আমাদের সবার ইতিহাস জানা দরকার। তার মধ্যে “সুলতানি আমলে ‘সার্বভৌমত্ব’ ও ‘বৈধতা’র ধারণা” এই বিষয়টি অবশ্যই জানতে হবে। এটি জানলে আপনার ইতিহাস সম্বন্ধে আরো ধারণা বেড়ে যাবে। আসেন যেনে নেয়।
সুলতানি আমলে ‘সার্বভৌমত্ব’ ও ‘বৈধতা’র ধারণা
দিল্লি-সুলতানির শাসনকালে ভারতে রাজতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের ধারণা বহুমুখী টানাপোড়েন ও বৈপরীত্যের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে। এই টানাপোড়েনের দুই প্রান্তে ছিল—(১) কোরানের বাণী, নবি হজরত মহম্মদের জীবনী ও বাণী এবং অন্যান্য হাদিসী গ্রন্থকে জীবন ও রাজনীতির অপরিবর্তনীয় নির্দেশিকা হিসেবে মান্যতা দেবার নৈতিক বাধ্যবাধকতা এবং (২) ইসলামের দ্রুত বিস্তার ও পরিবর্তিত রাজনৈতিক অবস্থার সাথে সামঞ্জস্য বিধানের বাস্তব দাবি। আবার পবিত্র কোরানের বাণীর প্রায়োগিক রূপ সম্পর্কে মুসলমান তাত্ত্বিকদের মতভেদ বিষয়টিকে জটিলতর করেছে। রাজার ক্ষমতা, কর্তব্য, ধর্মের সাথে রাজনীতির সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত মধ্যযুগে ভারতে রাজতন্ত্রের প্রকৃতি ও বৈধতার বিষয়টিকে বিতর্কের আবর্তে নিক্ষেপ করেছে।
ইসলামীয় রাষ্ট্রদর্শনবিদদের পক্ষেও কোরানের মূল বাণীর সাথে ইসলামের সম্প্রসারণ ও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সামঞ্জস্য বিধানের কাজটা বেশ জটিল ছিল। নবি হজরত মহম্মদ ও তাঁর প্রথম চারজন মহান খলিফার আমলে রাজতন্ত্র সম্পর্কে পবিত্র গ্রন্থে কোনো উল্লেখ নেই। পরবর্তীকালে দেশে দেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে রাজতন্ত্রকে বৈধতাদানের কাজ শুরু হয়। কোরানের বাণী ও রাজতন্ত্রের ধারণাকে সমন্বিত করার এই প্রয়াস স্বভাবতই একমুখী হয়নি। মুসলিম তাত্ত্বিক আবির রবি (৮৬০ ৯৪০ খ্রিঃ)-এর মতে, আল্লাহ্র ইচ্ছানুসারেই সমাজের অগ্রণী ব্যক্তির নেতৃত্বে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ঐশ্বরিক বিধানকে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হয়। সমসাময়িক অপর রাষ্ট্রতাত্ত্বিক আল ফারাবি (৮৭০ ৯৫০ খ্রিঃ) মনে করেন যে, রাজতন্ত্র একটি স্বাভাবিক প্রতিষ্ঠান এবং রাজা ঈশ্বরের মতোই গুণসম্পন্ন ও সর্বশক্তিমান ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হন। রাজনীতিবিদ নিজাম-উল-মূলক তাঁর ‘সিয়াসৎ’ গ্রন্থে বলেছেন যে, আল্লাহ্ মানবজাতির শান্তি, নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তির হাতে শাসনক্ষমতা অর্পণ করেন। একাদশ শতকের বিশিষ্ট ইসলামীয় তাত্ত্বিক ইমাম গজালী (১০৫৮ (১১১১ খ্রিঃ) মুসলিম রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার বৈধতাকে বাস্তব প্রয়োজনের নিরিখে ব্যাখ্যা করেছেন। গজালীর মতে, রাষ্ট্রব্যবস্থা এক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাস্তব রূপ পেয়েছে। আদি সমাজ ছিল অরাজকতা, অর্ন্তদ্বন্দু এবং সংঘাতে ভরা। এই অস্থিরতা নিরসন করে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য শক্তিশালী ব্যক্তিশাসনের প্রয়োজন দেখা দেয়। এবং এই দায়িত্বপালনের জন্য সুলতান বা শাসকের উত্থান ঘটে।
