ক্ষার এবং ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য কি?

ক্ষার এবং ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় ক্ষার এবং ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক ক্ষার এবং ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

ক্ষার এবং ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য কি?

ক্ষার এবং ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য কি?

ক্ষার ক্ষারক
ক্ষার ধাতু বা ধাতুর অক্সাইড পানির সাথে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষার উৎপন্ন করে।অন্যদিকে মৃতক্ষার ধাতু বা ধাতুর অক্সাইড পানিতে অদ্রবনীয় বা সামান্য দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারক সৃষ্টি করে। অক্সাইড নিজেই ক্ষারক।
 ক্ষারক পানিতে দ্রবীভুত হতেও পারে বা নাও হতে পারে। অন্যদিকে ক্ষার পানিতে দ্রবীভুত হবেই।
ক্ষারের ph মান সাধারনত 7 এর বেশি।অন্যদিকে ক্ষারকের এটির মান ৭ অপেক্ষা কম।
রাসায়নিকভাবে অম্লের বিপরীতধর্মী পদার্থ হল ক্ষারক।অন্যদিকে ক্ষারক অম্লের সাথে প্রশমন বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে
সকল ক্ষারক ক্ষার নয়।অন্যদিকে সকল ক্ষারই ক্ষারক।
ক্ষার অনেকক্ষন রেখে দিলে তলানি জমে না।যেমন- NaOH. অন্যদিকে ক্ষারক অনেকক্ষন রেখে দিলে তলানি পড়ে ও পানি পরিস্কার হয়। যেমন- CaCO3.

ক্ষার

যে সব ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় তাকেই ক্ষার বলে। অর্থাৎ ক্ষার একটি ক্ষারীয় ধাতু বা ক্ষারীয় ধাতব ধাতুর উপাদানগুলির একটি মৌলিক হাইড্রক্সাইড বা আয়নিক লবণ, যা পানিতে দ্রবণীয়। জলে দ্রবণীয় ক্ষারকীয় ধর্ম বিশিষ্ট ধাতব হাইড্রক্সাইডকে ক্ষার (Alkali) বলে । যেমন – ক্যালসিয়াম হাইড্রক্সাইড (Ca(OH)2, টাশিয়াম হাইড্রক্সাইড (KOH), সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড (NaOH), অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড (NH4OH) ইত্যাদি।
সুতরাং আমরা বলতে পারি, যে সকল ক্ষারক অতিমাত্রায় পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে।

ক্ষারক

ক্ষারক এক শ্রেণির রাসায়নিক যৌগ যা হাইড্রোজেন আয়ন গ্রহণ করতে সক্ষম। যেমন ধাতুর অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইডসমূহ ক্ষার। জলে দ্রবণীয় ক্ষারক যা হাইড্রোক্সাইড আয়ন (OH−) প্রদান করে তাকে ব্রনস্টেড-লাউরির মতবাদ অনুযায়ী ক্ষার বলা হয়। ক্ষারকের অন্যান্য মতবাদ বা সংজ্ঞার্থের মধ্যে রয়েছে ইলেক্ট্রন জোড় দান, হাইড্রোক্সাইড আয়নের উৎস বা আরহেনিয়াস মতবাদ। এইসব রাসায়নিক যৌগ জলে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন অবমুক্ত করে দ্রবণের pH এর মান প্রশম পানির চেয়ে বেশি অর্থাৎ ৭ এর বেশি করে। সবচেয়ে প্রচলিত ক্ষারকসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড, অ্যামোনিয়া। রাসায়নিকভাবে অম্লের বিপরীতধর্মী পদার্থ হল ক্ষারক। অম্ল এবং ক্ষারকের মধ্যে বিক্রিয়াকে বলা হয় প্রশমন বিক্রিয়া। অম্ল এবং ক্ষারককে বিপরীতধর্মী হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ অম্ল পানিতে হাইড্রোনিয়াম আয়নের ঘনমাত্রা বৃদ্ধি করে ; অপরদিকে ক্ষারক তা হ্রাস করে। ক্ষারক অম্লের সাথে প্রশমন বিক্রিয়া করে লবণ এবং পানি উৎপন্ন করে।

যেমন: Ca(OH)2(ক্ষারক) + H2SO4(এসিড) ——-> CaSO4(লবণ) + 2H2O(পানি)।

আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য ক্ষার এবং ক্ষারকের মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব ক্ষার এবং ক্ষারকের মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)

Leave a Comment