মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য কি?
মহাকর্ষ | অভিকর্ষ |
---|---|
মহাকর্ষ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা দ্বারা সকল শারীরিক সংস্থা একে অপরকে আকর্ষণ করে। | অন্যদিকে পৃথিবী এবং অন্য একটি বস্তুকণার মধ্যকার আকর্ষন বলকে অভিকর্ষ বল হয়ে থাকে। |
মহাকর্ষ শারীরিক বস্তুসমূহে ওজন প্রদান করে এবং পতিত হবার সময় সোজা ভূমিতে পড়ার যুক্তি সৃষ্টি করে। | অন্যদিকে কোনো বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণই অভিকর্ষ। |
সব মহাকর্ষ বল অভিকর্ষ নয়। | অন্যদিকে অভিকর্ষ বল এক প্রকার মহাকর্ষ। |
অভিকর্ষজ ত্বরণ ভরের উপর নির্ভর করে না। | অন্যদিকে মহাকর্ষীয় বলের মান ভর ও দূরত্বের উপর নির্ভর করে। |
অভিকর্ষ হলো বস্তুর ওপর নিম্নমুখী বল। | অন্যদিকে মহাকর্ষ হলো উর্দ্ধমুখি বল। |
অভিকর্ষ হল পৃথিবীর সাথে অন্য কোন বস্তুর আকর্ষণ। | অন্যদিকে মহাকর্ষ হল মহাবিশ্বের যেকোন দুটি বস্তুর মধ্যে পারস্পারিক আকর্ষণ। |
মহাকর্ষ
বিজ্ঞানী নিউটন সর্বপ্রথম মহাকর্ষ বলের গাণিতিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এটি নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র নামে পরিচিত। আধুনিক পদার্থবিদ্যায় মহাকর্ষ সবচেয়ে সঠিকভাবে আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব দ্বারা বর্ণনা করা হয় আইনস্টাইনের মতে স্থান-কালের বক্রতার কারণেই মহাকর্ষ বল সৃষ্টি হয়। এই মধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকার কারণেই মানুষ পৃথিবীর উপর চলাফেরা করতে পারছে, বৃষ্টির পানি নিচে মাটিতে আসে, গাছের ফল জমিনে পড়ে, বাতাস পৃথিবীর সঙ্গে লেগে থাকে। শুধু তাই নয় পৃথিবী হতে কোন বস্ত্তর দুরত্ব যতই বাড়তে থাকে ততই তার ওজন কমতে থাকে। আর যদি মধ্যাকর্ষণ শক্তির ব্যবস্থা মহান স্রষ্টা না করতেন তবে পৃথিবীর সব কিছু মহাশূন্যে হারিয়ে যেত, তা আর পাওয়া যেত না।
অভিকর্ষ
ভু-পৃষ্ঠের ওপরে থাকা বা পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা কোন বস্তুকে পৃথিবী নিজের দিকে আকর্ষণ করে। পৃথিবীর এই আকর্ষণ বলকে অভিকর্ষ বলে। একটি উদাহরণ – ধরি আমি একটি বলকে উপরে ছুঁড়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পর বলের ঊর্ধ্বমুখী গতি কমে ধীরে ধীরে আবার সে পৃথিবীতে এসে পড়ে। কারণ পৃথিবী ওই বলটিকে তার নিজস্ব বল দিয়ে আকর্ষণ করে। তাই বলটি আবার পৃথিবীতে এসে আছড়ে পড়ে। বলটির উপর পৃথিবী যে বল প্রয়োগ করে সেই বলকেই অভিকর্ষ বল বলে। এই অভিকর্ষ বলের ধারণা দেন বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন। তিনি একদিন তার বাগানে আপেল গাছের একটু দূরে বসে ছিলেন। হঠাৎ দেখলেন একটি আপেল গাছ থেকে মাটিতে পড়ে গেল। তার মনে প্রশ্ন উদয় হল আপেলটি উপরে না গিয়ে পৃথিবীতে কেন এসে পড়ল। তিনি গবেষণার মধ্য দিয়ে আবিষ্কার করলেন আপেলটি নিচে পড়ার একমাত্র কারণ হল অভিকর্ষ বল।
আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)