বাসর রাতের গল্প | স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা – shami strir valobasha

আজকে আমরা দেখবো বাসর রাতের গল্প,স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা,shami strir valobasha। তো চলুন কথা না বাড়িযে কাজ শুরু করা যাক।

বাসর রাতের গল্প স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা shami strir valobasha

বাসর রাতের গল্প,স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা,shami strir valobasha
বাসর রাতের গল্প,স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা,shami strir valobasha

আপনি এসে গেছেন ? আমার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসেন না খুব ক্ষুদা লেগেছে। ১ ঘন্টা যাবত কিছু খাইনি.।

আমি হৃদয় বাসর ঘরে ঢুকে দেখলাম বউ না যেন আস্ত একটা হাতি বসে আছে । আজ আমার খাটে টার বুঝি দমবন্ধ হয়ে আসবে। সবাই বলেছিল একটু মোটা একটু মোটা বাট এখন মনে হচ্ছে 150 কেজি হবে। কত আশা করেছিলাম আমার বউ ক্যাটরিনার মতো হবে .হলো একটা হাতি।ভেবেছিলাম দেহটা এত বড় বুদ্ধিশুদ্ধি অন্ততপক্ষে কিছু হবে এদিকে বুদ্ধি সুদ্ধি নেই । এই রাতে বলে কিনা খিদা লাগছে ।এক ঘণ্টা না খেয়ে এমন করছে আমি তার কাছে গেলে মনে হয় আমাকে খেয়ে ফেলবে। বাবা তার বন্ধুত্ব রক্ষা করতে আমার জীবন টা বুঝি বলী দিল। ভয় লাগছে রাতে কোন ভাবে যদি আমার উপর উঠে তাহলে তো আমি ভর্তা হয়ে যাব।

হায় আল্লাহ আমায় রক্ষা করো তিন কেজি আশা মনে নিয়ে শুয়ে পরলাম। সে একটু নড়াচড়া করলে আমার আত্মা কেঁপে ওঠে, মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে খাটের মধ্যে অনেক কষ্টে ঘুমালাম মধ্যরাতে আমার উপর খুব ভারী কিছু অনুভব করলাম যা ভেবেছি তাই আমার উপর দিয়ে পা দিয়ে ঘুমাচ্ছে ।কত ডাকলাম কত খোচা দিলাম অবশেষে কাতুকুতু দিলাম তাও তার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখতে পেলাম না। রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে কিন্তু মোটা হলে কি হবে চেহারায় মায়া আছে। চেহারা টিও দারুণ আর নাম সুন্দরী নামের মত চেহারাটাও সুন্দর। আর গায়ের রং বয়লার মুরগির মত সাদা।

সকালে ঘুম থেকে উঠে অবাক হয়ে গেলাম, সে চায়ের ট্রে হাতে করে দাঁড়িয়ে আছে একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
— তুমি এভাবে দাঁড়িয়ে আছে যে ?
— আম্মু বলেছিল আপনাকে চা টা দিতে।
— দিতে বলেছে দিয়েই চলে যেতে ,নয়তো আমাকে ডাকতে?
— না মানে আপনি ঘুমিয়ে ছিলেন তাই।
— যদি আরো দুই ঘন্টা ঘুমাতাম তাও এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে ?
— হুম আম্মু বলেছে স্বামীই সব ।স্বামীর সেবা করা সোয়াবের কাজ।
— তাই বলে এভাবে বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকবে?
— আপনি বসেন আমি ব্রাশ নিয়ে আসি।
— বসে বসে ভাবছি মেয়ে যেমনই হোক ভদ্র আছে, বাট এত মোটা?

না, কি, সব ভাবছি আমার বউ থাকবে ,হাই হিল পরে হাঁটবে। এই মেয়ের প্রতি দুর্বল হলে চলবে না। বাবার সবকিছু আমার হোক তারপর এই মেয়েকে টাটা বাইবাই করে দেবো। সুন্দরী ব্রাশে পেস্ট ভরিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে আসছে, অমনি আমার ওপর ধড়াম করে পড়ল। { বাসর রাতের গল্প,স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা,shami strir valobasha }
— ও মা গো মরে গেলাম গো ,আমার হাড্ডিগুডি সব ভেঙ্গে গেলো গো এ কোন হাতি কে বিয়ে করেছি গো ,আমায় মেরে ফেলল গো।

