আল কুরআন নিয়ে উক্তি: আমরা প্রায় সবাই কম বেশি উক্তি পড়ে থাকি। তার মধ্যে আল কুরআন নিয়ে উক্তি আমাদের সবার প্রিয়। উক্তি আমাদের জীবনকে নতুন করে জাগিয়ে তোলো। আমাদের সবার এই উক্তিগুলো জেনে বুঝে পড়া উচিত। কেনও বা প্রিয় হবে না, কারণ এই উক্তি আমাদের মনকে শান্ত করে দেই। তাই আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম এই অসামান্য আল কুরআন নিয়ে উক্তি,ইসলামিক বাণী, উক্তি, এসএমএস ক্যাপশন স্ট্যাটাস। যা আপনাদের খুবই ভালো লাগবে।
তবে হ্যা আপনার যদি এই সব উক্তি ভালো লেগে থাকে। তা হলে আমাদের ওয়েবসাইটেরও অন্যান্য পোস্ট অবশ্যই পড়েবেন। ধন্যবাদ ❤❤❤
আল কুরআন নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস
দ্বীন ও দুনিয়া একসাথে অর্জন করতে চাইলে কুরআন ও সুন্নাহ্ ব্যতীত অন্য কোনো পথ নেই। যদিও মনে হবে দুনিয়া অপূর্ণই থেকে যাচ্ছে। – ড. বিলাল ফিলিপ্স।
নিঃসন্দেহে কুরআন আরবি ভাষায় সর্বোত্তম এবং বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ। কোনো মানুষের পক্ষেই এ ধরনের একটি অলৌকিক গ্রন্থ রচনা করা হয়নি। – জর্জ সেল।
এরা কি লক্ষ করে না কুরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারো পক্ষ থেকে হতো, তবে এতে অবশ্যই বহু বিরুদ্ধতা দেখতে পেত।। – সূরা নিসা, আয়াত-৮।
যে ব্যক্তি কোরআন অধ্যয়নে মগ্ন থাকায় (অতিরিক্ত) জিকর ও দোয়ার সময় পায় না। আমি তাকে দোয়া প্রার্থীদের চেয়েও অধিক দিয়ে থাকি। – তিরমিজি।
জীবনে যতই সংকটময় অবস্থা আসুক না কেনো আল্লাহর দেওয়া পথে সব সময় অটল থাকবে।
তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না।
অহংকার অবশ্যই পতনের মূল ।
তোমরা নিজেদের সন্তানকে হত্যা কোরো না।
অবশ্যই লজ্জা এবং শালীনতার সাথে চলাফেরা করবে।
কারো মসজিদ যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি কোরো না।
পাপ কাজ এবং অবৈধ জিনিসের পিছনে সময় বা শ্রম ব্যয় কোরো না।
সৎকার্যের আদেশ করো এবং অসৎকার্য নিষেধ করো।
সত্যের উপর সব সময় অবিচল থেকো।
সৎকার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বলো।
প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না।
মাতা পিতার ঘরে প্রবেশের পুর্বেও অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করবে।
সৎগুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো।
যদি ঋণী কখনো অভাবগ্রস্ত হয় তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও।
যারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো।
গোপন তত্ত্ব অনুসন্ধান কোরো না এবং পরনিন্দা কোরো না।
সৃষ্টিজগতের ভিতর আল্লাহকে খোঁজার চেষ্টা করো।
তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না।
পৃথিবীতে ভ্রমন কর এবং দেখো, যারা সত্য কে অস্বীকার করেছিলো তাদের কি অবস্থা হয়েছিল।
না বুঝে ভুল করলে, পরে যদি ভুল বুঝতে পারো তবে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও।
নিজের জীবনে সব সময় মধ্য-পন্থা অবলম্বন কোরো।
পৃথিবীতে বিবাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কোরো না।
অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানের প্রতি উৎসাহ প্রদান করো।
প্রতিদান কামনা করে দাতব্য বিনষ্ট করো না।
ঋণের বিষয় লিখে রাখো।
আমানত রক্ষা করো।
কখনও নিরাশ হয়ো না, তুমি যত বড় গুনাহই করো না কেন ক্ষমা চাইলে আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমা করবেন।
পুরুষ ও নারী উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে।
