এই জায়গায় আপনি সবচেয়ে সুন্দর হাসির গল্প পাবেন। এই সব গল্প আমরা মহাকাশ থেকে নিয়ে এসেছি। তাই এগুলো এর আগে কেও পড়ে নি। আপনি প্রথম। তাই সিট বেল্ট বেধে গল্পগুলো পড়ে ফেলুন। অনেক গল্প আছে এখানে।
হাসির গল্প বাংলা হাসির গল্প পিক, হাসির গল্প 2023, হাসির গল্প জোকস, হাসির গল্প ফেসবুক, হাসির গল্প কৌতুক, হাসির গল্প ২০২৩, হাসির গল্প fb হাসির গল্প হাসির ছড়া, হাসির গল্প pdf
১০টি হাসির গল্প
ট্রেন অনেক দেড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু স্টেশন থেকে এখনও ছাড়ছে না। ৩ ঘণ্টা ধরে জেনারেল ক্লাসে অপেক্ষা করে আছেন কমল বাবু। এদিকে প্রচণ্ড গরমে তার আলু-সেদ্ধ হওয়ার মত অবস্থা। প্রচণ্ড রাগে গজ গজ করতে করতে স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে বললেন-
কমল বাবু- আপনারা ট্রেন ঠিকমত ছাড়েন না তো ষ্টেশনে জায়গায় জায়গায় এত ঘড়ি লাগিয়ে রেখেছেন কেন?
স্টেশন মাষ্টার- have a relax, তা না হলে আপনারা বুঝবেন কি করে যে কোন ট্রেন কতটা দেড়িতে ছাড়ছে?
বাঁদর ও শেয়াল
একদিন জন্তুরা সকলে মিলে বাঁদরকে তাদের নেতা নির্বাচন করল।
শেয়াল বাঁদরের কাছে এসে বলল, “তুমি এখন আমাদের প্রধান, আমি তোমার সেবা করতে চাই। এই বনের মধ্যে এক জায়গায় আমি গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছি, চল আমি তোমাকে দেখাব।”
বাঁদর খুব খুশি হয়ে শেয়ালের সঙ্গে চলল। শেয়াল বাঁদরকে এক ফাঁদের কাছে এনে বলল, “এই সেই জায়গা। তুলে নাও সব, তোমার আগে আমি কিছু নিতে চাই না।”
বাঁদর যেই না ঐ ফাঁদে তার থাবা ঢুকিয়েছে অমনি সে ধরা পড়ে গেল। তখন শেয়াল ছুটে অন্য জন্তুদের কাছে গেল এবং বাঁদরকে দেখিয়ে বলল, “দেখো তোমরা, এমন নেতা নির্বাচন করেছ যে কিনা ফাঁদে ধরা পড়ে এমনই তার বুদ্ধি।”
মেঠো ইঁদুর ও শহুরে ইঁদুর
একবার এক গণ্যমান্য শহুরে ইঁদুর এল এক সাধারণ মেঠো ইঁদুরের কাছে। মেঠো ইঁদুর বাস করত এক মাঠে। সে তার অতিথিকে খেতে দিল যা তার ছিল– মটর ও গমের দানা।
গণ্যমান্য ইঁদুর একটু খুঁটে খেয়ে বলল, “তোমার খাবার এতই অপুষ্টিকর বলেই তুমি এমন রোগা। এসো, আমার কাছে, দেখো কীভাবে আমরা থাকি।”
