ডায়েট নিয়ে অনেকেই কিছু ভুল ধারণা পোষণ করে থাকেন। যেমন, না খেয়ে থাকাটাই‘ডায়েট’! সকালের নাস্তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমাতে সকালের নাস্তাকে বাদ দেন অনেকে। আবার অনেকেই নাস্তা না খেয়েই ঘর থেকে বেরিয়ে যান,ব্যস্ততার অজুহাতে। আসলে সকালের নাস্তা জীবনের একটি অংশ।
সকালের নাস্তা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগানোর জন্য সকালের নাস্তা খাওয়াটা বেশ জরুরী। এটি শক্তি জোগায়। সকালে ভরপেট নাস্তা করলে দুপুরের আগে খুব বেশি খিদে লাগে না, কারণে-অকরণে এটা-সেটা খাওয়ারও দরকার হয়না।❤
শরীরের ওজনের যোগসূত্র রয়েছে নাস্তা খাওয়ার সঙ্গে। সকালের নাস্তার বড় ভূমিকা থাকে শরীরের সঠিক ওজন বজায় রাখতে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যারা প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ২৬০ ক্যালরির বেশি খেয়ে থাকেন, তাদের ওজন যারা সকালে নাস্তা করেন না, তাদের তুলনায় অন্তত এক পাউন্ড বেশি হয়ে যায়। আর শিশুদের ক্ষেত্রে সকালের ভালো নাস্তা মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়াতে ভীষণ সাহায্য করে।
অনেকেই আছেন রাতে অনকেটা সময় জেগে থাকেন। তারা দেরি করে খাবার খান। সেজন্য সকালে খিদেও লাগে না। তারা ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ একসঙ্গে অর্থাৎ ‘ব্রাঞ্চ’ করেন। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয় মোটেও।
আরো জানুন: নাস্তা সম্পর্কে
আপনি কী জানেন সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া কতটা ভুল?
সারাদিন শরীরকে ঠিকঠাকমতো কাজ করাতে সকাল এর নাস্তা জরুরি। রাতের খাবারের পর ঘুমিয়ে পড়লে অনেক্ষণ পেট খালি থাকে। আর এরপর যদি সকালের খাবারও বাদ দেওয়া হয়, এতে ওজনতো কমেই না, উল্টো বাড়ে।
অনেকেই আছেন রাতে অনকেটা সময় জেগে থাকেন। তারা দেরি করে খাবার খান। সেজন্য সকালে খিদেও লাগে না। তারা ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ একসঙ্গে অর্থাৎ ‘ব্রাঞ্চ’ করেন। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয় মোটেও।
সকালের নাস্তায় কী কী খাবেন?
- অনেকেই নাস্তায় আটার রুটি খেতে পছন্দ করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। রুটি সঙ্গে শাক-সবজি, ভাজি, ডিম, ঝোলের তরকারি খেতে পারেন। কেউ কেউ কলা দিয়ে আটার রুটি খেতে পছন্দ করেন। এটিও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
- অনেকেই আছেন শুধু গ্রিন টি এবং বিস্কুট খেয়ে থাকেন। অ্যাপেল পাই খেতে পারেন। সঙ্গে রাখুন দারুচিনি ও সেদ্ধ করা মটরশুটি। কম চর্বিযুক্ত গ্রিক দই, বাদামও রাখতে পারেন নাস্তায়। টোস্টের সাথে ঘন করে অ্যাভোকাডোও শরীরের জন্য উপকারী।
- সারাদিনের এনার্জি পেতে ওটমিল খেতে পারেন। কারণ, ওটসে আছে প্রোটিন,কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ম্যাংগানিজ, কপার, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, ফলেট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন বি৬। ওটস খেতে পারেন দুধ, ফল ও বাদাম মিশিয়ে।
- এছাড়া সকালের নাস্তায় সবজি খিচুড়ি রাখতে পারেন। আর নাস্তার অন্তত মিনিট ১৫ পর ফলমূলও খেতে পারেন। এতে খাদ্য বিপাক ক্রিয়া ভালো হয়। কলা, আপেল, কমলা, আঙুর রাখতে পারেন এ তালিকায়।(সকালের নাস্তা কেন গুরুত্বপূর্ণ)
- প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। তাই ব্রেকফাস্টে ডিম খেতে পারেন। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেলস থাকে। আর এতে ক্যালরিও থাকে বেশ কম।