মেয়েটা তাড়াতাড়ি আমার উপর থেকে উঠে পড়ল আর বলল।
— সরি সরি আসলে স্লিপ খেয়ে পড়ে গেছি । আপনার কি অনেক লেগেছে?
— এমন একটা হাতি গায়ে পড়ার পরেও লাগবে না? যাও চোখের সামনে থেকে
মেয়েটা চলে গেল ৷ কাল থেকে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম মেয়েটা আমার দিকে কখনো তাকায় না‌। কথা বললেও মাথাটা নিচু করে কথা বলে।

ভাবছি কত মেয়ের নজর কাড়লো আর এই মেয়ে তাকাই না যত্তসব। বাসা থেকে বের হতে না হতেই লোকেরা বলাবলি করছে, পোলা কত সুন্দর বউ কত মোটা। যারা কখনও কথাই বলত না তারা ও আজ গায়ে পড়ে প্রশ্ন করছে। কি ভাই ভাবি নাকি হাতি? ইচ্ছে হয়েছিল গলাটা ধরে নাকটা ফাটিয়ে দিতে। কিন্তু বাবার সম্মানের কথা ভেবে কিছু করলাম না । তাছাড়া মিথ্যা কিছু তো বলেনি‌। কড়া রোদে হাঁটাহাঁটি করে বাড়ী ফিরলাম তারওপর বাসায় গিয়ে দেখি বিদ্যুৎ নেই। মা বলে ডাকতেই হাত পাখা টা নিয়ে মেয়েটা হাজির ।হাত পাখা দিয়ে বাতাস করছে আর বলছে‌।

— জামাটা খুলে ফেলেন আমি বাতাস করি ।
— না খুলবোনা ।পাখাটা আমার হাতে দিয়ে মাকে গিয়ে এক গ্লাস পানি আনতে বল।
— কিছুক্ষণ পর পানির গ্লাস টা এনে আমার হাতে দিলো,
— পানিটা মুখে দিয়েই দেখি পানি না লেবুর শরবত অনেক ভালো লাগলো । কিন্তু তবুও বেশ চেঁচিয়ে বললাম। পানি চাইছি পানি, শরবত চাইনি ।আল্লাহর রস্তে আমার পিছু ছেড়ে দেন ,আমাকে আর জ্বালাইবেন না। রাগের মাথায় বেশ কিছু বলেই গ্লাস ছুড়ে মারলাম।

ও কোন কথাই বলল না কোন রকম প্রতিক্রিয়া না করেই হাত বাড়িয়ে দিয়ে ভাঙ্গা টুকরোগুলো তুলতে লাগলো। কেমন যেন চোখের জল দেখতে পেলাম মেয়েটা বড় অদ্ভুত কাঁদছে কিন্তু অন্য শব্দ হচ্ছে না। মেয়েটা বুঝি কাঁদতেও জানেনা ভাঙ্গা টুকরোগুলো তুলতে গিয়ে হাতটা বুঝি কাটলো। কিন্তু কেমন মেয়ে রে বাপ রক্ত দেখে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। গায়ের সাথে সাথে বোধহয় চামড়াটাও মোটা রক্ত দিয়ে নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।বাট কোন কথাই নেই । তাই নিজের রাগটা কমিয়ে প্রশ্ন করলাম।

— এইযে শুনছো বলি কি এগুলো তুলতে হবে না মা পরে তুলে নিবে। তুমি হাতে কিছু দাও। আমার কথা শুনছো না ? কথা বলছে না কেমন যেন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে । কি এমন করেছে ও তেমন তো কিছুই করেনি আমার ভালোর জন্যই তো শরবত বানিয়ে এনেছে। এমনটা করা ঠিক হলো না আমার। ড্রয়ার থেকে শেভলন টা এনে দিয়ে বললাম, বেশি রক্ত পড়ছে স্যাভলন টা লাগিয়ে হাতটা বেঁধে নাও। কিন্তু কোন প্রকার কথা বলছে না সবগুলো কাচের টুকরোগুলো তুলে চলে যাচ্ছে। এমন রাগ হচ্ছে, ইচ্ছে করছে একটা চড় দেই।

ভাঙ্গা টুকরোগুলো ট্রেতে রেখে, টেনে এনে খাটে বসলাম। অত বড় ওজনওয়ালা মানুষটাকে টেনে আনা যায়? আমি হাতে স্যাভলন দিয়ে দিচ্ছি আর ও আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এমন দৃষ্টিতে হাতে জোরে চেপে চেপে ধরায় কোন রকম প্রতিক্রিয়া করছে না। ওর চোখের দিকে তাকাতে পারিনা তাকালে কেমন যেন মায়ায় পড়ে যায় কেমন যেন ভালবাসতে ইচ্ছে করে।