তখন মেঠো ইঁদুর চলল শহুরে ইঁদুরের কাছে। রাতের জন্য তারা মেঝের নিচে অপেক্ষা করল। লোকেরা এসে খেয়ে চলে গেল। তখন শহুরে ইঁদুর তার অতিথিকে খাবার ঘরে নিয়ে চলল এক গর্ত দিয়ে। তারা দুজনেই চড়ে বসল টেবিলের উপর। সাধারণ মেঠো ইঁদুর জীবনে কখনও এমন ভালো খাবার চোখেও দেখেনি।
সে বলল, “তুমি ঠিক বলেছ, আমাদের জীবন খুবই খারাপ। আমিও শহরে বাস করতে চলে আসব।”
একথা বলতে না বলতেই টেবিল কেঁপে উঠল। আর দরজা দিয়ে মোমবাতি হাতে নিয়ে ইঁদুর ধরতে লোক ঢুকল ঘরে। তারা কোনোক্রমে গর্তে ঢুকে নিজেদের বাঁচাতে পেরেছিল।
“না!” বলল মেঠো ইঁদুর, “এর চেয়ে আমার মাঠে বাস ঢের ভালো। সেখানে এমন মিষ্টি খাবার নেই ঠিকই, তবে এমন ভয়ের কোনো কারণও নেই।”
Also Read: খালাতো বোন যখন বউ রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
সাগর, নদী ও ছোটনদী
একজন লোক আরেকজনের সঙ্গে তর্ক করে বলল, সে প্রচুর পান করতে পারে।
সে বলল, “আমি পুরো সাগরটাই পান করে ফেলতে পারি।”
“কিছুতেই তুমি তা পার না।”
“নিশ্চয়ই পারি। এসো, বাজি ধরা যাক। এক হাজার রুবল বাজিতে আমি পুরো সাগর পান করতে পারি।”
পরদিন সকালে সবাই মিলে সেই লোকটির কাছে এসে হাজির।
“কী হে! যাও সমুদ্র পান কর অথবা এক হাজার রুবল দাও।”
সে বলল, “আমি বলেছিলাম সমুদ্র পান করব, কিন্তু নদীকেও পান করব এমন কথা তো আমি বলিনি। নদী ও ছোট নদীতে বাঁধ দাও, যাতে এর জল সমুদ্রে না পড়ে। তবেই আমি সমুদ্রকে পান করব।”
ঈগল ও শেয়াল
এক ঈগল এক শেয়ালছানা ধরে নিয়ে চলল। শেয়াল মা গভীর দুঃখে অনেক কাকুতিমিনতি করল।
কিন্তু ঈগল তা শুনল না। সে ভাবল, “অনেক উঁচুতে পাইন গাছে আমার বাসা। শেয়াল আমার কী আর ক্ষতি করতে পারবে? সে আমার নাগালই পাবে না।”
এই ভেবে ছানাটিকে নিয়ে চলল। শেয়াল মা দৌড়ে গেল মাঠে, লোকের কাছ থেকে আগুন নিয়ে পাইন গাছে বয়ে আনল। সে সবে গাছে আগুন লাগাতে যাচ্ছে। এমন সময় ঈগল ক্ষমা চেয়ে তাকে তার বাচ্চা ফেরত দিল।
Also Read: বাসর রাতের গল্প
বেড়াল ও শেয়াল
এক বেড়াল শেয়ালকে বলছিল কীভাবে কুকুরদের কাছ থেকে আত্মরক্ষা করা যায়।
“আমি কুকুরদের মোটেই ভয় পাই না।” বলল বেড়াল, “কেননা আমার একটা কৌশল জানা আছে।”
আর শেয়াল বলল, “মাত্র একটা কৌশলের সাহায্যে কীভাবে তুমি কুকুরদের হাত এড়াও? আমার জানা আছে এমন সাতাত্তরটি কৌশল।”
