আর্থিক মজুরি ও প্রকৃত মজুরির মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় আর্থিক মজুরি ও প্রকৃত মজুরির মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক আর্থিক মজুরি ও প্রকৃত মজুরির মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
আর্থিক মজুরি ও প্রকৃত মজুরির মধ্যে পার্থক্য কি?
| আর্থিক মজুরি | প্রকৃত মজুরি |
|---|---|
| নির্দিষ্ট সময় বা কাজের ভিত্তিতে একজন শ্রমিক পারিশ্রমিক হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ পায় তাকে আর্থিক মজুরি বলে। | অন্যদিকে শ্রমিক তার আর্থিক মজুরি দ্বারা যে পরিমাণ দ্রব্য ও সেবা ক্রয় করতে পারে এবং কর্মক্ষেত্র হতে প্রাপ্ত অন্যান্য সুযোগ সুবিধার সমষ্টিকে প্রকৃত মজুরি বলে। |
| আর্থিক মজুরিকে W দ্বারা প্রকাশ করা হয়। | অন্যদিকে প্রকৃত মজুরিকে W/P+F দ্বারা প্রকাশ করা হয়। |
| আর্থিক মজুরি অর্থের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। | অন্যদিকে প্রকৃত মজুরি পরিমাপ করা হয় আর্থিক মজুরি দ্বারা,ক্রয়যোগ্য দ্রব্য ও সেবা এবং আনুসঙ্গিক সুযোগ সুবিধা দ্বারা। |
| আর্থিক মজুরির হিসাব সহজ। | অন্যদিকে প্রকৃত মজুরির হিসাব করা কঠিন। |
| আর্থিক মজুরির উপর শ্রমিকের জীবনযাত্রার মান নির্ভর করে না। | অন্যদিকে প্রকৃত মজুরির উপর শ্রমিকের জীবন যাত্রার মান নির্ভর করে। |
| আর্থিক মজুরি সাধারণত দামস্তর দ্বারা প্রভাবিত হয় না। | অন্যদিকে প্রকৃত মজুরি দামস্তর দ্বারা প্রভাবিত হয়। |
| আর্থিক মজুরি দ্বারা শ্রমিকেরা কাজের প্রতি আকৃষ্ট হয় না। | অন্যদিকে প্রকৃত মজুরি দ্বারা শ্রমিক কাজের প্রতি আকৃষ্ট হয়। |
আর্থিক মজুরি
শ্রমের বিনিময়ে মালিক শ্রমিককে যে পারিশ্রমিক প্রদান করে, তা হলো মজুরি। শ্রম দৈহিক ও মানসিক হতে পারে। কোন শ্রমিক নির্দিষ্ট সময়ে উৎপাদন কাজে অংশ গ্রহণ করে অর্থের হিসাবে যে মজুরি বা বেতন পায়, তাকে আর্থিক মজুরি বলে।
যেমন − কোন শ্রমিক যদি আর্থিক মজুরি হিসাবে এক হাজার টাকা পায় এবং চালের দাম যদি কেজি প্রতি ২০টাকা হয়, তবে চালের মাধ্যমে হিসাবকৃত শ্রমিকের প্রকৃত মজুরি হবে ৫০ কেজি চাল। এখানে আর্থিক মজুরি হলো ১০০০ টাকা
প্রকৃত মজুরি
একজন শ্রমিক তাঁর শারীরিক ও মানসিক শ্রমের বিনিময়ে মজুরি হিসেবে যে পরিমাণ অর্থ লাভ করেন, তার দ্বারা যে পরিমাণ পণ্যসামগ্রী ও সেবা ক্রয় করতে পারেন, তাদের সমষ্টিকে প্রকৃত মজুরি বলে।
অর্থাৎ, প্রকৃত মজুরি = আর্থিক মজুরি + অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। সংক্ষেপে আর্থিক মজুরির ক্রয়ক্ষমতাকে প্রকৃত মজুরি বলা যায়। প্রকৃত মজুরিকে w/p প্রকাশ করা হয়। এ ক্ষেত্রে w = আর্থিক মজুরি, p = দামস্তর।
আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য আর্থিক মজুরি ও প্রকৃত মজুরির মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব আর্থিক মজুরি ও প্রকৃত মজুরির মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)