কুরআন আল্লাহর অদ্বিতীয়ত্বের গৌরবময় সাক্ষ্য। – এডওয়ার্ড গিবন (বই-দি ডিক্লাইন অ্যান্ড ফল অব রোমান এম্পায়ার)।
কুরআন গরীবের বন্ধু ও কল্যাণকামী। ধনীদের বাড়াবাড়িকে কোরআন সর্বক্ষেত্রেই নিন্দা করেছে। – গর্ড ফ্রে হগনস।
যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করবে, সে একটি নেকি পাবে, আর একটি নেকি দশটি নেকির সমতুল্য। – মুসনাদে আহমাদ।
আমি প্রশংসা করি আমার সৃষ্টিকর্তার এবং আমার শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে পবিত্র নবী ও পবিত্র কুরআনের প্রতি। – নেপোলিয়ান বোনাপার্ট।
কোরআন বুঝে পড়লেও সওয়াব, না বুঝে পড়লেও সওয়াব, পড়া শুনলেও সওয়াব। আর কুরআনকে আকঁড়ে ধরলে সে কখনো বিপথগামী হবে না। – মিশকাত।
কারো অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় তার দোষ,ভুল নিয়ে আলোচনা কোরো না।
নিজের প্রতিপালকের নিকট অভিমুখী হও এবং তাঁর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করো।
ক্রোধ সংবরণ করো।
একে অপরের কখনো উপহাস কোরো না।
অনাথদের সম্পদ আত্মসাৎ কোরো না।
একে অপরের সাথে হিংসুক আচারণ কোরো না।
অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ কোরো না।
সাধ্যের বাইরে কারো উপর বোঝা চাপিয়ে দিও না।
মানুষের সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করো।
যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে তাদেরকে তোমরা বিয়ে কোরো না।
রূঢ় ভাষা ব্যবহার করো না।
পৃথীবিতে নম্রতার সাথে চলাফেরা কোরো।
প্রয়োজনে সকলকে সহযোগিতা কোরো।
মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে বন্টন করতে হবে।
সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।
মানুষ হয়ে মানুষকে হত্যা কোরো না।
সমস্ত নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো।
জুয়া খেলো না বরং তা শয়তান এর কাজ।
বিশুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করো। – সূরা মুজ্জাম্মিলঃ ৪।
মহাগ্রন্থ আল কুরআন লাওহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ। – সূরা বুরুজঃ ২১
আল কুরআন অন্তরের ব্যাধির সুস্থতা দান করে। – সূরা ইউনুসঃ ৫৭।
জীবনের প্রতিটি শাখায় কার্যকরী বিধান কুরআনে গচ্ছিত রয়েছে। – গিবন
যার অন্তরে কোরআন নেই, সে যেন পরিত্যক্ত বাড়ির মতো। – তিরমিজি।
বেদ পুরানের যুগ চলে গেছে, এখন বিশ্ব পরিচালনার জন্য পবিত্র কুরআনই একমাত্র গ্রন্থ। – শিখ ধর্মীয় নেতা গুরু নানক।
মুহাম্মদের এ দাবী আমি মনেপ্রাণে স্বীকার করি যে কুরআন মুহাম্মদ (সাঃ) এর একটি সর্বকালীন শ্রেষ্ঠ মোজেযা। – মিঃ বোরথ সমুখ।
যারা মানুষের অভাবে ঋণ দাও তাদের জন্যে রয়েছে উত্তম পুরস্কার।
অহংকারের আশ্রয় নিয়ে কাউকে ছোট করে দেখো না এবং পৃথীবিতে উদ্ধত পূর্ণ আচরণ কোরো না।
অন্যদের জন্য সদাচারী হও।
মৃত পশু, রক্ত ও শূয়োরের মাংস নিষিদ্ধ।
মাদক দ্রব্য ও আলকোহল বর্জন করো।
তোমরা অবশ্যই সুদ পরিহার করে চল।
ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্যদের গালমন্দ কোরো না।
ভিক্ষুককে কখনো ধমক দিও না।
বিশ্বাসঘাতক দের পক্ষ নিয়ে অন্য কারো সাথে তর্ক কোরো না।
অন্যায় ভাবে কারো সম্পদ দখল কোরো না।
এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো।
অবৈধ যৌনাচারে তোমরা লিপ্ত হয়ো না।
দ্বিনের মধ্যে বৈরাগ্যের কোনো স্থান নেই।
লোভ-লালসা থেকে সুরক্ষিত থেকো।
নারীরা যেন নিজের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে।
তোমরা অনাথের সম্পদ নিজের করে নিও না।
দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই।
উত্তরাধিকারের অধিকার নারীদেরও আছে।
