নামাজ নিয়ে উক্তি: আমরা প্রায় সবাই কম বেশি উক্তি পড়ে থাকি। তার মধ্যে নামাজ নিয়ে উক্তি আমাদের সবার প্রিয়। উক্তি আমাদের জীবনকে নতুন করে জাগিয়ে তোলো। আমাদের সবার এই উক্তিগুলো জেনে বুঝে পড়া উচিত। কেনও বা প্রিয় হবে না, কারণ এই উক্তি আমাদের মনকে শান্ত করে দেই। তাই আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম এই অসামান্য নামাজ নিয়ে উক্তি,নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস, হাদিস, উক্তি ও ক্যাপশন ক্যাপশন স্ট্যাটাস। যা আপনাদের খুবই ভালো লাগবে।
তবে হ্যা আপনার যদি এই সব উক্তি ভালো লেগে থাকে। তা হলে আমাদের ওয়েবসাইটেরও অন্যান্য পোস্ট অবশ্যই পড়েবেন। ধন্যবাদ ❤❤❤
নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস
নামাজের দ্বারা শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়।
— আল হাদিস
কোন ব্যক্তি যখন নামাজে দাড়ায় তখন আল্লাহপাক তার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেন। আর যখন সে নামাজ থেকে সরে যায়, তখন আল্লাহও মনোযোগ সরিয়ে নেন।
— আল হাদিস
কোন পাপের কারণে কোন নামাজি জাহান্নামে প্রবেশ করলেও তার সেজদার অঙ্গ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা।
— আল হাদিস
আমি জান্নাতের চেয়ে নামাজকে বেশি ভালোবাসি । কারণ জান্নাতের সুখ আমার নিজের জন্য আর নামাজ আমার মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি জন্য ।
— হযরত আলী ( রাঃ)
আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয় ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৩
মানুষের ঈমান এবং শিরক ও কুফরের মধ্যকার পার্থক্য হলো সলাত পরিহার করা।
— হযরত মুহম্মদ (সাঃ)
যখন আপনি কোরআন তেলাওয়াত করেন তখন মনে করবেন মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের সাথে আপনি সরাসরি কথা বলতেছেন— ইমাম ইবনুল কাইয়েম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।
মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাদেরকে সৃষ্টি করেছে একমাত্র তাঁর ইবাদতের উদ্দেশ্যে—- পবিত্র কুরআনুল কারীম
আপনি যদি আপনার মনের শান্তি চান তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন।
বিপদ থেকে দূরে থাকতে হলে আপনাকে নিয়মিত নামাজ পড়তে হবে।
বিপদ আপদ বালা মুসিবত থেকে দূর করার একমাত্র উপায় হল নামাজ।
এই পৃথিবীতে যা কিছু হচ্ছে সব কিছু তো সৃষ্টিকর্তার এই খেলা, এই খেলায় হার জিত থাকবে তবে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যকে আমাদের মনে রাখতে হবে।
নামাজের এত গুরুত্ব যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে সবথেকে বেশি নামাজের কথা বলেছে।
মনীষীরা সবসময় সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনায় করতে বলেছেন।
নামাজ পড়লে অন্তরে শান্তি পাওয়া যায় এটাই সবথেকে বড় কৃতিত্ব নামাজের ভিতরে
জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল সৃষ্টিকর্তার হুকুম পালন করা, তাছাড়া এই জীবনের কোন উদ্দেশ্য নাই।
নিজেকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখতে প্রতিটা বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন এর উপর ভরসা করুন কেননা আপনার জন্য কোনটা ভাল হবে আর কোনটা মন্দ হবে তা তিনিই একমাত্র ভালো জানেন— ডঃ বিলাল ফিলিপস
সত্যের সন্ধানে আপনি যদি এগিয়ে যেতে চান তাহলে নামাজ পড়ুন।
জীবনের প্রতিটি সময় আপনি যদি বিপদ মুক্ত থাকতে চান তাহলে বেশি বেশি করে নামায আদায় করুন।
সকালের ঘুম ভেঙ্গে নামাজের জন্য তৈরি হন দেখবেন সারাটা দিন আপনার ভালো যাবে।
খাদ্য খেলে যেমন পেটের ক্ষুধা মেটে ঠিক তেমনিভাবে অন্তরের খুদা যোগায় নামাজ পড়ার মাধ্যমে।
নামাজ পড়ুন মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন কে ভালোবাসেন দেখবেন আপনার আশা পূর্ণ হয়েছে।
জন্ম-মৃত্যু মাঝে আমাদের জীবনের সময়টুকু , এই সময়টা মধ্যে মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্য পালন করতে হবে আমাদের।
