প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ “বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব : বিদ্যার মতাে পরম ধন আর নেই। আমাদের সমগ্র অগ্রগতির মূলে রয়েছে বিদ্যা। কিন্তু এ বিদ্যা যদি মানব। জীবনের সাথে সম্পৃক্ত না হয়, তবে তা হয়ে পড়ে অর্থহীন।
সম্প্রসারিত ভাব : বিদ্যা হচ্ছে জ্ঞানার্জন শলাকা। বিদ্যা তিমির বিদারী, বিদ্যা জ্ঞান-চক্ষুর উন্মােচক। বিদ্যা এনে দেয় যশ, কল্যাণ। বিদ্যা হলাে গুরুর গুরু। মানবের অনির্দিষ্ট অগ্রগতির মূল বিদ্যা। হাদিসে আছে, “বিদ্যার মতাে চক্ষু আর নেই, সত্যের চেয়ে বড় তপস্যা আর নেই।” বিদ্বানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে পবিত্র। মােহের বশে যে বিদ্যা নামক পরম ধনের তপস্যা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখে তার মতাে অভাজন পৃথিবীতে আর নেই। জলে-স্থলে-নভে আজ মানবের যে সাফল্য এর মূলে রয়েছে জীবনের সাথে সম্পর্কযুক্ত বিদ্যা। বিদ্যার দ্যুতি এমনই উজ্জ্বল যে, তার আলােকে সমস্ত অন্ধকার বিদূরিত হয়। প্রবাদে আছে, “স্বদেশে পূজ্যতে রাজা, বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে।” বিদ্বান ব্যক্তি সমস্ত বিশ্বের সম্পদ। তবে, বিদ্যা নামক মহার্ঘতম বস্তুও যদি জীবনের সাথে সম্পৃক্ত না হয় তবে সে বিদ্যা অর্থহীন। বিদ্যার উদ্দেশ্য জীবনকে সফলতায়, প্রাণকে প্রাণময়তায় উদ্বেল করে তােলা। উদ্দেশ্যহীন বিদ্যা ব্যর্থ ও পঞ্জ। কবির কথায়,
“যার বিদ্যা নাই সে না জানে ভালােমন্দ
শিরে দুই চক্ষু আছে তথাপি সে অন্ধ।”
মন্তব্য : আমাদেরকে অবশ্যই জ্ঞানার্জনের প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আর তা হতে হবে জীবনের সাথে সম্পর্কিত বা জীবনঘনিষ্ঠ।
বিকল্প ১
মূলভাব : মানুষের জীবন গঠনের জন্য বিদ্যা অর্জন অপরিহার্য। জ্ঞানের আলো অজ্ঞতা ও মুর্খতার হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়। বিদ্যার আলোয় আলোকিত না হলে মানুষের জীবন হয়ে যায় অন্ধের জীবনের মত। প্রতি পদক্ষেপে সে অন্ধকারে পথ হাতড়ায়। অন্যদিকে অর্জিত বিদ্যা বা জ্ঞানকে হতে হয় জীবনমুখী। জীবনে বিদ্যা কোন কাজে না এলে তা হয়ে যায় কেতাবি বিদ্যা। বস্তুত, বিদ্যার সাথে জীবনের নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমেই বিদ্যা ও মানব জীবনের সার্থকতা নির্ভরশীল।
সম্প্রসারিত ভাব : বিদ্যা মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। বিদ্যার আলোয় মানুষের জীবনের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর হয়। তা মানুষকে মানুষ হতে সাহায্য করে। বিদ্বানের ভূমিকায় সমাজ ও দেশ হয় সমৃদ্ধির আলোয় আলোকিত। শিক্ষার আলো ব্যক্তির জীবন থেকে যেমন দূর করে সংকীর্ণতার অন্ধকার, তেমনি তা সমাজকেও করে প্রগতির আলোয় আলোকিত। তাই জ্ঞানের আলো যদি জীবনকে আলোকিত না করে তবে সে জীবন ব্যর্থ। বিদ্যার সাথে সম্পর্কহীন জীবন হয়ে পড়ে বিচার-বুদ্ধিহীন। তার চোখ থাকলেও অন্তর-চক্ষু বলে কিছু থাকে না। মানব সন্তান কেবল জন্ম নিয়েই মানুষ হয় না, বিদ্যা অর্জনের সাধনা করেই প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে হয়। অন্যদিকে, বিদ্যার সাথে থাকা চাই জীবনের নিবিড় সম্পর্ক। যে বিদ্যা কেবল সার্টিফিকেট সর্বস্ব তার কোন মূল্য নেই। মানুষ অনেক বড় বড় ডিগ্রি লাভ করে খ্যাতি অর্জন করে। কিন্তু সে বিদ্যাকে মানব জীবনের কল্যাণে কাজে লাগানো না হলে সে ধরনের বিদ্যার কোন সার্থকতা থাকে না। বস্তুত, জীবনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যে শিক্ষায় সে শিক্ষই প্রকৃত শিক্ষা। যথার্থ বিদ্বান ব্যক্তি জীবনকে সুন্দর ও গতিশীল করার পাশাপাশি সমাজকে উন্নত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
