গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য কি?

গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য কি?

গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য কি?

গণতন্ত্রএকনায়কতন্ত্র
গণতন্ত্রের মধ্যে, এটি জনগণের শাসন।একনায়কত্বের মধ্যে, একটি শাসক একটি দেশ বা একটি রাষ্ট্র উপর শাসন করার একটি পরম ক্ষমতা আছে।
গণতন্ত্রে সমাজের বিভিন্ন বিভাগে বিধি তৈরি করা হয় না। এটি একটি একনায়কতন্ত্রের সম্ভাবনা।
অন্যদিকে, গণতন্ত্রের মধ্যে, জনগণের সাথে আইন প্রণয়নের বিকল্প রয়েছে।একনায়কতন্ত্রে, নতুন আইনগুলি তৈরি করা হয় স্বৈরশাসকদের হাতে। 
স্বৈরশাসনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত দায়ভার উত্সর্গ করা হয় এটা গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে নয়। তারা কি চান তা বলতে জনগণের স্বাধীনতা আছে। এটি গণতন্ত্র ও একনায়কত্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য।
গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি ধীরে ধীরে হয়।একনায়কত্বের ক্ষেত্রে একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সময়টি মোটামুটি দ্রুতই হয়।
গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার সুরক্ষিত হয় কারণ অভিযুক্ত তার মামলা উপস্থাপন করার সমান সুযোগ পায়।এই সুযোগটি একটি একনায়কত্বে দেওয়া হয় না।

গণতন্ত্র

গণতন্ত্র শব্দটির অর্থ “জনগণের শাসন”, কোন রাষ্ট্রের অথবা কোন সংগঠনের এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের নীতিনির্ধারণ বা প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমান ভোট বা অধিকার আছে। যদিও গণতন্ত্র শব্দটি সাধারণভাবে একটি রাজনৈতিক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয় তবে অন্যান্য সংস্থা বা সংগঠনের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রমিক ইউনিয়ন, রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

বিখ্যাত গ্রীক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের ভাষায়, সাধারণভাবে আমরা বলতে পারি, যে ব্যবস্থায় প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়নি তা কুলীনতন্ত্র এবং যেখানে প্রত্যেকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে তা গণতন্ত্র। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬তম রাষ্ট্রপতি এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রথম রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিঙ্কন তার দুমিনিটকাল স্থায়ী ১৮৬৩ সালের ১৯ নভেম্বরে প্রদত্ত গেটিসবার্গ বক্তৃতায় বলেন, জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা পরিচালিত সরকার এবং জনগণের স্বার্থে পরিচালিত সরকার পৃথিবী থেকে মুছে যাবে না।

একনায়কতন্ত্র

একনায়কতন্ত্র হলো এমন শাসনব্যবস্থা, যাতে রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা একজন ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত থাকে। একনায়কতন্ত্রকে সামাজিকভাবে নিকৃষ্ট শাসনব্যবস্থা হিসেবে দেখা হয়। এই শাসন ব্যবস্থায় আইনসভার অস্তিত্ব নেই বলে শাসনকর্তা তার খেয়াল-খুশিমত দেশ পরিচালনা করেন। এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে দেখা যায়। এ শাসন ব্যবস্থা মূলত স্বেচ্ছাচারমূলক। একে স্বৈরাচারী শাসনও বলা হয়।

আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব গণতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)

Leave a Comment