আমাদের সবার ইতিহাস জানা দরকার। তার মধ্যে “সুলতানি আমলে বাংলার আর্থিক অবস্থা” এই বিষয়টি অবশ্যই জানতে হবে। এটি জানলে আপনার ইতিহাস সম্বন্ধে আরো ধারণা বেড়ে যাবে। আসেন যেনে নেয়।
সুলতানি আমলে বাংলার আর্থিক অবস্থা
মধ্যযুগের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনার কাজে প্রাচীন উপাদান ছিল সমকালীন মুসলমান কবি, সাহিত্যক ও সভাসদদের রচনা। কিন্তু এঁরা সমকালীন অর্থনৈতিক অবস্থা বর্ণনার ক্ষেত্রে অদ্ভুত ধরনের উদাসীনতা দেখিয়েছেন। এর সম্ভাব্য কারণ হল মুসলমান লেখকদের মসিচর্চার প্রধান বিষয় ছিল রাজনীতি এবং মূল লক্ষ্য ছিল ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত শাসক ও অভিজাতদের সন্তুষ্টিবিধান। অবশ্য সুলতানি যুগে বাংলাদেশে যেসব বিদেশি পর্যটক ও রাজদূত এসেছিলেন, তাঁদের সতর্ক দৃষ্টি থেকে এদেশের অর্থনৈতিক চিত্র বঞ্চিত হয়নি। বস্তুত তাঁদের বর্ণনা এবং সমকালীন হিন্দু-কবিদের কোনো কোনো রচনা থেকে সমকালীন বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র পাওয়া যায়। সুলতানি আমলে বাংলাদেশ অধিকাংশ সময় দিল্লির নিয়ন্ত্রণমুক্ত ছিল। ফলে দিল্লির শোষণ থেকে বাংলাদেশ মুক্ত থাকতে পেরেছিল। আবার দিল্লির বিরুদ্ধে নিরন্তর অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে বাংলার অর্থব্যবস্থা স্থানীয় শাসকদের আনুকুল্য থেকে অনেকটাই বঞ্চিত ছিল। এর অন্য একটা দিকও ছিল। সর্বদা যুদ্ধে ব্যস্ত থাকার ফলে বাংলার সুলতানেরা এখানকার কৃষি ও বাণিজ্য ব্যবস্থাতে সাধারণত হস্তক্ষেপ করতেন না। ফলে কৃষককুল ও বণিকদল আপন আপন বৃত্তিতে স্বাধীনভাবে আত্মনিয়োগ করতে পারত।
সুলতানি আমলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছিল লক্ষণীয়। কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প, প্রভৃতি অর্থাগমের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলা ছিল আত্মনির্ভরশীল। বাংলার এই আর্থিক সমৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা ছিল হিন্দুদের। স্টুয়ার্ট (Charls Stewarts) তাঁর ‘History of Bengal’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেনঃ “দেশের বাণিজ্যাদির ওপর শাসকেরা হাত দিতেন না। ইহারা চাষ-আবাদ সম্পর্কেও আদৌ উৎসাহিত ছিলেন না। ধনশালী হিন্দুরাই তখন কৃষিপ্রধান বাংলার একরূপ মালিক ছিলেন ; শুধু কৃষি নয়, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদিও হিন্দুদের হাতে ছিল। ধনশালী হিন্দুরাই জায়গিরগুলি ইজারা নিতেন এবং এঁরাই ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্ত সুবিধা ভোগ করতেন।” নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য ‘বাংলার অর্থনৈতিক ইতিহাস’ গ্রন্থে এ দেশের আর্থিক সমৃদ্ধির উল্লেখ করে লিখেছেন : “বঙ্গদেশে কোনো স্বর্ণখনি না-থাকিলেও মহাসমৃদ্ধির জন্য এদেশে ‘সোনার বাংলা’ উপাধি পাওয়ার যোগ্য হইয়াছিল।” ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারও সুলতানি আমলে বাংলার সমৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেনঃ “এই সময় বাংলা স্বাধীন ছিল। তার ধনসম্পদ দেশের মধ্যেই থাকত। তাই বাংলা ছিল খুবই সম্পদশালী। এই সমৃদ্ধির মূলে ছিল বাংলার শস্য-সম্পদ, শিল্প-বাণিজ্য।” পঞ্চদশ শতকে বাংলার অবস্থা বিশ্লেষণ করে স্টুয়ার্ট লিখেছেনঃ “এই সময় বাংলার প্রধান ব্যক্তিরা ভোজনের সময় স্বর্ণপাত্রের প্রদর্শনী করতেন।” দীনেশচন্দ্র সেন তাঁর ‘বৃহৎ বঙ্গ’ গ্রন্থে লিখেছেন : “বণিক-বধূরা সোনার কলসি লইয়া জল আনিতে যাইতেন; অর্ণব যানগুলির মাস্তুল স্বর্ণমণ্ডিত থাকত।” “তারিখ ই-ফিরিস্তা’ এবং ‘রিয়াজ’ গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, গৌড় ও পূর্বগৌড়ের সমাজবিরোধীদের হত্যা করে ১৩০০ সোনার থালা ও বহু ধনরত্ন সংগ্রহ করেছিলেন বলে জানা যায়; যা বাংলার আর্থিক সমৃদ্ধির তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করে।
বিভিন্ন পর্যটকের বর্ণনা থেকে বাংলার উন্নত কৃষি-উপাদানের কথা জানা যায়। বাংলার অর্থব্যবস্থার মেরুদণ্ডই ছিল এ দেশের উন্নত কৃষি-উৎপাদন। গাঙ্গেয় পলিমাটিসম্পন্ন অঞ্চলের জমি ছিল খুবই উর্বরা। জনৈক চিনা পর্যটক উল্লেখ করেছেন যে, বাংলাদেশে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন করা হত। বাংলার কৃষকেরা ছিল খুবই পরিশ্রমী। মধ্যযুগে কৃষিকার্য বাঙালিদের কাছে যথেষ্ট মর্যাদার বৃত্তি বলে বিবেচিত হত। কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী ব্রাহ্মণ হয়েও কৃষিকার্য দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে উল্লেখ করেছেন। সে কালে চাকুরিকে অসম্মানের কাজ বলে গণ্য করা হত। আবার বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজন ছিল মুলধনের। তাই বাঙালি কৃষিকার্যে আত্মনিয়োগ করত। পরিশ্রম করে বাঙালিরা জঙ্গল কেটে বহু জমিকে চাষের উপযোগী করেছিল। সরকারি রাজস্বের হার ছিল উৎপন্ন ফসলের এক-পঞ্চমাংশ। কৃষি উৎপাদনের সর্বাগ্রে ছিল ধান। ইবন বতুতা লিখেছেন যে, চতুর্দশ শতকে বাংলাদেশে প্রচুর ধান উৎপাদন হত। তাঁর মতে, এই ধান উদ্বৃত্ত হত বলে নিকটে ও দুরে নানাদেশে তা রপ্তানি করা হত। সমুদ্রপথে মুসলিপত্তনম্, করমণ্ডল উপকূলের নানা বন্দরে এবং সিংহল ও মালদ্বীপে ধান রপ্তানি করা সম্ভব হত। গমের উৎপাদন খুব বেশি না-হলেও বাঙালির চাহিদার পক্ষে তা ছিল পর্যাপ্ত। বেশি আখ উৎপাদন হওয়ার ফলে চিনি ও গুড় প্রচুর তৈরি হত। বাংলার চিনি আরব, ইরান ও মেসোপটেমিয়ায় রপ্তানি করা হত। অন্যান্য কৃষিজাত দ্রব্যের মধ্যে গুড়, সুপারি, তামাক, তেল, আদা, পাট, মরিচ ছিল উল্লেখযোগ্য।
সুলতানি যুগে বাংলার নানাবিধ শিল্পও বেশ উন্নত ছিল। শিল্পক্ষেত্রে সর্বাগ্রে বয়নশিল্পের নাম উল্লেখ করতে হয়। বাংলার মসলিন ছিল খুবই সূক্ষ্ম ও সুন্দর। এর চাহিদা ছিল বিশ্বজোড়া। ইউরোপে সূক্ষ্ম মসলিনের খুব চাহিদা ছিল। ইরাক, আরব, বর্মা, মালাক্কা, সুমাত্রা প্রভৃতি দেশেও বাংলার মসলিন রপ্তানি হত। বর্তমান বাংলাদেশ-এর ঢাকা ছিল মসলিন উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র। এ ছাড়া বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে রেশম ও রেশমবস্ত্র উৎপাদিত হত। ঢাকার শঙ্খশিল্প ছিল খুবই উন্নত। নৌকানির্মাণ কাজে বাঙালিরা খুব দক্ষ ছিল। বিদেশি পর্যটকরা বাংলার নদীতীরবর্তী গ্রামগুলিতে নৌকানির্মাণকারী শিল্পী (সূত্রধর)-দের ভিড় লক্ষ্য করেছেন। ‘যুক্তি কল্পতরু’ নামক সংস্কৃত গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, মধ্যযুগে ভারতে নানা আকারের তৈরি নৌকা ইউরোপের নৌকার থেকে বড়ো ও মজবুত ছিল। কাঁঠাল, শাল, পিয়াল, তমাল প্রভৃতি কাঠ থেকে উৎকৃষ্ট নৌকা তৈরি করা হত। চিনা পর্যটকদের বিবরণ থেকে জানা যায় যে, তখন বাংলাদেশে গাছের ছাল থেকে এক ধরনের উন্নত কাগজ তৈরি করা হত। এই কাগজের রং ছিল সাদা, এর গা ছিল খুবই মসৃণ। মধ্যযুগে এদেশে সোনার প্রাচুর্য থেকে অনুমান করা যায় যে, অলংকারশিল্পেও বাঙালিদের যথেষ্ট দক্ষতা ও আগ্রহ ছিল।
প্রাচীনকাল থেকে বহির্বাণিজ্যের সাথে বাঙালির ঘনিষ্ঠ পরিচয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। বহির্দেশে ভারতীয় উপনিবেশ স্থাপনের দৃষ্টান্তও আছে। মধ্যযুগে সুলতানি আমলে বাংলাদেশ ও বাঙালি বণিকেরা ঐতিহ্যশালী বাণিজ্যবৃত্তিকে আরও সম্প্রসারিত করেন। বিদেশি পর্যটকদের বিবরণ থেকে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বহু তথ্য পাওয়া যায়। বাঙালি সওদাগরদের (বণিক) সমুদ্রপথ ধরে দূরদেশে বাণিজ্যযাত্রার কথা মধ্যযুগের বাংলা আখ্যান ও সাহিত্য থেকেও জানা যায়। বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগরের পথে বাঙালি বণিকদের বাণিজ্যতরীর বিদেশযাত্রার বিশদ বিবরণ বিজয়গুপ্ত ও বংশীদাসের ‘মনসামঙ্গল’ এবং মুকুন্দরামের ‘চণ্ডীমঙ্গল কাব্য থেকে পাওয়া যায়। পর্যটক বারবোসার বিবরণ থেকে পঞ্চদশ-ষোড়শ শতকে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন : “এদেশে সমুদ্রতীরে ও দেশের মধ্যে বহু নগরী আছে। সমুদ্রতীরের বন্দরগুলিতে হিন্দু-মুসলমান বাস করে—এরা জাহাজে করে বাণিজ্যদ্রব্য নানা দেশে পাঠায়। এই দেশের প্রধান বন্দরের নাম ‘বেঙ্গল’ (Bengal)।” সমকালীন ইতালীয় পর্যটক ভার্থেমাও ‘বেঙ্গল’ বন্দরের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু প্রায় সমকালীন পর্যটক সিজার ফ্রেডরিক কিংবা আরও দু-দশক পরে আগত র্যাফল ফিক্ ‘বেঙ্গল’ বন্দরের কোনো নামোল্লেখ করেননি। তবে সোনারগাঁও, সাতগাঁও (সপ্তগ্রাম), হুগলী, চট্টগ্রাম প্রভৃতি যে সেকালের খুব ব্যস্ত বন্দর ছিল, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। সপ্তগ্রামে লক্ষপতি ব্যবসায়ীরা বাস করতেন। চৈতন্যচরিতামৃতে লেখা হয়েছে :
“হিরণ্য-গোবর্ধন নামে দুই সহোদর,
সপ্তগ্রামে বার লক্ষ মুদ্রার ঈশ্বর।”
বাংলার সাথে জলপথে মালাবার, কাম্বে, পেগু, টেনাসেরিম, সুমাত্রা, সিংহল, মালাক্কা, আরবদেশ ও পারস্যের বাণিজ্য লেনদেন চলত। চতুর্দশ শতকে ইবন বতুতা মাত্র চল্লিশ দিনে সমুদ্রপথে সোনারগাঁও থেকে সুমাত্রা পৌঁছেছিলেন। এ থেকে বোঝা যায়, তখনও সমুদ্রপথ, সমুদ্রযাত্রার গতি প্রকৃতি ও পদ্ধতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতার অভাব ছিল না। বাংলাদেশ থেকে এশিয়া ও ইউরোপের নানা দেশে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হত মসলিন বস্ত্র। এ ছাড়া ধান, আখ, সাদা চিনি, রেশম বস্ত্র, তুলা, আদা, মরিচ ও কিছু ফল বহির্দেশে রপ্তানি করা হত।