যখন তারা কথাবার্তা বলছিল সেই সময় একদল শিকারি তাদের কুকুর নিয়ে সেই পথে যাচ্ছিল। বেড়াল তার জানা একটিমাত্র উপায়ই ব্যবহার করল। সে একটি গাছে চড়ে বসল আর কুকুরেরা তার নাগাল পেল না। আর শেয়াল তার জানা সবগুলো উপায়কেই কাজে লাগাতে চেষ্টা করল কিন্তু কোনোটাই তার কাজে এল না এবং কুকুরেরা তাকে ধরে ফেলল।
মেয়েদের দাম বাড়াতে গিয়ে কলা বিক্রেতা
এক কলা বিক্রেতা ৫ টাকা পিস দরে কলা বিক্রি করছিল। প্রচুর বিক্রি হচ্ছিল। মানুষ নিচ্ছে আর ছাল ছাড়িয়ে খাচ্ছে। দেখে বিক্রেতা ভাবল যদি ছাল ছাড়িয়ে রাখি তাহলে ক্রেতাদের ছাড়াতে কষ্ট হবেনা এবং ছাড়িয়ে দেওয়ার কারনে দাম ও বেশি পাব। তখন সে কিছু কলা ছাড়িয়ে তার দাম ধার্য করল ৬ টাকা পিস।
এখন ক্রেতারা এসে দাম জিজ্ঞাসা করলে,
সে বলছে ছাল জড়ানো ৫, ছাড়ানো ৬টাকা। ক্রেতারা ৫টাকা দরের কলা নিয়ে যাচ্ছে। সে ভাবল যখন কম দামি থাকবে না, তখন দাম বেশি দিয়ে নিয়ে যাবে। এক সময় ৫ টাকার কলা সব শেষ৷ এখন আর কোন ক্রেতা তার কাছে আসে না। তবে প্রচুর মাছি এসে বিনামূল্যে কলা খাচ্ছে আর ভৌঁ ভৌঁ করে উড়ে বেড়াচ্ছে।
এখন সে ভাবল দাম কমালে বিক্রি হবে। সে দাম কমাতে কমাতে ০ টাকাতে চলে এলো,তবুও কেউ নিল না। দিনের শেষে সেগুলো ড্রেনে ফেলে দিল৷ যে ড্রেন পরিষ্কার করে সে ওই সময় টাকা তুলতে এসেছিল। তার নজরে পড়ে গেল। সে বলল, ভাই এত আবর্জনা করলে? এত তুলতে পারব না। অনেক কথার পর সে কিছু টাকা দিয়ে বলল কিছু মনে করো না পরিষ্কার করে দিও।
বর্তমান যুগের মেয়েদের অবস্থা ঠিক এই রকম। আগের মেয়েরা পর্দা করে চলত তাই তাদের টাকা দিয়ে সম্মানের সাথে নিয়ে যেত। এখন এরা ছাল ছাড়িয়ে দাম বাড়ানোর প্রচেষ্টায় আছে। দামও বাড়ছে না উপরন্তু কিছু মাছি জাতীয় জন্তু তাদের উপর বসে চুষে খেয়ে উড়ে পালাচ্ছে। আর এরা নিজেদের দাম বাড়াতে গিয়ে এত কমে যাচ্ছে যে, এদেরকে লক্ষাধিক টাকা দিয়ে পার করাতে হচ্ছে।
নারীর মর্যদা পর্দায় কমে না। বেপর্দায় কমে। বর্তমান বোরখা পর্দা নয় ফ্যাশান
হাসির গল্প ১
বাবা ও ছেলের মধ্যে কথা হচ্ছে-
বাবা- বাবু, তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও?
ছেলে- আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই।
বাবা- তুমি কিসের ডাক্তার হতে চাও? হার্টের ডাক্তার নাকি দাঁতের ডাক্তার?
ছেলে- ডাক্তার হলে দাঁতের ডাক্তার হওয়াটাই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মনে হয়।
বাবা- কেন কেন?