ভারতে মুসলমান শাসন অর্থাৎ দিল্লি-সুলতানির আমলে রাজতন্ত্রের বৈধতা, সার্বভৌমত্ব ও প্রকৃতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভাষ্যক ছিলেন জিয়াউদ্দিন বারাণী (১২৮৫-১৩৫৯ খ্রিঃ)। দিল্লির একাধিক সুলতানের সান্নিধ্যে থেকে তিনি সামনে থেকে সুলতানি রাষ্ট্রকে উপলব্ধি করেছেন এবং সেই অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন বিখ্যাত ‘ফতোয়া-ই-জাহান্দারী’ গ্রন্থে। তবে বারাণীর বক্তব্যের মধ্যে কিছু পরস্পরবিরোধিতা ও অস্পষ্টতা আছে। একদিকে তিনি ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং সুন্নি মতাদর্শের একান্ত অনুগামী, অন্যদিকে বাস্তব রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ও চাহিদার দিকটিকেও তিনি অস্বীকার করতে চাননি। বারাণীর বক্তব্য থেকে অনুমিত হয় যে, মানুষের ইতিহাসে রাজতন্ত্রের অস্তিত্ব চিরন্তন। আদম থেকে মানবজীবনে রাজতন্ত্রের অস্তিত্ব আছে। তবে নবি হজরত মহম্মদ ও প্রধান চারজন খলিফার (আবুবকর, ওমর, ওসমান ও আলি) শাসনকে সাধারণ রাজতন্ত্র থেকে স্বতন্ত্র বলে বারাণী মনে করেন। এঁদের নেতৃত্বে বিশুদ্ধ ধর্মীয় ও সর্বগুণসম্পন্ন কল্যাণকামী শাসন পরিচালিত হয়েছিল। তাঁর মতে, সাধারণ রাজতন্ত্রের সূচনা হয়েছে হজরত আলির মৃত্যু এবং উমাইয়া গোষ্ঠী কর্তৃক খিলাফৎ দখলের পরবর্তীকালে। এখান থেকে শুরু হয়েছে ‘সাম্রাজ্যের কাল’।
বারাণী রাজ্যের দ্বৈত-চরিত্র উল্লেখ করেছেন—ঈশ্বরের রাজ্য এবং ইহলোকের রাজ্য। ঈশ্বরের রাজ্য হল প্রকৃত রাজ্য এবং বিশ্বব্যাপী সেই রাজ্যে ঈশ্বর স্বয়ং প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী। ঈশ্বর ইহলোকের জন্য রাজা মনোনীত করেন। কিন্তু প্রকৃত ক্ষমতার আধার স্বয়ং ঈশ্বর। ইহজগতে রাজা (সুলতান) হলেন ‘ঈশ্বরের ছায়া’। সুলতান এবং তাঁর উপদেষ্টাদের মানসিকতা ঐশ্বরীয় শক্তিতে অনুপ্রাণিত। বারাণীর এই অভিমত অন্যত্র সম্পূর্ণ বিপরীত খাতে প্রবাহিত হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন যে, শাসক তাঁর রাজচরিত্রের জন্য পাপের অংশীদার। তাঁর সকল কাজ পবিত্র গ্রন্থ বা নবির নির্দেশ দ্বারা সমর্থিত হয় না। তবে রাজা প্রচুর দানখয়রাত করলে এবং আত্মস্বীকৃতি দ্বারা ঈশ্বরের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাঁর পাপমুক্তি ঘটবে। ইহলোকের রাজ্যকে বারাণী তিনভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম ভাগে আছে ঈশ্বর মনোনীত পয়গম্বরের (নবি) শাসন। দ্বিতীয় ভাগে আছে নবির পথ অনুসরণ করে পরিচালিত রাজতন্ত্র এবং তৃতীয় ভাগে আছে সেইসব রাজতন্ত্র, যেখানে শাসক স্বৈরাচারী এবং তাঁর কাজের ধারা ঈশ্বর বা মহান নবির আদর্শের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বারাণী দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছেন যে, তারা যেন ঈশ্বর ও নবির পথ অনুসরর করেন।
