মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের মধ্যে পার্থক্য কি?
মৌলিক | যৌগিক |
---|---|
যে পদার্থকে রাসায়নিক পদ্ধতিতে বিভাজিত করে দুই বা ততোধিক ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট পদার্থে বিশ্লিষ্ট করা যায় না, অর্থাৎ যে পদার্থ হতে সাধারণভাবে সেই পদার্থ ব্যতীত অন্য কোন নূতন পদার্থ পাওয়া যায় না, তাকে মৌল বা মৌলিক পদার্থ বলে। | পক্ষান্তরে, যে পদার্থ থেকে দুই বা ততোধিক সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়, সেই পদার্থকে যৌগ বা যৌগিক পদার্থ বলে। |
মৌলিক পদার্থ হলো- কার্বন, হাইড্রোজেন, লৌহ ইত্যাদি। | আর, যৌগিক পদার্থ হলো- পানি, এসিড, লবন ইত্যাদি। |
মৌলিক পদার্থের একক হলো- পরমানু। | আর, যৌগিক পদার্থের একক- অনু। |
মৌলিক পদার্থকে বিশ্লেষন করলে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন পাওয়া যায়। | আর, যৌগিক পদার্থকে বিশ্লেষন করলে মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। |
মৌলিক পদার্থের সংখ্যা সীমিত। | কিন্তু, যৌগিক পদার্থের সংখ্যা অসীম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। |
মৌলিক পদার্থ
যে পদার্থকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করলে ওই পদার্থ ছাড়া অন্য কোনো পদার্থ পাওয়া যায় না, তা-ই মৌলিক পদার্থ। যেমন : হাইড্রোজেন (H2), সোডিয়াম (Na)।
হাইড্রোজেনকে যত ভাগে ভাগ করা হোক—হাইড্রোজেনই পাওয়া যাবে। একইভাবে সোডিয়ামকে ভাগ করলেও শুধু সোডিয়ামই পাওয়া যায়।
যৌগিক পদার্থ
যে পদার্থকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করলে একাধিক পদার্থ পাওয়া যায়, তা-ই যৌগিক পদার্থ। যেমন : সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) এখানে সোডিয়াম ক্লোরাইডকে ভাগ করলে সোডিয়াম (Na) ও ক্লোরিন (Cl) পাওয়া যাবে। অন্যবাবে বলা যায়, যে সকল পদার্থ ভাঙ্গলে একের অধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তাদেরকে যৌগিক পদার্থ বলে । যেমন- চকের এক টুকরোকে ভাঙতে ভাঙতে এক সময় এমন ছোট অংশ পাওয়া যাবে যে, সে গুলোকে আর খালি চোখে দেখা যাবে না । আর ভাঙা অংশ গুলোতে চকের গুণ বা বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাবে না। চকের পরিবর্তে ভাঙা অংশগুরোতে ক্যালসিয়াম, কার্বন ও অক্সিজেন গুণ বা বৈশিষ্ট্য পাওয়া যাবে। তাই এখানে চক একটি যৌগিক পদার্থ ।
আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)