আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় ধমনি ও শিরার মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক ধমনি ও শিরার মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
ধমনি ও শিরার মধ্যে পার্থক্য কি?
ধমনি | শিরা |
---|---|
ধমনীর উৎসস্থল হৃৎপিণ্ড এবং মিলনস্থল জালক। | অন্যদিকে শিরার উৎসস্থল জালক এবং মিলনস্থল হৃৎপিণ্ড। |
ধমনীর প্রাচীর পুরু ও গহ্বর ছোট। | অন্যদিকে শিরার প্রাচীর পাতলা ও গহ্বর বড়। |
ধমনীর মধ্যে কপাটিকা থাকে না। | অন্যদিকে শিরার মধ্যে কপাটিকা থাকে। |
ধমনীর মাধ্যমে রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়। | অন্যদিকে শিরার মাধ্যমে রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে হৃৎপিণ্ডে পরিবাহিত হয়। |
ধমনীর মাধ্যমে বিশুদ্ধ রক্ত বা অক্সিজিনেটেড ব্লাড পরিবাহিত হয় (ব্যতিক্রম – ফুসফুসীয় ধমনী, যেখানে যুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয় )। | অন্যদিকে শিরার মাধ্যমে দূষিত রক্ত বা ডি অক্সিজিনেটেড ব্লাড পরিবাহিত হয়, (ব্যতিক্রম ফুসফুসীয় শিরা, যেখানে যুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয়) । |
ধমনীর মধ্যে দিয়ে রক্ত বেগে প্রবাহিত হয়। | অন্যদিকে শিরার মধ্যে দিয়ে রক্ত ধীরে প্রবাহিত হয়। |
ধমনীর স্পন্দন আছে। | অন্যদিকে শিরার স্পন্দন নেই। |
ধমনী কেটে গেলে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোয়। | অন্যদিকে শিরা কেটে গেলে গল গল করে রক্ত বেরোয়। |
আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য ধমনি ও শিরার মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব ধমনি ও শিরার মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)