জনগণনন্দিত একজন সাহসী নেতার কণ্ঠস্বর সহস্র বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী – ভাবসম্প্রসারণ

প্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো আশা করি ভালো আছো, আজকে তোমাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারণ “জনগণনন্দিত একজন সাহসী নেতার কণ্ঠস্বর সহস্র বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী ”। চলো এই ভাবসম্প্রসারণটি পড়ে নেয়।

জনগণনন্দিত একজন সাহসী নেতার কণ্ঠস্বর সহস্র বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী - ভাবসম্প্রসারণ

জনগণনন্দিত একজন সাহসী নেতার কণ্ঠস্বর সহস্র বুলেটের চেয়েও শক্তিশালী ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব: স্বৈরাচারী শাসক-শােষকদের রক্তচক্ষু আর অস্ত্রের ভয়কে উপেক্ষা করে বঞ্চিত ও শােষিত মানুষের অধিকার আদায় করার জন্য জনগণনন্দিত একজন সাহসী যােগ্য নেতার দরকার।

সম্প্রসারিত ভাব: স্মরণাতীত কাল থেকে পৃথিবীতে ক্ষমতাবান ও পেশি শক্তির বলে বলীয়ান মানুষ সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষদের নানা উপায়ে বঞ্চিত করে আসছে। কখনাে মনুষ্যসৃষ্ট কৃত্রিম ভূমিব্যবস্থাপনা ও বণ্টন-নীতির কারণে, আবার কখনাে মুনাফালাভের অপকৌশল হিসেবে সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষদের ঠকিয়ে এরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। অন্যদিকে অনেক রাষ্ট্রে স্বৈরাচারী ও একনায়ক শাসক নাগরিকদের তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে থাকে। কিন্তু নির্যাতিত-নিগৃহীত ও পরাধীন মানুষ ক্ষমতাবান কিংবা শােষকদের লাঞ্ছনা-বঞ্চনাকে সহজে মেনে নেয় নি। অধিকার ও স্বাধীনতা লাভের জন্য তারা সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়, কিন্তু শােষকদের রক্তচক্ষু ও অস্ত্রের ভয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের নিরুৎসাহিত ও হতােদ্যম করে তােলে। এক্ষেত্রে একজন বলিষ্ঠ নেতার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর অত্যাচারী শাসক-শােষকদের সহস্র বুলেটকেও অকার্যকর করে দিতে পারে। তার এ প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর অবলে বলীয়ান শােষকদের শােষণের ভিতকে দুর্বল করে দিতে পারে। তিনি প্রথমে বঞ্চিত জনগণকে অধিকার-সচেতন ও সংঘবদ্ধ করে তাদেরকে অধিকার আদায়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তােলেন।  এমন নেতার ডাকে অত্যাচারী ও শশাষকশ্রেণির রক্তচক্ষু ও অস্ত্রের ভয় উপেক্ষা করে দৃঢ় প্রত্যয়ী মানুষ সাহসিকতার সঙ্গে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। এজন্য সাহসী তরুণদের নেতৃত্বের ভার গ্রহণ করতে হবে এবং নিজের সাহস ও প্রতিবাদী সত্তার দ্বারা জনগণের আস্থাভাজন হতে হবে। 

মন্তব্য: আদর্শ নেতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর শুনে জাতি উদ্বুদ্ধ হতে পারে মাতৃকার কল্যাণে।

আরো পড়ুন: ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ

বিকল্প ১

মূলভাব : শাসক-শোষকদের রক্তচক্ষু আর অস্ত্রের ভয়কে উপেক্ষা করে লাঞ্চিত-বঞ্চিত ও পরাধীন মানুষের অধিকার আদায় করার জন্য প্রয়োজন যোগ্য নেতার। এক্ষেত্রে জনগণনন্দিত একজন যোগ্য ও সাহসী নেতার প্রতিবাদী কন্ঠস্বর শোষকের সহস্র বুলেটের চেয়েও বেশি কার্যকর।

সম্প্রসারিত ভাব : স্মরণাতীত কাল থেকে পৃথিবীতে ক্ষমতাবান ও পেশি শক্তির বলে বলীয়ান মানুষ সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষদের নানা উপায়ে বঞ্চিত করে আসছে। কখনও মনুষ্যসৃষ্ট কৃত্রিম ভূমিব্যবস্থাপনা ও বন্টন – নীতির কারণে, আবার কখনও মুনাফালাভের অপকৌশল হিসেবে সাধারণ ও শ্রমজীবী মানুষদের ঠকিয়ে এরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। অন্যদিকে অনেক রাষ্ট্রে স্বৈরাচারী ও একনায়ক শাসক নাগরিকদের তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করে থাকে। আবার পরাধীনতার নাগপাশে আবদ্ধ জাতি ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা নানা উপায়ে বঞ্চিত হয়ে থাকে। কিন্তু নির্যাতিত – নিগৃহিত ও পরাধীন মানুষ ক্ষমতাবান কিংবা শোষকদের লাঞ্চনা-বঞ্চনাকে সহজে মেনে নেয় না। অধিকার ও স্বাধীনতালাভের জন্যে তারা সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়, কিন্তু শোষকদের রক্তচক্ষু ও অস্ত্রের ভয় অধিকাংশ কন্ঠস্বর অত্যাচারী শাসক-শোসকদের সহস্র বুলেটকেও অকার্যকর করে দিতে পারে। তাঁর এ প্রতিবাদী সত্তা অস্ত্রবলে বলীয়ান শোষকদের শোষণের ভিতকে দুর্বল করে দেয়। তিনি প্রথমে বঞ্চিত জনগণকে অধিকার-সচেতন ও সংঘবদ্ধ করে পরে তাদেরকে অধিকার আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করে তোলেন। এর ফলে নির্যাতনকারী শাসকগোষ্ঠীও এক সময় তাদের কাছে নতি স্বীকার করে।

মন্তব্য : অত্যচারী ও শোষক শ্রেণির রক্তচক্ষু ও অস্ত্রের ভয় উপেক্ষা করে সাহসিকতার সঙ্গে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এজন্যে সাহসী তরুণদের নেতৃত্বের ভার গ্রহণ করতে হবে এবং নিজের সাহস ও প্রতিবাদী সত্তার দ্বারা জনগণের আস্থাভাজন হতে হবে।

আশা করি তোমরা এই ভাবসম্প্রসারণটি বুঝতে পেরেছো। আমাদের সাথেই থাকো।

Leave a Comment