দামের স্থিতিস্থাপকতা এবং চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতার মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় দামের স্থিতিস্থাপকতা এবং চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতার মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক দামের স্থিতিস্থাপকতা এবং চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতার মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
দামের স্থিতিস্থাপকতা এবং চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতার মধ্যে পার্থক্য কি?
দামের স্থিতিস্থাপকতা | চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতা |
---|---|
দামের স্থিতিস্থাপকতা পণ্যটির দামের বিপরীতে দাবির পরিমাণের পরিবর্তনকে পরিমাপ করে। | অন্যদিকে চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতা : চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতা ভোক্তার আয়ের স্তরের তুলনায় দাবি করা পরিমাণে পরিবর্তন পরিমাপ করে। |
দাবি করা দাম এবং পরিমাণের মধ্যে সাধারণ সম্পর্ক বিরূপ, যদিও কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। | অন্যদিকে চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতা: দাম এবং পরিমাণের মধ্যে দাবি করা সাধারণ সম্পর্ক ইতিবাচক, যদিও এর কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। |
চাহিদা গণনার দাম স্থিতিস্থাপকের সহগের উপর ভিত্তি করে; পণ্যগুলিকে স্থিতিস্থাপক, অস্বচ্ছল এবং একক ইলাস্টিক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। | অন্যদিকে চাহিদা গণনার দাম স্থিতিস্থাপকের সহগের উপর ভিত্তি করে পণ্যগুলিকে নিকৃষ্ট, বিলাসিতা, সাধারণ, প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে |
EP = দ্রব্যের চাহিদার শতকরা বা আপেক্ষিক পরিবর্তন / দামের শতকরা বা আপেক্ষিক পরিবর্তন | অন্যদিকে EY = চাহিদার শতকরা পরিবর্তন / আয়ের শতকরা পরিবর্তন |
চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা (Price elasticity of demand):
চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা ও চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা মূলত: একই ধারণা। চাহিদা বিধি অনুযায়ী দ্রব্যের দামের পরিবর্তন হলে দ্রব্যের চাহিদার পরিবর্তন হয়। কিন্তুু দ্রব্যের দামের পরিবর্তন আর চাহিদার পরিবর্তন সব সময় একই হারে হয় না। কোন ক্ষেত্রে দামের সামান্য পরিবর্তন হলে চাহিদার ব্যাপক পরিবর্তন হয়। আবার দ্রব্যের দামের ব্যাপক পরিবর্তন হলে চাহিদার সামান্য পরিবর্তন হয়। সুতরাং কোন দ্রব্যের দামের শতাংশিক বা আপেক্ষিক পরিবর্তনের ফলে চাহিদার যে শতাংশিক বা আপেক্ষিক পরিবর্তন হয় তার মাত্রা বা অনুপাতকে চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতা (Price elasticity of demand) বলে।
সূত্রের সাহায্যে চাহিদার দাম স্থিতিস্থাপকতাকে নিচে প্রকাশ করা যায়।
চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা (Income Elasticity of Demand):
পূর্বের অধ্যায়ে আমরা দেখেছিলাম যে, চাহিদার অনেকগুলো নির্ণায়ক আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়ক হলো মূল্য। এ অধ্যায়ে আমরা আলোচনা করেছি, মূল্যের পরিবর্তন হলে চাহিদার পরিবর্তন কী রকম হয়। চাহিদার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়ক হলো আয় (ণ)। আমরা এখন আললাচনা করব, আয়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে চাহিদার পরিবর্তন এবং তার পরিমাপ। ‘ভোক্তার আয়ের শতকরা বা আপেক্ষিক পরিবর্তনের ফলে চাহিদার শতকরা বা আপেক্ষিক পরিবর্তন হয় এ দু’য়ের অনুপাতকে চাহিদার আয় স্থিতিস্থাপকতা (Income Elasticity of Demand) বলে। অর্থাৎ, ভোক্তার আয় পরিবর্তনের ফলে দ্রব্যের চাহিদার যে পরিবর্তন ঘটে, তার পরিমাপক হল আস-স্থিতিস্থাপকতা।
আয় স্থিতিস্থাপকতার সহগ (Coefficient of Income Elasticity of Demand) নিম্নোক্ত সূত্রের মাধ্যমে পরিমাপ করা যায়-
আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য দামের স্থিতিস্থাপকতা এবং চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতার মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব দামের স্থিতিস্থাপকতা এবং চাহিদার আয়ের স্থিতিস্থাপকতার মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)