মাটিতে যাদের ঠেকে না চরণ, মাটির মালিক তাহারাই হন – ভাবসম্প্রসারণ

প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ “মাটিতে যাদের ঠেকে না চরণ, মাটির মালিক তাহারাই হন ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।

মাটিতে যাদের ঠেকে না চরণ, মাটির মালিক তাহারাই হন - ভাবসম্প্রসারণ

মাটিতে যাদের ঠেকে না চরণ, মাটির মালিক তাহারাই হন ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব : যাদের প্রকৃত মাটির মালিক হওয়া দরকার তারা না হয়ে যারা কোন দিন মাটি দেখেনি তারাই মাটির মালিক হয়ে যায়।

সম্প্রসারিত-ভাব : পৃথিবীতে এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা পরিশ্রম না করে সমস্ত সুযােগ-সুবিধা ভােগ করছে। তারা ধনের সন্ধান, ধরের অভিযান, ভােগবিলাস সাধনের প্রয়াসে উত্ত। তারা সমাজে জমিদার তথা ধনী শ্রেণীর, মানুষ। অপরদিকে, সমাজের নীচুতলার মানুষেরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অক্লান্ত পরিশ্রম করেও দু’বেলা পেটের ভাত জোগাড় করতে পারছে না। অভাব তাদের প্রতিনিয়ত সঙ্গী, দৈন্য তাদের পঙ্গু করে রেখেছে। আর এরাই সংখ্যায় বেশি। মূলত সমাজের ধনীরা দরিদ্রদের শােষণ করে আমােদ-আহ্লাদে জীবনযাপন করছে। এ ধনী সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে শুধু দলিল-দস্তাবেজেই মাটির যােগাযােগ। তাই এরা নিজেদের মাটির মালিক বলে প্রতিপন্ন করেন। মূলত মাটির মালিক হওয়ার কথা তাদেরই যারা মাটির সাথে নাড়ির যােগ অনুভব করেন। এ বঞ্চিত, রিক্ত, বুভুক্ষ মানুষদের তাই মাটির মালিকের অধিকার দিতে হবে। তা না হলে একদিন সমাজের বঞ্চিত, দুর্বল, উৎপীড়িতরা জীবনযাত্রা স্তব্ধ করে দেবে। দেশের সামগ্রিক স্বার্থে ও জাতীয় কল্যাণের জন্য এসব নিরন্ন, দুর্বল মানুষদের মাটির মালিক হওয়ার অধিকার সর্বাঙ্গে দিতে হবে। বঙ্কিমচন্দ্র যথার্থই বলেছিলেন, কৃষকের শ্রীবৃদ্ধি না হলে তাকে দেশের শ্রীবৃদ্ধি বলা যাবে না।

আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।

Leave a Comment