ছেলে- কারণ, আমাদের শরীরে হার্ট একটাই থাকে, কিন্তু দাঁত থাকে বত্রিশ টা। তাই ইনকামটাও অনেক বেশি হবে।
হাসির গল্প ২
এই তো সেদিনের ঘটনা, আমি কলকাতা থেকে বাসে জলপাইগুড়ি আসছিলাম। এক বুড়ি মুর্শিদাবাদে বাসে উঠলেন। তিনি কন্ট্রাক্টারকে বললেন- শিলিগুড়ি এলেই আমাকে মনে করিয়ে দিও বাবু।
কন্ট্রাক্টার বললেন- ঠিক আছে বুড়ি মা, আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। বাস চলতে লাগল। সবে ৩০ মিনিট হয়েছে বুড়ি আবার বললেন- “বাবু শিলিগুড়ি এলেই আমাকে বলে দিও কিন্তু।” কন্ট্রাক্টার আবার বুড়ির কথায় সায় দিলেন। এদিকে ৫ ঘণ্টার যাত্রা শেষে শিলিগুড়ি ছেড়ে বাস জলপাইগুড়ির দিকে যাবার পড় কন্ট্রাক্টারের খেয়াল হল বুড়িকে তো নামানো হল না। এখন উপায়? কন্ট্রাক্টার বুড়ির দিকে তাকালেন দেখলেন বুড়ি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
সে তখন ড্রাইভারের সাথে পরামর্শ করে গাড়ি আবার শিলিগুড়ি নিয়ে যাবার কথা বলল। যাত্রীরা এর কারণ জিজ্ঞাসা করতেই কন্ট্রাক্টার বললেন- “প্লিজ আপনারা একটু অ্যাডজাস্ট করুন, বুড়ি মানুষ আমাকে শিলিগুড়ি পৌঁছাতেই ডেকে দিতে বলেছিলেন কিন্তু আমার কিছুতেই মনে নেই। প্লিজ বোঝার চেষ্টা করুন। আমরা জথা সময়েই আপনাদের পৌঁছে দিব।” আমরা যাত্রীরা কেউই কিছু বললাম না।
৩০ মিনিট পড় শিলিগুড়িতে আবার গাড়ি ফিরে আসলে, কন্ট্রাক্টার বুড়িকে ডেকে দিয়ে বললেন- “বুড়িমা আপনার শিলিগুড়ি চলে এসেছে, নেমে পড়ুন।” বুড়ি বলল- “আমি তো এখানে নামব না বাবা, আমি জলপাইগুড়িতে নামব।”
কন্ট্রাক্টার কিছুটা হতচকিত হয়ে বললেন- “তাহলে শিলিগুড়ি এলেই আপনাকে ডেকে দিতে বললেন যে!”
বুড়ি তার পটলা থেকে একটা ওষুধের সিসি বেড় করে বলল- “আমার নাতি শিলিগুড়ি এলেই, এই ওষুধটা খেয়ে নিতে বলেছিল তাই শিলিগুড়ি এলেই আমাকে ডেকে দিতে বলেছিলাম। আমাকে ডেকে দিয়ে মঙ্গল কাজ করলে বাবা।
সব যাত্রীরা রেগে কন্ট্রাক্টারের দিকে তাকালেন। কন্ট্রাক্টার বেচারা হাসবেন না কাদবেন কিছুই তার বোধগম্য হচ্ছে না।
হাসির গল্প ৩
এক কৃষকের ছিল একটি গাধা ও একটি গরু। কৃষক বোঝা আনা-নেওয়া ও চলাচলের বাহন হিসেবে গাধাকে ব্যবহার করতো আর গরু দিয়ে হালচাষ করতো। গম ও ধান মাড়াইয়ের কাজেও গরুকে ব্যবহার করা হতো।
একদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একনাগাড়ে কাজ করে গরু যখন ঘরে ফিরলো তখন অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে ক্লান্ত হয়ে একা একাই বিড়বিড় করে কী যেন বলছিল। গরুকে বিড়বিড় করতে দেখে গাধা বললো :
গাধা : আরে বাবা, হয়েছে কী? বিড়বিড় করে কি বলছো?
গরু : তোরা গাধার দল আমাদের দুঃখ-কষ্টের কি বুঝবি ? আমাদের দুঃখ-কষ্ট কেউ বুঝেনারে, কেউ বুঝে না।
গাধা : বুঝবো না কেন, অবশ্যই বুঝবো। তাছাড়া তুই যেমন বোঝা টানিস আমরাও তেমনি বোঝা টানি। আমাদের মধ্যে তফাৎটা কোথায় দেখলি!
