আমাদের সবার ইতিহাস জানা দরকার। তার মধ্যে “রম্যরচনা কোন্ কোন্ গুণে রমণীয় হয়ে ওঠে? রম্যরচনা আর লঘুরচনা কি এক জাতের? বাংলা সাহিত্যের একজন সফল রম্য রচনাকার সম্পর্কে আলোকপাত করো” এই বিষয়টি অবশ্যই জানতে হবে। এটি জানলে আপনার ইতিহাস সম্বন্ধে আরো ধারণা বেড়ে যাবে। আসেন যেনে নেয়।
রম্যরচনা কোন্ কোন্ গুণে রমণীয় হয়ে ওঠে? রম্যরচনা আর লঘুরচনা কি এক জাতের? বাংলা সাহিত্যের একজন সফল রম্য রচনাকার সম্পর্কে আলোকপাত করো
(i) হালকা বৈঠকি চালে, ঘরোয়া মেজাজে লঘু হাস্যরসাত্মক, রম্য কল্পনার স্পর্শযুক্ত গুণে রম্যরচনা রমণীয় হয়ে ওঠে।
(ii) রম্যরচনায় ভার বর্জনের প্রয়াস যেমন থাকবে ভাষা ও আঙ্গিকে, তেমনি থাকে বিষয়েও।
(iii) লেখক ও পাঠকের নিবিড় সান্নিধ্য ও লঘু সরস আড্ডাই হয় রম্যরচনার প্রাণ।
(iv) দরকারি বিষয়ের গম্ভীর আলোচনা বিশ্লেষণের পরিবর্তে মজাদার আলাপচারিতাই রম্যরচনায় প্রকাশিত হয়।
(v) রম্যরচনার যদি মজলিসি মেজাজ থাকে তা হলে রম্যরচনা রমণীয় হয়ে উঠতে পারে।
সৈয়দ মুজতবা আলি বাংলা সাহিত্যে একজন সফল রম্যরচনাকার। তাঁর চাচা কাহিনী’ রম্যরচনার অন্যতম নিদর্শন। চাচা কাহিনীতে মোট এগারোখানি গল্প আছে। প্রথম পাঁচটি গল্প আড্ডার পটভূমিতে রচিত এবং শেষ দুটি গল্প বিশুদ্ধ রম্যরচনা রূপে পরিগণিত। এ গ্রন্থে আড্ডার প্রেক্ষাপটটি হল জার্মানির হিন্দুস্থান হাউস। মুজতবা আলির রচনার একটা বিশেষ গুণ হল এর রম্যধর্মিতা, গুরু-গম্ভীর সমস্যা মুজতবা তাঁর কৌতুকী ও রসসিক্ত দৃষ্টিভঙ্গিতে হালকা কিংবা লঘু সুরে পরিবেশিত করতে পারেন। তাঁর কৌতুককর হালকা ভঙ্গি, কথায় কথায় গল্প বলার প্রবণতা অভিজ্ঞতা উপমা দেওয়ার দক্ষতা অনবদ্য। তাঁর পাণ্ডিত্য, দার্শনিক, ভাষা তাত্ত্বিক চিন্তা-ভাবনা প্রভৃতি গুণেই তিনি এক সফল রম্যরচনাকার হয়ে উঠতে পেরেছেন। মূলত রম্যরচনা লেখবার জন্য দরকারি সব গুণগুলি তাঁর মধ্যে বর্তমান ছিল।
আশা করি আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যদি বুঝতে পারেন তাহলে আমাদের অন্যান্য পোস্ট ভিজিট করতে ভুলবেন না।