বাংলাদেশের উর্বরভূমি, প্রাকৃতিক শস্য-সম্পদ এবং প্রসারিত ব্যবসা-বাণিজ্য এদেশে যে প্রভূত সম্পদ সৃষ্টি করত, তার প্রেক্ষিতে এটি স্বাভাবিক যে, বাংলাদেশের মানুষ খুব সুখে দিনাতিপাত করতে পারত। অধিক উৎপাদনের ফলে জিনিসপত্রের মূল্য কম হত। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে তা সহজে যেত না। ইবন বতুতা ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি হয়ে বাংলায় এসে বলেছিলেন যে, “পৃথিবীর কোথাও বাংলাদেশের মতো কম দামে জিনিস পাওয়া যায় না।” অল মাসুদী নামক জনৈক মরক্কোবাসী ইবন বতুতাকে বলেছিলেন যে, একজন ভৃত্যসহ তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর বাৎসরিক খোরাক এক দিনারে হয়ে যেত। রৌপ্য-দিনার প্রায় এক টাকার সমান। স্বর্ণমানের হিসেবে সাত টাকা। ইবন বতুতার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী তখন এক টাকার প্রায় ৮ মণ ধান পাওয়া যেত। সুলতান ও মুসলমান অভিজাতবৃন্দ কৃষিকার্যে উদাসীন হওয়ার ফলে যে জমিভিত্তিক বাঙালিগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছিল, তাদের অবস্থা ছিল সচ্ছল। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, ধনী ব্যক্তিদের ঘরে সোনার ছড়াছড়ি থাকত। সম্ভবত সবথেকে সম্পদশালী ছিলেন বণিক-সম্প্রদায়। এঁরা সীমাহীন ধনসম্পদের অধিকারী ছিলেন এবং অস্বাভাবিক প্রাচুর্যের মধ্যে জীবনযাপন করতেন।
এদেশে সম্পদশালী ধনী ব্যক্তির পাশাপাশি দারিদ্র্যক্লিষ্ট সাধারণ মানুষের কথাও সমসাময়িক সাহিত্য থেকে পাওয়া যায়। দ্রব্যাদির মূল্য কম হবার ফলে কৃষকদের আয় বেশি হত না। তাই সাধারণ কৃষক ও প্রজাদের দুঃখদুর্দশা কম ছিল না। এর প্রধান কারণ ছিল প্রজাদের ওপর রাজস্ব আদায়কারীদের উৎপীড়ন। শাসকগণ কেবল রাজস্বের কথাই বুঝতেন। তাই জমিদার বা সামন্তদের প্রজাপীড়ন সুলতানের মাথাব্যথার কারণ হত না। কারণ অত্যাচারী ভূস্বামীরাই রাজকোষে অধিক অর্থ জমা দিতেন। মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলেও এই ধারা অব্যাহত ছিল। তখন বাংলাকে শোষণ ও নিপীড়ন করে মুর্শিদকুলি খাঁ দিল্লির কোষাগারে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতেন। অবশ্য একথাও সত্য যে, সুলতানি আমলের অর্থব্যবস্থায় কোনো অসুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল না। রায়তদের অবস্থা সামন্ত বা বণিকদের মতো সচ্ছল না হলেও, তাদের সর্বহারাশ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। সামগ্রিকভাবে সুলতানি আমলে বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থা ছিল ‘সুপরিকল্পিত, সুবিন্যস্ত, যুক্তিপূর্ণ এবং সহনীয়।’
আশা করি আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যদি বুঝতে পারেন তাহলে আমাদের অন্যান্য পোস্ট ভিজিট করতে ভুলবেন না।