প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ “জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।
জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব : মানুষের জীবনে অভিজ্ঞতা মূল্যবান। জীবন থেকে নেওয়া তার বাস্তব অভিজ্ঞতা ভবিষ্যৎ জীবনের পাথেয়। মানুষ তার দীর্ঘ জীবনে নানা অভিজ্ঞতা অর্জন করে। কোন অভিজ্ঞতাই ফেলনা নয়। এ অভিজ্ঞতাগুলো কোনটি সুখের, কোনটি দুঃখের, কোনটি বিব্রতকর কিন্তু এগুলোর কোনটিই মূল্যহীন নয়।
সম্প্রসারিত-ভাব : মানুষের এ অভিজ্ঞতাসমূহ তার পরবর্তী পথকে সঠিকভাবে নির্দেশ করে। যে অভিজ্ঞতা সুখের সেটাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ সুখী হতে পারে আর দুঃখের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সে তার পরবর্তী জীবনের লক্ষ্যঅর্জনের জন্য সঠিক পথ অনুসরণ করতে পারে। যতই অকিঞ্চিৎকর হোক না কেন জীবনে কোন কিছুই মূল্যহীন নয়। প্রয়োজনের সময়ে দেখা যায় এসব অকিঞ্চিৎকর অভিজ্ঞতা বা ক্ষুদ্র জিনিসগুলো বড় বড় সমস্যার সমাধান করছে। সমাজজীবন থেকে বা সংসার জীবন থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতাই মানুষের পুঞ্জিভূত ধন। মানব সভ্যতার ঊষাকালে ছোট ছোট অভিজ্ঞতাসমূহ সভ্যতা নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মানুষ অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছিল যে বনে দাবানলের সময় হিংস্র প্রাণীরা বন ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ তুচ্ছ অভিজ্ঞতা তাদের শিখিয়েছিল আত্মরক্ষায় আগুনের ব্যবহার। সুতরাং, জীবনে মানুষ যে বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে যায়, তার কোন কিছুই ফেলনা নয়। এসব অভিজ্ঞতালব্ধ ধন তার ভবিষ্যৎ চলার পথকে মসৃণ ও আনন্দময় করতে পারে। তাকে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছে দিতে, সাফল্যের চূড়ায় আরোহণে সহায়তা করতে পারে বাস্তব অভিজ্ঞতা। মানুষের জীবন ক্ষুদ্র হলেও এখানে ঘটে অনেক ঘটনা, যে অভিজ্ঞতা মানুষ আজকে পেল তা আগামী দিনে তাকে দিতে পারে সঠিক পথের সন্ধান। স্বদেশ প্রীতি কিন্তু তার জন্য জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা আবশ্যক।
আরো পড়ুন: জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ
আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।