উত্তারাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পদের মধ্য নারীদেরও অধিকার রয়েছে তাদেরকে তা বুঝিয়ে দাও।
যেকোনো বিষয়ে পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নাও।
কোরআনের বিধানবলী স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ। – আর্নল্ড টয়েনবি
কুরআন মাজিদ একটি শিক্ষণীয় গ্রন্থ, এটা কোনো মৃত বিবেকের জন্য নয়। – সংগৃহীত।
আমিই এই কুরআন নাজিল করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষণকারী। – আল কুরআন।
রমজানের সবচেয়ে বিস্ময়কর নেয়ামত হচ্ছে আল কোরআন। – সংগৃহীত।
পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন তেলাওয়াত করা সর্বোত্তম ইবাদত। – বুখারি।
আল কোরআন সম্পর্কিত আরো কিছু কথা
তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে নিজে কুরআন শিখে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়। – মুহাম্মদ (সাঃ)।
আর আমি কুরআনকে খণ্ডাকারে নাজিল করেছি যাতে করে আপনি এটা লোকেদেরকে বিরতি সহকারে পাঠ করে শোনাতে পারেন। – সূরা ইসরাঃ ১০৬
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কুরআন তেলাওয়াত করতেন প্রতিটি হরফ স্পষ্ট উচ্চারণ করে এবং প্রতিটি আয়াতে বা বাক্যে থেমে থেমে। – তিরমিজি।
যখন আপনি কুরআন তেলাওয়াত করেন তখন মনে করবেন আপনি আল্লাহর সাথে কথা বলছেন করছেন এবং তিনি সরাসরি আপনাকে বলছেন। – ইমাম ইবনুল কাইয়ুম।
আল কুরআন নিয়ে উক্তি বাণী হাদিস আয়াত
যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তা শোন এবং মনোযোগ দাও যাতে তোমাদের উপর রহমত বর্ষিত হয়। – সূরা আরাফঃ২০৪।
যখন তাদের প্রতি (মুমিনদের) কোরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ঈমান বাড়িয়ে দেয়। – সূরা আনফালঃ২।
আমি এই কুরআনে মানুষকে বিভিন্ন উপকারের মাধ্যমে সব রকম বিষয়বস্তু বুঝিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ লোকই অস্বীকার না করে থাকেনি। – সূরা কাহফঃ৫৪।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা কোরআনের কারণে বহু জাতিকে মর্যাদা দিবেন আবার এই কোরআনের জন্যই( কোরআনকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে) কোনো কোনো জাতিকে ধ্বংস করে দিবেন। – মুসলিম।
বিশ্বের মানবমণ্ডলী নিজেরা পুরোপুরি অনুসন্ধান চালিয়ে দেখুক। পড়ুক তারা পবিত্র আল কুরআন। আর বুঝতে চেষ্টা করতে থাকুক, তখন তারা পেতে পারে সেই শান্তি, সবাই যার অনুসন্ধান করছে। – ডেভিড উয়োহার্টি (গ্রন্থঃ দ্য স্পিরিট অব দ্য ইস্ট)।
কুরআনের সকল বিধানাবলি রাজা-বাদশা থেকে শুরু করে কুটিরে বসবাসকারী পর্যন্ত সবার জন্যই সমান উপযোগী ও কল্যাণকর। বিশ্বের অন্য কোনো ব্যবস্থায় এর বিকল্প খুঁজে পাওয়া একেবারেই অসম্ভব। – পণ্ডিত স্যার ডায়মন্ডবার্স।
কুরআন কখনো মুহাম্মদের নিজ মনের রচনা নয়। এটা আল্লাহ কর্তৃক তার নিকট নাযিল হয়েছে। – প্রফেসর এলভি ভিজিলিয়েনের।
অবশ্যই এই কোরআন আমিই অবতীর্ণ করেছি আর নিঃসন্দেহে এর রক্ষার দায়িত্ব আমারই। – সূরা হিজরঃ ৯।
আমি কুরআনে এমন কিছু আয়াত নাযিল করেছি, যার মাধ্যমে মুমিনদের রোগমুক্তি ও শান্তি অর্জিত হয়। – সূরা ইসরাঃ ৮২।
কুরআন হলো একটা নির্দেশিত গ্রন্থ, যারা এটার অবমাননা করে তাদের জন্য এটা মোটেও না। – সংগৃহীত।
আল্লাহ কোরআন শেখানোর উদ্দেশ্যে মানব সৃষ্টি করলেন এবং তাকে ভাব প্রকাশ করা শেখালেন। – সূরা আর রহমানঃ১-৪।
আমি আশা করি আপনারা এই পোস্ট থেকে আল কুরআন নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন এসএমএস পেয়েছেন। এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটকে ফলো করতে ভুলবেন না।