এভাবে বিদ্যাকে কাজে লাগাতে পারলে জ্ঞানের আলোয় সমাজ আলোকিত হয়, দেশ ও জাতি প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। এভাবে জীবন আর বিদ্যার মিল ঘটাতে পারলেই জীবন সুন্দর হয়ে উঠে। তাতে বিদ্যা অর্জনও সার্থক হয়। তাই ব্যক্তিজীবন ও সমাজ জীবনের আলোময় বিকাশের জন্য চাই জীবন ঘনিষ্ঠ শিক্ষা।
বিকল্প ২
মানুষের জীনব গঠনের জন্যে বিদ্যা অর্জন অপরিহার্য। জ্ঞানের আলো অজ্ঞতা ও মূর্খতার হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়। বিদ্যার আলোয় আলোকিত না হলে মানুষের জীবন হয়ে যায় অন্ধের জীবনের মতো। প্রতি পদক্ষেপে সে অন্ধকারে পথ হাতড়ায়। অন্যদিকে অর্জিত বিদ্যা বা জ্ঞানকে হতে হয় জীবনমুখী। জীবনে বিদ্যা কোনো কাজে না এলে তা হয়ে যায় কেবাবি বিদ্যা। বস্তুত, বিদ্যার সঙ্গে জীবনের নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমেই বিদ্যা ও মানব জীবনের সার্থকতা নির্ভরশীল।
বিদ্যা মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। বিদ্যার আলোয় মানুষের জীবনের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর হয়। তা মানুষকে মানুষ হতে সাহায্য করে। বিদ্বানের ভূমিকায় সমাজ ও দেশ হয় সমৃদ্ধির আলোয় আলোকিত। শিক্ষার আলো ব্যক্তির জীবন থেকে যেমন দূর করে সংকীর্ণতার অন্ধকার, তেমনি তা সমাজকেও করে প্রগতির আলোয় আলোকিত। তাই জ্ঞানের আলো যদি জীবনকে আলোকিত না করে তবে সে জীবন ব্যর্থ। বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন হয়ে পড়ে বিচার-বুদ্ধিহীন। তার চোখ থাকলেও অন্তর-চক্ষু বলে কিছু থাকে না। মানব সন্তান কেবল জন্ম নিয়েই যথার্থ মানুষ হয় না, বিদ্যা অর্জনের সাধনা করেই প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে হয়। অন্যদিকে, বিদ্যার সঙ্গে থাকা চাই জীবনের নিবিড় সম্পর্ক। যে বিদ্যা বেকল সার্টিফিকেট-সর্বস্ব তার কোনো মূল্য নেই। মনুষ অনেক বড় বড় ডিগ্রি লাভ করে খ্যাতি অর্জন করে কিন্তু সে বিদ্যাকে মানব জীবনের কল্যাণে কাজে লাগানো না হলে সে ধরনের বিদ্যার কোনো সার্থকতা থাকে না। বস্তুত, জীবনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যে শিক্ষায় সে শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। যথার্থ বিদ্বান ব্যক্তি জীবনকে সুন্দর ও গতিশীল করার পাশাপাশি সমাজকে উন্নত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এভাবে বিদ্যাকে কাজে লাগাতে পারলে জ্ঞানের আলোয় সমাজ আলোকিত হয়, দেশ ও জাতি প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। এভাবে জীবন আর বিদ্যার মিল ঘটাতে পারলেই জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে। তাতে বিদ্যা অর্জনও সার্থক হয়। তাই ব্যক্তিজীবন ও সমাজ জীবনের আলোময় বিকাশের জন্যে চাই জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা।
আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।