আমাদের প্রিয় নবীর প্রিয় খাদ্যগুলোর মধ্যে খেজুর একটি অন্যতম খাদ্য। পৃথিবীর প্রায় সব মানুষই এই ফলটি পছন্দ করে থাকে। খুদা নিবারণ এর জন্য এটি একটি অন্যতম ফল।
আমরা মধ্যে অনেকেই কমবেশি খেজুর খেয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই এই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতার বিষয়ে কোনো ধারণা নেই। তাই আজকে আমরা আপনাদের জানাবো খেজুরের বিশেষ কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা। তো চলুন জেনে নেই।
খেজুরের উপকারিতা
১.হার্টবিট নরমাল রাখতে সহায়তা করে
হার্টবিট নরমাল রাখতে সহায়তা করে। খেজুরে যে সকল খনিজ পদার্থ রয়েছে সেগুলো হার্টবিট নরমাল রাখতে সহায়তা করে। তাই হার্টবিট নরমাল রাখার জন্য আপনি নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।
২.চোখ সুস্থ রাখতে সহায়তা করে
চোখ সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। খেজুরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের পাশাপাশি লিউটেন ও জিক্সাথিন নামক বিশেষ এক ধরনের ভিটামিন থাকে যা চোখের রেটিনা ভালো রাখতে সহায়তা করে।তাই যারা নিয়মিত খেজুর খায় তাদের চোখে দীর্ঘদিন ভালো থাকে। খেজুরের উপকারিতা ইসলাম ও বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত।
৩.উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এই ফল শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহযোগিতা করে।তাই যারা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। পরিপক্ক একটি খেজুরের ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
৪.শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়
শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। খেজুর শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বেড়ে যায়।
৫.শরীরের ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে
শরীরের ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই নিয়মিত খাবার টেবিলে আপনি ডায়েট হিসেবে অবশ্যই খেজুর রাখতে পারেন।
৬.রক্তস্বল্পতা পূরণের সহায়তা করে
রক্তস্বল্পতা পূরণের সহায়তা করে। যাদের শরীরে রক্ত স্বল্পতা রয়েছে, তারা নিয়মিত খেজুর খেলে তাদের রক্তস্বল্পতা নিরসনে খেজুর সহায়তা করতে পারে। কেননা একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন এর প্রয়োজন হয় তার প্রায় ১১ ভাগ আয়রন খেজুর পূরণ করতে সক্ষম।
৭.ডায়াবেটিসে রোগিদের জন্য অন্যতম বিকল্প খাদ্য
চিনির বিকল্প । যারা ডায়াবেটিসে রোগে আক্রান্ত, তারা চিনির বিকল্প হিসেবে খেজুরের রসের গুড় খেতে পারেন। এতে কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। তাই খেজুর চিনির বিকল্প হিসেবে অবশ্যই ব্যবহৃত হতে পারে।
৮.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে। যারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগছেন তারা খুব সহজেই এই রোগ দূর করতে পারবেন, নিয়মিত খেজুর ভেজানো পানি খেয়ে। অর্থাৎ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তারা রাত্রে খেজুর ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই ভেজানো পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।
Also Read: মধুর উপকারিতা
খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
রাতে খেজুর ভিজিয়ে রেখে, ভোরে উঠে সেই খেজুর খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। কারো যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাহলে সে এই ভেজা খেজুর খেতে পারে। এতে তার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। তার পাশাপাশি কেউ যদি খেজুর ভিজিয়ে খায় তাহলে তার সারা দিন চনমনে ভাব থাকবে।
খেজুরের অপকারিতা
আসলে খেজুরের অপকারিতা বলতে কিছু নেই, তবে কোনো জিনিসই বাড়াবাড়ি ভালো না। আমরা যদি অতিরিক্ত খেজুর খেয়ে ফেলি তাহলে আমাদের শরীরের জন্য সেটি বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই আমাদের উচিত দিনে পরিমাণ মতো খেজুর খাওয়া।