সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর কাজ কি? | সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম কি? | সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর দাম কত? | সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি? | সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর উপকারিতা কি?

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০: আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আপনি হয়তবা অসুস্থ, তাই বিভিন্ন ঔষধ এর ব্যাপারে খোজাখুজি করছেন। আপনি বিভিন্ন প্রয়োজনে গুগলে সার্চ করছেন। তার মধ্যে একটি হলো মেডিসিন বিষয়ক সার্চ। এই মেডিসিন এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর কাজ কি,সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ কিসের ঔষধ, সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম,সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর দাম,সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর উপকারিতা,সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সবার এই বিষয়ে খুব স্বচ্চ ধারণা থাকা উচিত। তো চলুন দেখা পড়ে নেওয়া যাক।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর কাজ কি?

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর কাজ কি?

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ট্যাবলেট মূত্রনালীর সংক্রমণ , শ্বাসতন্ত্রের নিম্ন ভাগের সংক্রমণ , চর্ম ও নরম কলার সংক্রমণ , অস্থি ও অস্থি সন্ধির সংক্রমণ , পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ , গনোরিয়া , চিকিৎসায় ব্যবহার্য ।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর দাম কত?

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ট্যাবলেট প্রতি পিসের দামঃ ৪.৭৫ টাকা। এই দাম একটু কম বেশি হতে পারে।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম কি?

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ট্যাবলেট প্রচলিত সেবন মাত্রা : সংক্রমণের ধরন , তীব্রতা , রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর সংবেদনশীলতা এবং রোগীর বয়স , ওজন ও বৃক্কীয় কার্যকারিতার উপর নির্ভর করেই সাধারণত সিপ্রোফ্লক্সাসিনের সেবন মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ।

প্রাপ্ত বয়স্ক : এসব রোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণ সেবন মাত্রা ১০০-৭৫০ মি.গ্রা . দৈনিক ২ বার । উর্দ্ধ ও নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ : উর্দ্ধ ও নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে তীব্রতা অনুযায়ী ২৫০-৭৫০ মি.গ্রা . দৈনিক ২ বার । স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমনের চিকিৎসায় ৭৫০ মি.গ্রা . দৈনিক ২ বার করে দেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয় । গনোরিয়া : ২৫০ বা ৫০০ মি.গ্রা . এর একটি এককমাত্রা দেওয়া হয় । অন্যান্য অধিকাংশ সংক্রমণে ৫০০-৭৫০ মি.গ্রা . দৈনিক ২ বার সেব্য ।

সিসটিক ফাইব্রোসিস : নিম্ন শ্বাসনালীর সিডোমোনাস জনিত সংক্রমণে সাধারণ মাত্রা ৭৫০ মি.গ্রা . দৈনিক ২ বার । যেহেতু সিসটিক ফাইব্রোসিসে রোগীদের ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিনের ফার্মাকোকাইনেটিক্স অপরিবর্তিত থাকে সেহেতু সেবন মাত্রা নির্ধারণ করার আগে এসব রোগীদের স্বল্প দৈহিক ওজনের কথা বিবেচনা করা উচিত ।

অপ্রতুল বৃক্কীয় কার্যকারিতার ক্ষেত্রে : তীব্র বৃক্কীয় অপ্রতুলতা ব্যতীত ( যখন সেরাম ক্রিয়েটিনিন > ২৬৫ মাইক্রোমোল / লিটার অথবা ক্রিয়েটিনিনের ক্লিয়ারান্স & lt ; ২০ মি.লি. / মিনিট ) মাত্রা পুন : নির্ধারণের তেমন প্রয়োজন হয় না । যদি মাত্রা নির্ধারণের প্রয়োজন হয় তা দৈনিক মোট মাত্রা অর্ধেক করার মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে যদিও ওষুধের সেরাম লেভেল পর্যবেক্ষণ করাই মাত্রা নির্ধারণের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় ।

বয়ো : বৃদ্ধি : যদিও এসব রোগীদের সেরামে সিপ্রোফ্লক্সাসিন অধিকতর পরিমাণে উপস্থিত থাকে তথাপি মাত্রা নির্ধারণের কোন প্রয়োজন হয় না ।

শিশু ও কিশোর : এই শ্রেনীর অন্যান্য ওষুধের মত সিপ্রোফ্লক্সাসিনও অপরিণত জীবের ক্ষেত্রে ভারবহনকারী অস্থিসন্ধিতে অর্থোপ্যাথি সৃষ্টি করতে পারে । যদিও মানুষের ক্ষেত্রে এর প্রাসঙ্গিকতা জানা নাই তা স্বত্ত্বেও শিশু , বাড়ন্ত শিশু ও কিশোরদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সুপারিশযোগ্য নয় । যদি সিপ্রোফ্লক্সাসিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উপরোক্ত সম্ভাব্য ঝুঁকির তুলনায় বেশী গুরুত্ববাহী হয় তবেই এ ধরনের রোগীদেরকে এ ওষুধ দেয়া যেতে পারে এক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ৭.৫-১৫ মি.গ্রা . / কেজি / দিন ২ টি বিভক্ত মাত্রায় দেয়া যেতে পারে ।

চিকিৎসা মেয়াদকাল : চিকিৎসার স্থায়িত্বকাল সংক্রমন জনিত রেসপন্স এবং ব্যাকটেরিওলজিক্যাল পরীক্ষালব্ধ ফলের উপর নির্ভর করে । মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণের ক্ষেত্রে সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্বারা চিকিৎসার মেয়াদকাল সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিন । সংক্রমণের চিহ্ন বা লক্ষণ দূর হবার পর আরও ৩ দিন পর্যন্ত সিপ্রোফ্লক্সাসিন দ্বারা চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত ।

বিভিন্ন কারনে ওষুধের মাত্রার তারতম্য হতে পারে । ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক সেভাবে ওষুধ গ্রহন করুন । আপনার প্রেসক্রিপশনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন ।।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর উপকারিতা কি?

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর এই বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। এই বিষয়ে পরে জানানো হবে।

সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি?

সকল ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে . যাইহোক , অনেক মানুষের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না বা কেবল ছোটখাট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে । আপনার ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন যদি এইসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় । এ ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমনঃ বমি বমি ভাব , অন্যান্য পরিপাকতন্ত্রীয় অসুবিধা , মাথা ব্যথা , মাথা ঝিম্ ঝিম্ ভাব , গায়ে ফুসকুড়ি , কৃষ্টাল ইউরিয়া ইত্যাদি ।

আশা করি আপনাদের এই বিষয়টি ‘সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর কাজ কি,সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম,সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর দাম,সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর উপকারিতা,সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া’ ভালো লেগেছে। যদি সিপ্রোফ্লক্সাসিন ৫০০ এর বিষয়ে আরো কিছু জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমাদের ফেইসবুক পেইজ এ মেসেজ করুন। আমাদের ফেইসবুক পেইজর লিংক। যদি ভালো লেগে তাহলে অন্য পোস্ট পড়তে ভুলবেন না।

নোট: এই সব তথ্য ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহিত। তাই কোনো তথ্য ভুল বলে প্রমাণিত হলে এই ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

সাবধান

অ্যান্টিবায়োটিক সতর্কতা শুধুমাত্র বি , এম , ডি , সি রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশান মোতাবেক এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন , ব্যাবহার অথবা বিক্রি করতে হবে । রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশান মোতাবেক এন্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করতে হবে এবং নির্দেশিত মাত্রার ওষুধ , নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত সেবন করতে হবে ।

Leave a Comment