গরু : তফাৎ অবশ্যই আছে। গাধাকে বোঝা টানা ছাড়া আর কোনো কাছে ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু জমি চাষ করা, ফসল মাড়াই করা, কলুর ঘানি টানা এসব কষ্টের কাজ আমাদের করতে হয়। কাজ শেষ হওয়ার পর ব্যথা-বেদনায় সারারাত চোখে ঘুম আসে না। তোদের কি এত কষ্ট করতে হয়?
গরুর কষ্টের কথা শুনে গাধার মনটা খারাপ হয়ে গেল। গরুকে কষ্ট থেকে রেহাই দেয়ার জন্য সে একটা বুদ্ধি বের করলো। এরপর গরুকে উদ্দেশ্য করে বললো :
গাধা : তুই যদি চাস তাহলে আমি এমন একটা বুদ্ধি দিতে পারি যাতে তোকে আর মাঠে যেতে হবে না।
গরু : গাধার মাথায় আবার বুদ্ধি আছে নাকি ? না না তোর বুদ্ধি অনুযায়ী চলতে গেলে আমার বিপদ আরো বাড়বে।
গাধা :শোন্ ! মানুষ আমাদেরকে যত গাধা মনে করে আমরা কিন্তু আসলে তত গাধা নই। আর এ জন্যইতো আমাদেরকে হালচাষ ও ঘানি টানার কাছে কেউ লাগাতে পারে না। তুই একবার আমার কথা অনুযায়ী কাজ কর,তাহলে দেখবি তুইও আমার মতো সুখে আছিস।
গরু : ঠিকাছে বল দেখি, তোর বুদ্ধিটা কি ?
এরপর গাধা গরুকে অসুস্থ হবার ভান করতে পরামর্শ দিলো। গরু নিজেকে বাঁচানোর জন্য গাধার পরামর্শ অনুযায়ী হাত-পা সোজা করে ঘরে শুয়ে রইল এবং হাম্বা হাম্বা রবে ‘উহ্ আহ্’ করতে লাগলো। কৃষক এসে উঠানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো। তখন বাধ্য হয়ে গোয়াল থেকে বের এলো এবং অন্য কোন উপায় বের করার জন্য চিন্তা করতে লাগলো।
কৃষক চলে যাওয়ার পর গরু গাধাকে ধন্যবাদ দিল। ধন্যবাদ পেয়ে গাধাও খুশীতে নেচে উঠলো। কিন্তু গাধার খুশী বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। কিছুক্ষণ পরই কৃষক গোয়াল ঘরে ফিরে এলো এবং গরুর বদলে গাধাকেই মাঠে নিয়ে গেল। গাধার কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল বেঁধে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা জমি চাষ করার পর কৃষক কিছুক্ষণ জিরিয়ে নেয়ার জন্য একটি গাছের ছায়ায় বসলো। এ সময় গাধা মনে মনে ভাবতে লাগলো :
গাধা : গরুকে বাঁচাতে গিয়ে আমি নিজেই বিপদে পড়ে গেলাম! সত্যি সত্যিই আমি একটা গাধা। তা না হলে এমন বোকামী কেউ করে?
এসব ভাবার পর নিজেকে বাঁচানোর জন্য গাধা চিন্তা করতে লাগলো। হঠাৎ সে গরুকে দেয়া বুদ্ধিটিই কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল। সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী গাধা জমিতে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লো এবং কান ফাটা চিৎকার দিয়ে আকাশ-বাতাস ভারী করে তুললো।
চিৎকার শুনে কৃষক গাধার কাছে এলো। এরপর তাকে মাটি থেকে উঠানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু কিছুতেই উঠাতে পারলো না। এরপর কৃষক তার লাঠি দিয়ে গাধাকে বেদম পেটাতে শুরু করলো। পেটাতে পেটাতে কৃষক বললো :
কৃষক : মুর্খ কোথাকার! দেখতেই পাচ্ছিস, গরুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরপরও সব জেনে শুনে তুই কুড়েমি শুরু করেছিস!তোর দুধ কোন কাজে আসে না, গোশতেও কোন ফায়দা নেই। তারপরও ভেবেছিস তোকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবো? আজ যদি কাজ না করিস তাহলে তোকে মেরেই ফেলব।
গাধা দেখল অবস্থা বিপজ্জনক। তাই সোজা হয়ে দাঁড়ালো। প্রথম দিকে বিরক্তির সাথে এবং ধীরে ধীরে মনোযোগ দিয়ে কাজে লেগে গেল। কাজ করার সময় গাধা বিড়বিড় করে বলতে লাগলো- যেভাবেই হোক আজ রাতে গরুকে কৌশলে পটাতে হবে যাতে কাল সকালে মাঠে যায়।
যাই হোক, সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে বাড়ীতে ফিরল গাধা। বাড়ী ফিরেই সোজা গিয়ে ঢুকলো গোয়াল ঘরে। গাধাকে দেখেই গরু নড়েচড়ে বসল। এরপর বললো:
গরু: মাঠ থেকে এলি নাকি? এবার নিশ্চয়ই দেখেছিস, কি কঠিন কাজইনা আমাদের করতে হয়!