বারাণী সাধারণ মানুষকে ধর্মপথে (ইলাম) চালিত করার প্রয়োজনে শক্তিশালী রাজতন্ত্রের আবশ্যিকতা আছে বলে মনে করেন। বারাণী দুঃখ করে বলেছেন যে, মানুষ কোরানের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে ইহজাগতিক ভোগ-লালসার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। এদের সৎপথে ফিরিয়ে আনার জন্য রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন। এজন্য তিনি সুলতানের হাতে ব্যাপক ক্ষমতার আবশ্যিকতা আছে বলে মনে করেন। চরম ক্ষমতাপ্রদর্শনের পাশাপাশি সুলতানের গাম্ভীর্য, বিলাসবৈভব, দরবারী জাঁকজমক ইত্যাদিরও প্রয়োজন। অন্যথায় প্রজাসাধারণ সুলতানকে মান্য করার তাগিদ হারিয়ে ফেলে। অবশ্য সুশাসন প্রণয়ন, প্রজাদের নিরাপত্তা দান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার দিকেও শাসককে যত্নবান হতে বলেছেন। তাঁর মতে, সুলতান এমনভাবে শাসন পরিচালনা করবেন, যাতে দেহের সমৃদ্ধি অপেক্ষা অন্তরের সৌন্দর্য অধিকতর প্রকাশ পায়। কারণ অন্তরের সৌন্দর্যই শেষ বিচারের সময় পুরস্কৃত হবার পথ তৈরি করে।
ইসলাম ধর্মের আদর্শবাদ যথা সৌভ্রাতৃত্ব, অহংমুক্তি, বিনয় ইত্যাদির সাথে সুলতানের বিলাসবৈভব, শক্তিমত্ততা, আড়ম্বর ইত্যাদির বিরোধ সম্পর্কে বারাণী সচেতন ছিলেন। এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যকে যুক্তিগ্রাহ্যতা দেবার জন্য তিনি পারস্যের শাহি-ঐতিহ্যকে অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন। রাষ্ট্রপরিচালনার প্রয়োজনে শাসকের এই বিচ্যুতিকে তিনি মুসলমানের পক্ষে মৃত জন্তুর মাংসভক্ষণের সঙ্গে তুলনা করেছেন। চূড়ান্ত ক্ষুধাকাতর অবস্থায় একজন মুসলমান যেমন জীবন রক্ষার তাগিদে মৃত পশুর মাংস ভক্ষণ করতে বাধ্য হয়, তেমনি পারস্যের দরবারী জাঁকজমক ইসলামবিরোধী হলেও প্রয়োজনের তাগিদে তা গ্রহণীয় হতে পারে।
ইসলামীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থায় খিলাফৎ গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আল্লাহ্র রাজ্যের পরিচালক নবি হজরত মহম্মদের মৃত্যুর পর তাঁর বিশ্বস্ত অনুগামী আবুবকর ইসলামীয় দুনিয়ার প্রধান পরিচালক মনোনীত হন। তিনি ‘খলিফা’ শব্দটি ব্যবহার করতেন। ফলে আবুবকরের সময় থেকে খিলাফত্ এক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। পবিত্র কোরানেরও ‘খলিফা’ শব্দটির উল্লেখ আছে। নবি হজরত মহম্মদের উত্তরাধিকারী হিসাবে আবুবকর ‘খলিফা’ শব্দটি ব্যবহার করায় এই পদের ধর্মীয় স্বীকৃতি প্রশ্নহীন হয়ে দাঁড়ায়। ইসলামের সম্প্রসারণ এবং আরব দুনিয়ার বাইরে ইসলামের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব স্থাপিত হলে খিলাফতের সাথে বিজিত অংশের সম্পর্কের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নতুন নতুন ইসলামীয় রাষ্ট্র ও তাদের পরিচালকগণ বিশ্ব মুসলিম সৌভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের নিদর্শন হিসেবে খলিফার কাছ থেকে বৈধতার ছাড়পত্র আদায় করতে আন্তরিক তৎপরতা দেখান। দূরবর্তী অঞ্চলের এই সকল মুসলিম রাষ্ট্রের শাসকরা ‘সুলতান’ বা ‘সম্রাট’ উপাধি গ্রহণ করে, নিজের নামে মসজিদ থেকে খুতবা পাঠ করে স্বাধীনভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা প্রয়োগ করলেও, খলিফার অনুমোদন লাভ করে নিজেদের শাসনকে ইসলামীয় রাষ্ট্রব্যবস্থার একটা অংশ হিসেবে দেখাতে চেষ্টা করেন। একই সাথে খলিফার অনুমোদন অর্জন দ্বারা মুসলিম জনতার শ্রদ্ধা ও আস্থালাভের বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করার উদ্যোগ নেন। দিল্লির সুলতানি শাসকদের ক্ষেত্রেও সিংহাসনের অধিকারকে বৈধকরণের এহেন প্রয়াস লক্ষ্য করা যায়।