কাপড় চোপড় চেঞ্জ করে গোসল করতে যাব .বাবার মত আমিও গোসলখানায় গোসল করি না। বাহিরে কল পারে গোসল করি ।আমি গোসল করছি ও তোআলিয়া আর লুঙ্গি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কেমন যেন লজ্জা করছে আজ ।একটু আগে কত অপমান করলাম সেই মেয়ে এখন সব ভুলে দাঁড়িয়ে আছে ঘোমটাটা বেশ লম্বা করেই টেনেছে বাবা আর মা দুজনেই দূর থেকে মুচকি মুচকি হাসছে। কেন যেন মেয়েটির প্রতি আকর্ষন বেড়ে যাচ্ছে। সরি বলতে ইচ্ছে করছে।

Also Read: বাসর রাতের রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

বাড়ির কাছে মেলা চলছে কতজনকে দেখলাম বউ নিয়ে ঘুরতে এসেছে। আসবেই তো, কত সুন্দর সুন্দর বউ আর আমারটা দেখো খেয়ে খেয়ে মোটা হয়েছে। মনটা বেশ খারাপ করে বাড়ি গেলাম সেখানে গিয়ে দেখি মেয়েটা সেজে আছে, কোথাও বেরোবে মনে হয়। তাই জিজ্ঞেস করলাম।
— কোথাও বেরোবে ?
— মেলায় যেতে চেয়েছিলাম।
— ও আচ্ছা যাও সাব ধানে যেও।
— কেন আপনি যাবেন না?
— না আমি মাত্র আসলাম
— তাহলে আমি যাব কার সাথে
— মায়ের সাথে যাও
— থাক লাগবে না।

গেলে যান না গেলে না যান ,ভাইবেন না যে এমন করেই বুঝি আপনাকে নিয়ে যাব। ইজ্জতের ও একটা ব্যাপার স্যাপার আছে। আপনাকে নিয়ে গেলে ইজ্জতের বারোটা বেজে যাবে । কথাগুলো বলতেই ও দ্রুতগতিতে সামনে থেকে চলে গেল।
বেশ ঢং জানে কি এমন বলেছি যে এমন রিয়াক্ট করল। একটু পর ঘরটা কেঁপে উঠল হাতিটা মনে হয় আবার পড়লো। দৌড়ে গিয়ে দেখি মাটিতে পড়ে আছে শরীর বেয়ে ঘাম ঝরছে অজ্ঞান হয়ে গেছে।কোন উপায় না দেখে কোলে তুলে নিলাম ।একে যতটা ওজন ভেবেছিলাম ততটা ওজন না কোনমতে খাটে শুইয়ে দিয়ে দৌড় দিলাম ডাক্তার আনতে। ডাক্তার ম্যাডাম এসে প্রেশার মেপে বলল

— ওকি ডায়েট কন্ট্রোল করে?
— আমি বললাম না মানে বলতে পারবোনা
— কেমন স্বামী স্ত্রী ডায়েট করে আপনি জানেন না। শুনুন ওনার প্রেশার অনেক কম অনেক দুর্বল ওনাকে একটু দেখে রাখবেন ডায়েট কন্ট্রোল করতে গিয়ে বউ হারাবেন না। ওষুধ লিখে দিচ্ছি খাইয়ে দেবেন।

ডাক্তারের কথাশুনে কি করব বুঝতে পারছি না । আস্তে আস্তে সুন্দরী কে ডাকলাম।
সুন্দরী এই সুন্দরী
সুন্দরী চোখ খুলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। মেয়েরা কাঁদলে এত সুন্দর লাগে এই প্রথম দেখলাম। ওরে কান্নাটা বুকের ভেতর লাগছে দুই দিনে কেমন যেন ভালোবেসে ফেলেছি ।
,সুন্দরী আমার দিকে তাকাও একটু তাকাও । সরি, সরি বলছি তো ।
— সরি বলছেন কেন? আমার কিছু হয়নি‌।
— তাই? তা তোমাকে ডায়েট কন্ট্রোল করতে কে বলেছে?
— আপনি তো পাতলা মেয়ে পছন্দ করেন।
— তাই বলে এভাবে না খেয়ে থাকবে ?
— দুইদিন ধরে শুধু পানি খেয়ে আছি
— আর এমন করবা না কেমন
— না আমি চিকন হব । আমি চিকন হবোই হবো।
— আচ্ছা, কিন্তু এভাবে না খেলে চিকন হয় কে বলেছে। খেতে হবে কিন্তু হাঁটতে হবে পরিশ্রম করতে হবে
— তাহলে চিকন হবো ?
— হ্যাঁ
— তাহলে ভাত নিয়ে আসেন আমাকে খাইয়ে দিবেন।

