মোট সুদ ও নীট সুদের মধ্যে পার্থক্য কি?

মোট সুদ ও নীট সুদের মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় মোট সুদ ও নীট সুদের মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক মোট সুদ ও নীট সুদের মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

মোট সুদ ও নীট সুদের মধ্যে পার্থক্য কি?

মোট সুদ ও নীট সুদের মধ্যে পার্থক্য কি?

মোট সুদনীট সুদ
মোট সুদ একটি প্রসারিত ধারণা।অন্যদিকে নীট সুদ মোট সুদেরই একটি অংশ।
মোট সুদের মধ্যে নীট সুদ ছাড়াও আনুষঙ্গিক কিছু ব্যয় বা প্রাপ্তি বিবেচনা করা হয়। যেমন, ঋণ দাতার পারিশ্রমিক, ঝুঁকি বহনের মুনাফা, নগদ অর্থ হাত ছাড়া করার ফলে সৃষ্ট অসুবিধাজনিত ব্যয় এসব বাবদ বাড়তি কিছু অর্থ নীট সুদের সাথে যোগ হওয়ার পর মোট সুদ পাওয়া যায়। অন্যদিকে নীট সুদ হলো এসব আনুষঙ্গিক ব্যয় ব্যতিরেকে বিশুদ্ধ সুদ।
সময়, পরিস্থিতি ও স্থান ভেদে মোট সুদ ভিন্ন হতে পারে। কারণ আনুষঙ্গিক ব্যয় বিভিন্ন
প্রেক্ষিতে বিভিন্ন হয়। 
অন্যদিকে একটি দেশে সর্বত্র নীট সুদ একই থাকতে পারে।
মোট হলো সমাগ্রিক বিষয়।অন্যদিকে নীট সুদ মোট সুদের অংশ মাত্র।
মোট সুদের একটি অংশ হিসাবে নীট সুদ বিবেচিত হওয়ায় মোট সুদের তুলনায় নীট
সুদ কম হয়।

মোট সুদ (Gross interest)

নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গৃহীত ঋণের জন্য ঋণ গ্রহীতা ঋণ দাতাকে যে বাড়তি অর্থ প্রদান করে তাকে মোট সুদ বলে। মোট সুদের মধ্যে চারটি উপাদান থাকে :

ক. নীট বা বিশুদ্ধ সুদ
খ. ঝুঁকি বহনের বীমা
গ. ঋণ আদায় সংক্রান্ত অসুবিধার বিনিময় মূল্য
ঘ. ব্যবস্থাপনার পুরস্কার

নীট সুদ (Net Interest)

মোট সুদের একটি অংশ হলো নীট সুদ। ঋণ দাতার অপরাপর প্রত্যাশিত আনুষঙ্গিক প্রাপ্তি বিবেচনার বাইরে রেখে কেবল ঋণ হিসাবে গৃহীত আর্থিক মূলধন ব্যবহারের বিনিময়ে যে সুদ ঋণ গ্রহীতা ঋণ দাতাকে দেয়, তাকে নীট সুদ বলে। মূলধনের উৎপাদন ক্ষমতা আছে। সেই উৎপাদন ক্ষমতার জন্য মূলধন ব্যবহারকারী নীট মূল্য বা সুদ প্রদান করে।

মোট সুদ থেকে ঋণ দান সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক ব্যয়, যেমন − ঝুঁকি বহনের ব্যয় ও আদায় সংক্রান্ত অসুবিধার মূল্য − এসব বাদ দেওয়ার পর যে সুদ থাকে, তাকে নীট সুদ বলা হয়। যেমন − কোন ঋণ দাতা ১০ হাজার টাকা মোট সুদ হিসাবে পেলে সেই ১০ হাজার টাকাই নীট সুদ হিসাবে বিবেচ্য নয়। ধরা যাক, ঋণ দাতার আনুষঙ্গিক ব্যয় হলো ৪ হাজার টাকা। সেই ১০ হাজার টাকা থেকে আনুষঙ্গিক ব্যয় হিসাবে ৪ হাজার টাকা বাদ দিলে ৬ হাজার টাকা হবে নীট সুদ।

আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য মোট সুদ ও নীট সুদের মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব মোট সুদ ও নীট সুদের মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)

Leave a Comment