মহম্মদ ঘুরি ‘খলিফার সাহায্যকারী’ উপাধি গ্রহণের মাধ্যমে নিজ শাসনকে বৈধতাদানের যে পথ গ্রহণ করেছিলেন, তাঁর অনুগামী সেনানায়ক বা দাসদের মধ্যেও তার ধারা বহমান ছিল। ইলতুৎমিস বাগদাদের খলিফার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সুলতান-ই-আজম’ উপাধি পান। তিনি খলিফার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ‘নাসীর আমির-উল-মুমিনিন’ এবং ‘নজর-উদ্-দুনিয়া ওয়াদ্দীন’ উপাধি গ্রহণ করেন। এমনকি খলিফা মুসতাসিমের মৃত্যুর পর খিলাফৎ-এর কর্তৃত্ব হস্তান্তরিত হবার পরেও দিল্লির সুলতানরা তাঁর নাম মুদ্রায় খোদিত করে ধর্মীয় স্বীকৃতির ছবি তুলে ধরার প্রয়াস অব্যাহত রাখেন। গিয়াসউদ্দিন বলবন নিজেকে ‘ঈশ্বরের ছায়া’ বলে প্রচার করার পাশাপাশি রাজতন্ত্রের প্রতি খলিফার স্বীকৃতিদানের বিষয়টিও মেনে নেন। বলবন তাঁর মুদ্রায় খলিফার নাম উল্লেখ করে এবং তাঁর নামে খুৎবা পাঠ করে খলিফাতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন। আলাউদ্দিন খলজি সরাসরি খলিফার অনুমোদনলাভের বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন না। তিনি সুলতানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধিকারী বলেই মনে করতেন। তবে তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল বহুলাংশে প্রয়োজনভিত্তিক, আদর্শভিত্তিক নয়। তাই তিনি নিজেকে ‘খলিফার সহকারী’(ইয়ামিন-উল-খলিফা) বলে ঘোষণা করেন। বিশ্ব-ইসলামিক সৌভ্রাতৃত্বের অংশীদারিত্ব দ্বারা নিজের রাজকর্তৃত্বকে সুদৃঢ় করার বিষয়েও তাঁর আগ্রহ কম ছিল না। উলেমাতন্ত্রের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব আলাউদ্দিন বরদাস্ত করেননি, তবে ইসলামীয় রাষ্ট্রব্যবস্থায় উলেমাদের অস্তিত্ব ও মর্যাদাকে তিনিও স্বীকার করে নিয়েছিলেন। মহম্মদ-বিন-তুঘলক যুক্তিবাদী এবং পরীক্ষানিরীক্ষায় বিশ্বাসী হলেও খলিফার অনুমোদন আদায় করেছিলেন। ফিরোজ শাহ তুঘলক একান্তই ছিলেন ইসলামের প্রথা-পদ্ধতির অনুসারী। তিনিও খলিফার অনুমোদন অর্জন করে নিজেকে ‘বৈধ শাসক’ হিসেবে তুলে ধরেন। এই ধারার একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন কুতুবউদ্দিন মুবারক শাহ। মুবারক খিলাফতের কর্তৃত্ব অস্বীকার করে নিজেকেই খলিফাস্থানীয় বলে দাবি করেন। নিজের মুদ্রায় ১৩১৭ থেকে তিনি ‘খলিফা’ উপাধি খোদাই করে নিজেকে ‘আল্লাহর প্রতিনিধি’ বলে ঘোষণা করেন। বস্তুত, মুবারক শাহ খলিফাকে অস্বীকার করলেও খলিফাতন্ত্রকে নিজের নামের সাথে যুক্ত করে ইসলামীয় ধারা নির্দিষ্ট বৈধ রাজতন্ত্রের তত্ত্বকেই জারি রেখেছিলেন।
আশা করি আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যদি বুঝতে পারেন তাহলে আমাদের অন্যান্য পোস্ট ভিজিট করতে ভুলবেন না।