এ মেয়ের দেখি কিছুই মনে নেই ঘন্টাখানেক আগে কাকে এত কিছু বললাম ।কৌতুহলবশত ওকে প্রশ্ন করলাম।
— আচ্ছা আমি যে তোমায় এত এত বকা দেই এত বাজে কথা বলি তোমার কষ্ট লাগে না?
— লাগে তো অনেক কষ্ট লাগে।
— তাহলে রাগ করো না বা কোনরকম কিছু করো না কেন ?
— আমি জানি আপনি আমাকে পছন্দ করেন না, আমাকে তাড়িয়ে দিতে চান ।কিন্তু বিশ্বাস করেন আমি আপনাকে ছেড়ে যেতে চাই না। আপনি যেন আমাকে ছেড়ে যেতে না পারেন তাড়িয়ে দিতে না পারেন তাই রাগ করি না। আপনি চিকন মেয়ে পছন্দ করেন দেখবেন আমি চিকন হবো। আপনার জন্য আমি সব পারবো।

— ওর কথার কি জবাব দিব ভেবে পেলাম না। অনেক মেয়ের সাথে রিলেশন করেছি কেউ কখনো এভাবে বলেনি‌। আর কষ্ট দিবো না ওকে। যে যাই বলুক ও আমার স্ত্রী । আমার স্ত্রী মোটা হোক নাকি চিকন তা আমার ব্যাপার।
— আচ্ছা আমি ভাত নিয়ে আসি,বলে ভাত আনতে গেলাম । অনেকগুলো ভাত নিয়ে এসে ওকে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছি। ও হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে কেমন যেন আনইজি লাগছে। খাইয়ে দিতে দিতে ঘড়ির কাটার দিকে তাকিয়ে দেখি বেশ রাত হয়ে গেছে তাই ওকে ওষুধ গুলো খাইয়ে দুজনে শুতে এলাম ।

আজ কেমন যেন দুজনের চোখাচোখি হচ্ছে আমিও এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ওর দিকে।
হঠাৎ সুন্দরী বলে উঠলো — এই কিছু বলবেন ?
— নাতো, কেন ? { বাসর রাতের গল্প,স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা,shami strir valobasha }
— না আপনার চোখ যেন কিছু বলতে চাই।
— ও কিভাবে বুঝল আমি ওকে কিছু বলতে চাই । তবে কি আমার চোখের ভাষা ও বুঝে?
যদি আমার চোখে তাকিয়ে আমার মনের কথা বুঝতে পারে তবে এই আমার আসল আপন জন। আমি কি সুন্দরী কে প্রশ্ন করলাম।
— তুমি বুঝলে কি করে আমি কিছু বলতে চাই?
— ওই যে বললাম আপনার চোখ বলছে।
— কি বলতে চাই এটা জানো?
— জানি কিন্তু বলবনা।
— কেন
— বারে আপনার বলতে লজ্জা করে,আমার করে না।
— আচ্ছা লজ্জার কিছু নেই বল।
— আপনি আমাকে
— কি আমি তোমাকে
— আপনি আমাকে ভালোবাসেন
— বলতে বলতে হাত দিয়ে মুখ লুকিয়ে ফেলল ন্যাকামো আর সহ্য হলো না। তাই বেশ কড়া গলায় বললাম‌। ওয়েট ওয়েট আপনাকে ভালোবাসি না মানবতার খাতিরে আপনার সাথে এমন করছি।
আর তাছাড়া আমাদের বাড়িতেই আছেন কিছু হয়ে গেলে আমাদেরই জবাব দিতে হবে ।
আপনাকে দেখে কোন ছেলের ই রোমান্টিকতা জাগবে না, এটা জানেন ?