গাধা : না না, মোটেই কঠিন নয়। আমার তো মনে হয়, খুবই আরামদায়ক এবং সোজা কাজ এটি। কিন্তু অন্য একটি বিষয়ে আমার মনটা ভীষণ খারাপ। তোকে বললে তুইও কষ্ট পাবি।
গরু : হাল চাষের চেয়েও কষ্টের কিছু আছে নাকি? ঠিকাছে খুলেই বল, কষ্ট পাবো না।
গাধা : ব্যাপারটা তেমন কিছু না। আজ দুপুরে যখন মাঠে কাজ করছিলাম, তখন মালিক তার এক বন্ধুকে বলছিল, আমার গরুটা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে । মনে হয় বাঁচবে না। তাই ঠিক করলাম, কাল যদি ভাল না হয় তাহলে জবাই করে ফেলবো।
এ কথা শুনে গরু ভয়ে কাঁপতে লাগলো। তারপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলল :
গরু : তুই সত্যি বলছিস তো! যদি তাই হয় তাহলে কাল থেকেই কাজে লেগে পরতে হবে। মরার চেয়ে কাজ করে খাওয়া অনেক ভাল। তোর মত গাধার বুদ্ধিতে চলতে গিয়েই তো আমার সামনে বিপদ এসে হাজির হয়েছে। আর কোনদিন আমি তোর কথা শুনবো না।
গাধা: তোরে বুদ্ধি দিয়ে তো আমিও কম শাস্তি পেলাম না। আমি তোর উপকার করতে গেলাম আর তুই কিনা আমাকে দোষ দিচ্ছিস! গরুর দল বড়ই অকৃতজ্ঞ।
এভাবে কথা কাটাকাটির মধ্যদিয়ে রাত পোহালো। পরদিন সকালে কৃষক এসে গরুকে ধাক্কা দিতেই সে লাফিয়ে উঠলো। তখন গরু আর গাধাকে নিয়ে সে মাঠের দিকে রওনা হলো। যাওয়ার সময় কৃষক তার ছেলেকে ডেকে বললো :
কৃষক : তুই আরেকটি লাঙ্গল জোয়াল নিয়ে আয়। গাধাকেও আজ থেকে গরুর পিছু পিছু হাল চাষে কাজে লাগাবি! আর শোন, আরেকটা মোটা লাঠিও নিয়ে আসিস। গাধা আবার ছংবং করতে পারে।
হাসির গল্প ৪
বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে পাত্রীর প্রেমে পড়ে গিয়েছে সোহেল। যাকে মডার্ণ ভাষায় ক্রাশ বলে। দুই পক্ষই রাজী। সিদ্ধান্ত হলো ২ সপ্তাহ পরে বিয়ে হবে।
সোহেল তার হবু বৌয়ের সাথে বিয়ের শপিং এ যাবে। এর আগে ২ দিন হবু বৌ তানজিলার সাথে ফোনে কথা বলে সোহেল কিছুটা ইজি হয়ে গিয়েছে।
মাঞ্জা মারা জামা কাপড় পরে সোহেল রিকশায় মেট্রো শপিং এ যাচ্ছিল। সংসদ ভবনের পাশেই তানজিলাকে দেখল, একা। সোহেলের মনে একটা দুষ্টু বুদ্ধি আসল। সে রিকশা থেকে নেমে সন্তর্পনে তানজিলার পিছনে গিয়ে তানজিলার দুই চোখে হাত দিয়ে চেপে ধরল।
