মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার মধ্যে পার্থক্য: পআসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার মধ্যে পার্থক্য কি?
মৌলিক গবেষণা | ফলিত গবেষণা |
---|---|
বিস্তৃত ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য তথ্য খোজা এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের বিদ্যমান কাঠামোর সাথে তা সংযোজন করা । অথাৎ জ্ঞানের সার্বিক অগ্রগতি সাধন করা । | পক্ষান্তরে ফলিত গবেষণা কোন বাস্তব সমস্যার কার্যকারী ও প্রায়েগিক সমাধান খুজে বের করা, অথাৎ ফলাফলের মাধ্যমে বিশেষ লক্ষ্য অর্জন করা। |
মৌলিক গবেষণা জ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের নিয়োজিত কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার উদ্যোগ পরিচালিত করা । | পক্ষান্তরে ফলিত গবেষণা সাধারণত বিশেষ উদ্দেশ্যে বা লক্ষ্য পুরণের জন্য কোন শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার উদ্যোগে পরিচালিত করা। |
মৌলিক গবেষণার ফলাফল সমাজ ও গবেষক কমিউনিটির অর্জন বলে বিবেচিত হয়। | পক্ষান্তরে ফলিত গবেষণা ফলাফল কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার অর্জন বলে বিবেচিত হয় । |
মৌলিক গবেষণার ফলাফল এবং সিদ্ধান্তগুলো তৈরি করে, কিন্তু সুপারিশ প্রদান করে না। | পক্ষান্তরে ফলিত গবেষণা কার্যকর করণের সুপারিশ প্রদান করে থাকে। |
মৌলিক গবেষণা সাধারণত কোন একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকে এবং গবেষকগণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের স্নাতক বা ডক্টরেট কাজের অংশ হিসাবে গবেষণা সম্পাদন করে থাকেন । | পক্ষান্তরে ফলিত গবেষণা একটি শিল্প, ব্যবসা বা সামাজিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সমস্যা সামাধানের উপায় অনুসন্ধানের জন্য সম্পাদন করা হয়। |
মৌলিক গবেষণা প্রতিবেদন প্রধানত একই ক্ষেত্রের অন্যান্য বিশেষজ্ঞ গবেষকগণের বোঝার উপযোগী হয় । | পক্ষান্তরে ফলিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রায় সবার পক্ষে পড়া এবং বোঝার উপযোগী হয় । |
ফলিত গবেষণা
বিশুদ্ধ গবেষণা ছাড়া আলাদা আলাদা গবেষণা, একটি নির্দিষ্ট এবং কার্যকরী সমস্যা সমাধানের জন্য পরিচালিত হয়। অতএব, এটি প্রকৃতি বর্ণনামূলক হতে থাকে। যাইহোক, প্রয়োগ গবেষণা প্রায়ই মৌলিক গবেষণা বা বিশুদ্ধ গবেষণা উপর ভিত্তি করে। যেহেতু এটি প্রক্রিয়াকরণগত সমস্যাগুলি সমাধান করার সাথে জড়িত তাই, এটি প্রায়ই অভিজ্ঞতাগত পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে।
ফলিত গবেষণা যেমন ঔষধ, প্রযুক্তি, শিক্ষা, বা কৃষি হিসাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে ব্যবহার করা হয়। জেনেটিক্স এবং ক্যান্সারের মধ্যে সম্পর্ক সম্পর্কে অধ্যয়নরত, বিভিন্ন হস্তক্ষেপের কার্যকারিতা সনাক্ত করতে শিশুদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োগযোগ্য গবেষণা গবেষণায় কিছু উদাহরণ। এই ধরনের গবেষণা সবসময় একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। উপরন্তু, প্রয়োগ গবেষণা ফলাফল সাধারণত বর্তমান ব্যবহারের জন্য উদ্দেশ্যে, ভবিষ্যতের জন্য নয় এটাও লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে মৌলিক গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কৃত তথ্য বা তত্ত্বগুলির উপর ভিত্তি করে প্রয়োগিত গবেষণায় গবেষণাগুলি সর্বদা থাকে।
মৌলিক গবেষণা
বিশুদ্ধ গবেষণা, যেটি মৌলিক বা মৌলিক গবেষণা নামেও পরিচিত, সেটি কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়াই পরিচালিত হয়। বিশুদ্ধ গবেষণা মূল উদ্দেশ্য জ্ঞান অগ্রসর হয় এবং ভেরিয়েবলের মধ্যে সম্পর্ক সনাক্ত বা ব্যাখ্যা করা।
এইভাবে, এটি বিশ্বের মৌলিক জ্ঞানকে অগ্রসর করে, এবং নতুন তত্ত্ব, ধারণা এবং প্রিন্সিপাল এবং নতুন চিন্তাভাবনা মতামত পেশ করে। বিশুদ্ধ গবেষণা বিশ্বের সবচেয়ে নতুন তথ্য এবং চিন্তাধারার উপায় উৎস। বিশুদ্ধ গবেষণা কৌতূহল, স্বজ্ঞা, এবং আগ্রহ দ্বারা চালিত হয়, এবং প্রয়োগ গবেষণা তুলনায় প্রকৃতির আরো অনুসন্ধানকারী। কখনও কখনও বিশুদ্ধ গবেষণা প্রয়োগ গবেষণা জন্য ভিত্তি হিসাবে কাজ করতে পারে।
আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব মৌলিক গবেষণা ও ফলিত গবেষণার মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)