কথাগুলো শুনেই বাচ্চাদের মত ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে । সেদিন রাতেও কেঁদেছে কেমন যেন নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল। সারা রাতে ঘুম হয়নি সকালের দিকে চোখটা বুঝি বুঝি করতেই দেখি চা নিয়ে হাজির। আজও সব ভুলে গেছে চা টা দিয়ে কাপড় গুছাতে লাগল । মনের ভেতর কামর দিয়ে উঠলো। কাপর গোছাচ্ছে কেন? ও কী চলে যাবে ? যাবেই বা না কেন অপমান তো আর কম করলাম না। তাই ওকে জিজ্ঞেস করলাম।

— কি করছো
— দেখতেই তো পাচ্ছেন কি করছি কাপড় গোছাচ্ছি
— তা দেখতে পাচ্ছি,কিন্তু কেন?
— বাবার বাসায় যাব।
— বাবার বাসায় যাব মানে?
— বাবার বাসায় যাব মানে বাবার বাসায় যাব।
— কোথায় কোথাও যাওয়া হবে না কোথাও যেতে পারবেন না
— কেন যাওয়া হবে না
— আমি বারণ করেছি তাই
— আপনি বারণ করলে আমি শুনবো কেন?
— স্বামীর সংজ্ঞা জানেন তো ? স্বামীর কর্তব্য জানেন তো ?

ওর কথাগুলো বলা ঠিক আছে স্বামী হিসেবে কি করেছি ।তিনটা দিন হল ওকে ছুঁয়ে দেখিনি, কখনো আঘাত ছাড়া কিছুই দেইনি। কিন্তু বুঝতেসিনা ও চলে যাবে বলে আমি কতটা কষ্ট পাচ্ছি ।বুকের ভিতরে কেমন করছে এমন সব কাজ করে ফেলেছি ওকে সত্যিটা বললে বিশ্বাস করবে না। সে যাই হোক ওকে থামাতে হবেই।
— সুন্দরী ও সুন্দরী শোনো
— জি বলেন
— তুমি যদি চলে যাও তবে সকালবেলা আমাকে কে চা এনে দেবে, আমি গোসলের সময় গামছা নিয়ে কে দাঁড়িয়ে থাকবে বল ?
— কেন আর একটা বিয়ে করে নেবেন।
— আমি আর একটা বিয়ে করলে তুমি কষ্ট পাবে না ?
— কেন পাব আমাকে তো আপনি,,,
— কি বল
— কিছু না একটা রিকশা ডেকে দিবেন দয়া করে ?
— আমি পারবো না আর কোথাও যাওয়া হচ্ছে না তোমার।
বলেই ওর হাতটা ধরে টান দিতেই আমার বুকের সাথে এসে ধাক্কা খেলো । চোখের দিকে তাকিয়েই বলতে লাগলাম
— কোথায় যাবে?
— বাবার বাসায়
— আবার বল?
— বাবার বাসায়
— আর একবার বললে কিন্তু।
— হিহিহি বাবার বাসায় বেড়াতে যাবো তুমিও যাবে। ইয়ে মানে আপনিও
— এর জন্যই কাপড় গোছানো হচ্ছে।
— হুম আপনি কি ভাবছেন আপনাকে রেখে চলে যাব?

— ওরে দুষ্টু তবে এই মতলব?
— আর আমি বুঝে গেছি আমাকে আপনি।
— কি আমি তোমাকে ?
— না,,,, বললে আবার বকবেন
— আচ্ছা আর বকবো না বল
— প্ৰমিস ?
— আচ্ছা বাবা প্রমিস
— আপনি আমাকে ভালোবাসেন আর আপনি আমি আপনাকে ভালোবাসি।
— হুম সত্যি আমি তোমাকে ভালোবাসি
— হুম বুঝলাম চলেন আপনার শালিরা আজকে আবার বাসর ঘর সাজাবে ।

মনে মনে খুশি হলাম ভাবলাম যাক প্রথম রাতের কাজ আজকে সেরে ফেলব । ওর ওপরে উঠলে বেশ মজা পাবো নরম তুলতুলে ইস ভাবতেই কেমন যেন লাগছে ।শশুর বাড়ি গিয়ে দেখি শালিরা সত্যিই বাসরঘর সাজিয়েছে। ঘরে ঢুকতেই দেখি প্রথম রাতের মতো আজও ও খাটের উপর বসে আছে। ওকে ধরে কাছে টেনে নিলাম আজ এই মুটকিকে এমন রসমালাই দিব যে একদম একদম স্লিম হয়ে যাবে।

বাসর রাতের গল্প,shami strir valobasha,স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা

See More

Leave a Comment