জীবনের প্রথম রোমান্টিকতা করছে, সোহেল নিজেও ঘাবড়ে গেছে। তার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হলো না।
তানজিলা বলল “এই জাহিদ ছাড়ো! যেকোন মুহুর্তে আমার হবু বর সোহেল এসে পড়বে। সে এভাবে আমাদের দেখলে কী ভাববে? এমনিতেই ভুদাইটা আমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। এই অবস্থায় দেখলে হাঁদারামটা হার্ট ফেইল করবে শিউর। এছাড়া আগামী সপ্তাহে আমাদের বিয়ে…………”
হাসির গল্প ৫
একটি চা-এর দোকানে বসে কিছু অলস লোক আড্ডা মারতেছে। এক জন অন্য জনকে গুল মারে (অর্থাৎ মিথ্যা বলে) , বসে থাকা বাকি লোক জন শুনে। দোকান দারের কোন সমস্যা নাই বরং লাভ, দুই একটা চা বিক্রি করতে পারবে। এতো প্যাঁচাল করে সময় নষ্ট করে লাভ কি আসল কথাই আসি। প্রথম জন বলেঃ আমার দাদার একটা কুত্তা (কুকুর) ছিল। মানুষের মত কথা বলতো আর গরুর মত ঘাস খেত!!!!!
দ্বিতীয় জনে বলেঃ আরে রাখ। তোর দাদার কুত্তার ছেয়ে আমার নানার বিড়াল ছিল বড় ডিয়ারিং। পাড়ার যত কুত্তা ছিল, সব কুত্তার গায়ে একবার হলেও ওঠেছে!!!!! ওদের গুল মারা দেখে তৃতীয় জন মনে মনে বলে তোরা যদি গুলবাজ তো আমিও গুলের রাজা। তৃতীয় জনে বলেঃ তুদের কথা শেষ হলে আমার কথা শুন। আমি বাজারে গিয়ে শুনলাম। একটি বড় বিমানকে বাসে ধাক্কা মেরে নিছে পেলে দিছে। মানুষ জন মরে নাই কিন্তু পাশে একটি কুত্তা ও বিড়াল মরা পাওয়া গেছে???
হাসির গল্প ৬
ছেলে শ্বশুরবাড়ী যাবে।
বুদ্ধিশুদ্ধি একটু কম তাই মা তাকে ভাল করে শিখিয়ে দিল।
বলল, তোর শ্বশুরের অসুখ তাই আগে তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করবি কেমন আছেন।
উনি হয়তো বলবেন ভাল। তখন বলবি এইটাই তো আমাদের কাম্য।
তারপর তিনি কি পথ্য করছেন জানতে চাইবি।
তিনি কিছু একটা বলবেন, তুই তখন বলবি অতি উপাদেয় পখ্য, রোজ খেলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন আসা করি।
তারপর জিজ্ঞেস করবি কোন ডাক্তার তার চিকিৎসা করছেন।
ডাক্তারের নাম শুনে বলতে পারবি তো, “দারুন ডাক্তার, খুব তারাতাড়ি ভাল হয়ে যাবেন !”
আর সব সময় হাসি, হাসি মুখ করে থাকবি কেমন।
মা নেওটা ছেলে ঘাড় নেড়ে বেরিয়ে পড়ল।
শ্বশুর মশাই রোগের জ্বালায় বিছানায় শুয়ে ছটফট করছেন।
জামাই ঘরে ঢূকে, হাসতে,হাসতে জিজ্ঞেস করল,কেমন আছেন বাবা ?
