতে পারবে না! আমার মাথায় কিছু ডুকলো না, আবার এইটাও বলছেন, আজ নিজের ইচ্ছা মতো সব কাজ করতে।
এখন আমি তো চিন্তায় পরে গেলাম হঠাৎ এইরকম কথা শুনে। ধুর আমি কি চিন্তা করি, টাকা পাইছি শপিং করি। রাতে শপিং করে আড্ডা দিয়ে বাসায় আসছি, তারপর খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। ঘুম থেকে উঠলাম বিকেল ৪ টায়, তারপর ফ্রেশ হয়ে নিচে যাইতে যাইতে সন্ধ্যা ৬ টা। নিচে গিয়ে আমি তো অবাক! পুরো বাড়িটা সাজানো। আমি ভাবছি কোনো অনুষ্ঠান হবে তাই আর কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করলাম না।
৫ মিনিটের ভিতরে মা একটা শেরওয়ানি, পাগরী নিয়ে আসলন আর বললেন এই গুলা পরতে। তখন মা কে বললাম এইসব কি হচ্ছে মা? তিনি বল্লেন, তা তুই বুঝবি না। বলেই চলে গেলেন, ১০ মিনিটের ভিতরে সবাই আমাকে গাড়িতে করে কই যেনো নিয়ে যাচ্ছে। তারপর ৪ ঘন্টার ভিতরে আমি single থেকে mingle, এখন আমার একটা বউও আছে। তারপর বাড়িতে বউ নিয়ে এসে রঙ তামাশা করে ১২ টা বেজে গেলো। { বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প }
এখন আমি আমার ঘরে ঢুকতে ভয় পাচ্ছি। হঠাৎ কেউ যেনো আমায় ধাক্কা মেরে রুমের ভিতর ফেলে দিলো। রুমে ঢুকতেই দেখি বউ আমার দিকে করুন এক দৃষ্টিতে হা করে তাকিয়ে আছে। তখনই আমি বললাম,,,
— কি ব্যাপার এইভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?
আমার এ কথা শুনে আমার বউ তোতলা ইয়া উত্তর দিল।
— ক,ক, কই না তো! কই তাকাইছি?
— আচ্ছা আপনার নাম কি?
— কেনো, জানেন না?
— ভুলে গেছি।
— আমার নাম আফরীন।
— আপনি আমার কপাল টাই খাইলেন ভাবছি ২-৩ বছর প্রেম করবো তারপর বিয়ে। প্রেম তো দুরের কথা, কোনো মেয়ের দিকে তাকানোর সুযোগই পেলাম না।
— কোনো মেয়ের দিকে তাকান নি এইটা আপনার দোষ, কিন্তু এখন থেকে কোনো মেয়ের দিকে তাকাইলে গাল টেনে ছিড়ে ফেলবো।
— মনে মনে বললাম, বাপরে বাপ কি গুন্ডি একটা মেয়ে বিয়ে করলাম,,,, এর পর বউ কে বললাম, না না আমি আর কোনো মেয়ের দিকে তাকামু না।
— কি বললা, কোনো মেয়ের দিকে না?
— হ্যাঁ কোনো মেয়ের দিকে তাকামু না।
— আমার দিকেও তাকাইবা না?
— তুমি বললে তাকাইমু।
— এইতো লাইনে আইছো, এখন বলো আমি তোমার কে?
— তুমি আমার কে আমি কেমনে বলবো?
— কি এই মাত্র বিয়ে করে আনচোছ আর বউ কে চিনোছ না, দাড়া মজা দেখাচ্ছি।
— এই, না না মজা দেখাতে হবে না। তুমি তো আমার লক্ষি বউ, মিষ্টি বউ।
— তাই?
— হ্যা
— আরো বল
— আমি মনে, মনে ভাবলাম বুজচ্ছি মেয়েটার প্রশংসা করতে হবে,,, প্রশংসা শুরু করতে শুরু করলাম , তুমি আমার টুকটুকি, টুনটুনি।
এ সময় বউ আমাকে বলল।
— তাহলে আমায় জরিয়ে ধরবে না!
— হ্যাঁ ধরবো তো, আসো আমার বুকে আসো।
মেয়েটার চেহারা এতো মায়াবী আর মন এতো সরল ১০ মিনিটে আমি তাকে ভালোবেসে ফেলছি, তার মন টাও অনেক ভালো। প্রেম করতে পারি নি এইটা আমার পুরা কপাল, বিয়ে যেহেতু হয়ে গেছে এখন থেকে সেই আমার সব, আমার সব ভালোবাসা আফরিনের জন্য।
আফরিন — বাবা যখন বিয়ের জন্য তানভিরের ছবি দেখান, তখনই আমি তার প্রেমে পরে যাই। এখন আমি তানভীরের বুকে শক্ত করে জরিয়ে আছি,,,
— শুনো, আমায় কিস করো।
— এখন?
— হ্যাঁ { বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প }
— একটু পরে করি, আমার ভয় লাগে।
— বউ কে কিস করতে ভয় আবার কিসের?
— না মানে আগে জীবনে কাউকে কিস করি নি, প্রথম বার তো তাই।
— ওহহ, তাহলে আমি দেখাই কিস কিভাবে করতে হয়।
বলেই তানভীরকে সোফায় বসিয়ে আমি তার কোলে বসে, তার কলারে ধরে, আমার আর তানভীরের ৪টি ঠোঁট এক করে দেই। প্রায় ৩ মিনিট কিস করার পর তাকে ছেরে দিলাম। তারপর বললাম,,
— প্রথম বার তো তাই ঠিক মতো করতে পারিনি।
— তানভীর – ওহ, তাহলে চলো আজ রাতে Practice করি। সারাজীবন তো আমাকে কিস খাওয়াতে হবে আর খেতে হবে, তাই।
— শুধু কিস?
— নাহ অনেক কিছু।
— তাহলে চলো শুরু করি।
— বলে তাকে আমি বিছানায় ফেলে দিয়ে তাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে, ৭ মিনিট লম্বা একটা কিস করলাম।
এরপর আর কমু না।
বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প। বাসর রাতের রোমান্টিক গল্প
Also Read: শুভ দুপুরের শুভেচ্ছা ও ছবি