সৃষ্টিকর্তার এই অপরূপ সৌন্দর্যের ভিতরে সবথেকে সুন্দরতম জিনিস হল নামাজ।
মুমিন গণ, জুমআর দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহ্র স্মরণের পানে তরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর । এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ ।
— সূরা আল জুমুআ, আয়াতঃ ৯
সবাই তার অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না ।
— সূরা আর রুম, আয়াতঃ ৩১
নামাজ শুধু মাত্র একটি প্রার্থনা নয় এর মাধ্যমে পবিত্র রব সর্বশক্তিমান রবের সাথে যোগাযোগ ও কথোপকথন করা যায়।
“নামাযের মধ্যে দিয়ে একজন মানুষ তার শারীরিক গঠনের সাথে আত্মিক গঠনের সামঞ্জস্যতা খুঁজে পায়।”
নামাজের মাধ্যমে মহাবিশ্ব এর অস্তিত্বের প্রকৃত উদ্দেশ্য আবিষ্কার করা যায়।
শুধুমাত্র নামাজের মাধ্যমেই নিজের বিশ্বাস পুনর্জীবিত হয়।
যদি একজন মুমিন মুসলিম প্রকৃত সুখ খুঁজে পেতে চায় তাহলে তার নামাজ আদায় করা উচিত।
নামায আদায় করার মাধ্যমে জীবনের সকল সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যায় এবং অসাধারণ মানসিক শান্তি পাওয়া যায় যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
আল্লাহর নিকট সেজদার মাধ্যমে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়া যায়।
নামাজের মাধ্যমেই অভ্যন্তরীণ শান্তি আবিষ্কার করা যায় যার অনুভব ভাষায় বলে প্রকাশ করা যাবে না
হে বতসো, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদ আপদে সবর কর । নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ ।
— সূরা লোকমান, আয়াতঃ ১৭
নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আত্মার প্রকৃত সান্তনা খুঁজে পাওয়া যায়
নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সংযোগের একটি পথ উন্মোচন হয়
নামাজের মাধ্যমে একজন মুমিন বান্দা তার সকল দুঃখ ভুলে যেতে পারে আল্লাহর অনুগ্রহে।
শুধুমাত্র নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই সুশৃঙ্খলা অর্জন করা যায়।
সালাতের মাধ্যমেই একজন বান্দা সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে কাছে যায় এবং এটাই মুখ্য সময় ক্ষমাপ্রার্থনা করার।
“সর্বশক্তিমানের সামনে সিজদায় শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা খুঁজে পাওয়া যায়।” সর্বশক্তিমান মহাবিশ্বের রক্ষক আল্লাহর সামনে সেজদা দিলে মনে শীতল এক হাওয়া বয়ে যায়।
প্রতিটি সেজদায় গভীর কৃতজ্ঞতা নম্রতা ও ভদ্রতার অনুভূতি অনুভব করা যায়।
নামাজের অনুশীলনের মাধ্যমেই দ্বীনের সাধারণ মুহূর্তকে অসাধারণ মুহূর্তে পরিবর্তন করা যায়।
আমরা যদি মনের প্রশান্তির দুয়ার খুলতে চাই তাহলে একমাত্র পথ হলো নামাজ আদায় করা।
নামাজ নিয়ে ক্যাপশন
নামাজের মাধ্যমেই মহাকালের পথ পাড়ি দেওয়া একদম সহজ।
নামাজ একটি শক্তিশালী শক্তি যার মাধ্যমে সকল পাপ মন থেকে দূর করে দেয়ই যায় ।
একজন বান্দা যখন মাথা নত করে প্রার্থনা করে তখন মনে হয় সে যেন সৃষ্টিকর্তার সামনেই রয়েছে।
যখন আমি সেজদায় নিস্তব্ধ অবস্থায় থাকি তখন মনে হয় যেন সৃষ্টিকর্তার শীতল ছায়াতলে আছি।
ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে । অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন । কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৫
তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাতাক দাও । তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎ কর্ম প্রেরন করবে, তা আল্লাহ্র কাছে পাবে । তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা প্রত্যক্ষ করেন ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১১০
গ্রীষ্মের উত্তপ্ত দিনগুলোতে সাওম পালন করা এবং রাতের বেলা সলাতে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া এই পৃথিবীর আর কোন কিছুকে ছেড়ে যেতে আমি দুঃখবোধ করি না।
— আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)
ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম। সুতরাং, জেগে উঠুন এবং নামাজে দাঁড়িয়ে যান। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অহং (ইগো) থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন।
— তারিক রামাদান
আল্লাহর যিকরে, সলাতে এবং কুরআন তিলাওয়াতে যে ব্যক্তি সুখ খুঁজে পায় না, সে অন্য কোথাও তা খুঁজে পাবে না।
— আল হাসান আল-বাসরী (রাহিমাহুল্লাহ)
মানুষ নামাজে দাড়ালে তার জন্য বেহেশতের দরজা খুলে যায় এবং আল্লাহ তায়ালা ও নামাজিদের মধ্যে কোন পর্দা থাকে না।
— আল হাদিস
ইসলামের নিদর্শন একমাত্র নামাজ। যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে ওয়াক্ত ও সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে নামাজ পড়ে সেই মুমিন ।
— আল হাদিস
আল্লাহর শপথ! যদি আমি না খেয়ে সারাদিন রোযা রাখি, সারারাত না ঘুমিয়ে সলাতে দাঁড়িয়ে থাকি, আমার সমস্ত সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করি; এরপর যদি যারা আল্লাহকে মেনে চলেন এমন মানুষদের প্রতি অন্তরে ভালোবাসা না রেখে এবং যারা আল্লাহর অবাধ্য তাদের প্রতি অন্তরে ঘৃণা না রেখে মারা যাই ; সেই কাজগুলো আমাকে একটুও উপকৃত করবে না।
— আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ)
আমরা শুধুমাত্র নামাজের মাধ্যমে স্বয়ং আল্লাহর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি।
নামাজের প্রত্যেকটা বিষয়ের মধ্যেই একটা আলাদা রকমের প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।
নামাজের মাধ্যমেই হৃদয় ও মনকে পরিষ্কার করা যায় এবং মালিক তথা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
আপনি যখন বিশ্বাসের সাথে নামাজ পড়বেন তখন মনে হবে আপনি নতুন একটা জীবন পেলেন।
বান্দা যখন আল্লাহর কাছে সেজদা দেয় তখন আত্মসমর্পণের একটি মুহূর্ত তৈরি হয়।
আপনি যদি জীবন নিয়ে দুঃখী থাকেন তাহলে নামাজ আদায় করুন জীবনের ভারসাম্য এবং প্রশান্তি খুঁজে পাবেন।
নামাজের মাধ্যমেই মনে স্বর্গীয় সুখ লাভ করা যায় যার অনুভূতি বলে প্রকাশ করা যাবে না।
নামাজের মাধ্যমে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার শক্তি খুঁজে পাওয়া যায় ।
“জগত যখন অপ্রতিরোধ্য তখন নামাজ আমার আশ্রয়স্থল হয়ে”
হে বনী আদম ! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না । তিনি অপব্যয়ীদের কে পছন্দ করেন না ।
— সূরা আল আরাফ, আয়াতঃ ৩১
সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে । আর আল্লাহ্র সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ২৩৮
সলাত জান্নাতের চাবিকাঠি
— হযরত মুহম্মদ (সাঃ)
সলাতের জন্যে অপেক্ষমাণ ব্যাক্তি সলাতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।
— হযরত মুহম্মদ (সাঃ)
যারা আল্লাহ্র কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না।
— সূরা ফাতির, আয়াতঃ ২৯
হে মুমিন গন ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর । নিশ্চিতই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথেই রয়েছেন ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১৫৩
আর যেসব লোক সুদৃঢ় ভাবে কিতাবকে আঁকড়ে থাকে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে নিশ্চয় আমি বিনষ্ট করবো না সৎ কর্মীদের সওয়াব ।
— সূরা আল আরাফ, আয়াতঃ ১৭০
আমিই আল্লাহ্ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই । অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর ।
— সূরা তোয়া-হা, আয়াতঃ ১৪
নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলদের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও ।
— সূরা আন নূর, আয়াতঃ ৫৬
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নেয়া হবে।
— আল হাদিস
আমি আশা করি আপনারা এই পোস্ট থেকে নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ক্যাপশন এসএমএস পেয়েছেন। এরকম আরো ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটকে ফলো করতে ভুলবেন না।