শ্বশুরঃ- আর বাঁচার ইচ্ছা নেই, এবার মরলেই বাঁচি।
জামাইঃ- এটাই তো আমাদের কাম্য। তা কি পথ্য করছেন এখন আপনি ?
শ্বশুরঃ- (চটে গিয়ে) ঘোড়ার ডিম।
জামাইঃ- বাঃ,বাঃ,অতি উপাদেয় পথ্য,রোজ খেয়ে যান ভাল হয়ে যাবেন আসা করি। আবার হাঁসতে-হাঁসতে তা ইয়ে কোন ডাক্তারকে দেখাচ্ছেন?
শ্বশুরঃ- (আরও চটে) যম।
জামাইঃ- খুব ভাল ডাক্তার, বেশ নাম করা ডাক্তার, আপনি কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে উঠবেন।
হাসির গল্প ৭
চুংকুর ক্লাসের শিক্ষিকা চুংকু-কে শাসিয়ে দিয়েছেন, পরের দিন সে যদি ইংরেজিতে কথা বলা না শেখে আসে তাহলে তার কপালে দুঃখ আছে।
পরেরদিন স্কুল যাবার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়ে কিছুদূর এসে শুনল একজন ছেলে একজন মেয়েকে বলছে- হ্যালো ডার্লিং! চুংকু মনে মনে ভাবল আরে এটা তো ইংরেজি কথা। সে শিখে নিল। কিছুদূর গিয়ে সে শুনল পার্কের ধারে একজন মেয়ে একজন ছেলেকে বলছে- সাট আপ ননসেন্স! চুংকু শিখে নিল। স্কুলের গেটের উল্টো দিকে সে দেখল রেশন দোকানী বলছে- লেডিস ফার্স্ট। চুংকুর ইংরেজি শিক্ষা সমাপ্ত।
ক্লাসে কিছুক্ষণ পড়ে সেই শিক্ষিকা এলে, ছাত্ররা সবাই দাঁড়িয়ে “গুড মর্নিং” বলল। কিন্তু চুংকু বলল- হ্যালো ডার্লিং। কথাটা দিদিমণির কানে যেতেই তিনি রেগে গিয়ে বললেন- হাউ ডেয়ার ইউ। চুংকু বলল- “সাট আপ ননসেন্স” এবারে ম্যাম আরও রেগে গিয়ে বললেন- “চলো প্রিন্সিপ্যালের কাছে” চুংকু বলল- “লেডিস ফার্স্ট”
আর এর পরের কাহিনী অবশ্যই পাঠকের মনে এতক্ষণে তৈরি হয়ে গেছে যে, চুংকুর সাথে পরবর্তীতে কি ঘটতে পাড়ে।
হাসির গল্প ৮
একটা মেয়ে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলো
:
মেয়েটির পেটে খুব গ্যাস ছিলো।যখন তখন
গ্যাস
বেরিয়ে যেতে
পারে। আর এ দিকে বাস ভর্তি লোক।
মেয়েটি
খেয়াল করলো
বাসে গান বাজছে।খুব জোরে জোরে গান
বাজছে।মেয়েটির মাথায়
একটা বুদ্ধি এলো।যখন গান বাজছে মেয়েটি
গানের
তালে তালে
গ্যাস ছাড়ছে।যাতে কেউ বুঝতে না পারে।
গানের
তালে তালে
পুইইইইই…পুউউইইই করে গ্যাস ছাড়ছে
একসময় মেয়েটার স্টপেজ এসে যায়।বাস
থেকে
নামতে নামতে
খেয়াল করলো সবাই তার দিকে কেমন
জানি রাগ
নিয়ে তাকিয়ে
আছে। কয়েকটা ছেলেমেয়ে তার দিকে
তাকিয়ে
মুচকি মুচকি হাসছে।
তাহলে কি সবাই জেনে গেলো সেইই গ্যাস
ছেড়েছে??
:
হঠাৎ মনে পড়লো গান তো বাজছিলো, তবে
সেটা
বাসে নয়!.
মেয়েটার হেডফোনে।