নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল, তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান, কাষ্ঠ দগ্ধ হয়ে করে পরে অন্ন দান – ভাবসম্প্রসারণ

প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ “নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল, তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল। গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান, কাষ্ঠ দগ্ধ হয়ে করে পরে অন্ন দান ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।

নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল, তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান, কাষ্ঠ দগ্ধ হয়ে করে পরে অন্ন দান - ভাবসম্প্রসারণ

নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল, তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান, কাষ্ঠ দগ্ধ হয়ে করে পরে অন্ন দান ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব : মহৎ ও সাধু ব্যক্তিরা সবসময় নিজেকে অন্যর কল্যাণে নিয়োজিত থাকেন। এতে করে তারা পরিতৃপ্ত হন এবং আনন্দ পান। 

সম্প্রসারিত-ভাব : নদী তার জলধারা দিয়ে বৃক্ষলতা ও প্রাণিকুলের জীবনীশক্তি সঞ্চার করে তাদের বাঁচিয়ে রাখে। বৃক্ষরাজি আপন ফল ও ছায়া প্রদান করে তাপিত জীবন জগতের শ্রান্তি অপনোদন ও ক্ষুণ্নিবৃত্তি করে অপরের মঙ্গল সাধন করে। গাভী তার দুগ্ধ দিয়ে পরের জীবনীশক্তি প্রদান করে। কাষ্ঠখণ্ড নিজে পুড়ে অপরের রন্ধনকার্যে সহায়তা করে এবং মানুষের শীত নিবারণ করে। বাঁশি আপন সুর-লহরীর অপূর্ব মূর্ছনায় অপরের চিত্তকে বিমুগ্ধ ও মোহিত করে। এরা সকলেই পরহিতব্রতে নিজেদের উৎসর্গ করে। স্বার্থপরতার কথা এদের মনে কখনও স্থান পায় না। এ জগতে বহু মহৎ লোক আছেন যারা পরের মঙ্গলের জন্য নিজেদের বিলিয়ে দেন। তাদের একমাত্র চিন্তা, কি করলে অপরের দুঃখ তিরোহিত হয়ে তার মুখে হাসি ফুটবে, কিসে সমাজ-সংসারের কল্যাণ হবে। তারা নিজেদের সুখ শান্তির বিষয় কখনও চিন্তা করেন না এবং নিজের সর্বস্ব বিসর্জন দিয়ে পরের মঙ্গলের জন্য জীবনপাত করেন। পরের মঙ্গল সাধন করেই তারা সুখানুভব করে থাকেন। তাই তারা এ নশ্বর জগতে চিরস্মরণীয় ও বরণীয় এবং ‘মনের মন্দিরে নিত্য সেবে সর্বজন’। 

এ পার্থিব জগতের শত সুখ-সুবিধা ও ভোগ-বিলাস তুচ্ছ জ্ঞান করে পরহিত ব্রতে আত্মোৎসর্গ করে জীবন ধন্য ও বরণীয় করাই মহত্ত্বের পরিচয়।

আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।

Leave a Comment