প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ “যে স্বভাব গঠনে চেষ্টা করে, চিন্তা করে, সে এবাদত করে ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।
যে স্বভাব গঠনে চেষ্টা করে, চিন্তা করে, সে এবাদত করে ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব : যথার্থ সাধনার মাধ্যমেই মানুষের জীবন সফল হয়ে উঠে। মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করে তার বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগ করে সে যদি মানবিক গুণাবলির অধিকারী হয়ে উঠতে পারে তবেই মানব জন্মের সার্থকতা প্রমাণিত হয়।
সম্প্রসারিত ভাব : মানুষের জীবন নিরন্তর এ সাধনায় নিমগ্ন। আর এ সাধনার মাধ্যমে মানুষ স্রষ্টার অভিপ্রেত শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের চেষ্টা করে বলে তা এবাদত বা স্রষ্টার জন্য কাজ বলে বিবেচনার দাবি রাখে। মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করার জন্য মানুষ সাধনায় নিয়োজিত। মানুষ নিজের স্বভাবের মধ্যে সুন্দর গুণাবলি বিকাশের জন্য কাজ করছে। তার জীবনকে বিকশিত করতে হবে। তার জন্য স্বভাব গঠনে কাজ করতে হয়, তাকে চিন্তা করতে হয়। জীবন গঠনের জন্য এ সাধনা স্রষ্টার অভিপ্রেত। বিধাতার ইচ্ছা মানুষ যেন সাধনা করে তার জীবনে সুন্দর গুণের বিকাশের চেষ্টা করে। শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন মানুষই স্রষ্টার অভিপ্রেত। এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য যাবতীয় কাজ তাই ইবাদতের পর্যায়ে পড়ে। ভালো কাজ যেমন পুণ্যের, তেমনি স্বভাব গড়ে তোলাও পুণ্যের। সুন্দর স্বভাব গঠনের জন্য যতো চিন্তা ভাবনা তা বিধাতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত। বিধাতার প্রতি মানুষের কর্তব্য হিসেবে সেসব বিবেচিত হয়। মানুষকে জীবন সাধনার কাছে এবাদতের তাৎপর্য ফুটিয়ে তুলতে হবে।
আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।