আমাদের সবার ইতিহাস জানা দরকার। তার মধ্যে “‘গ্রামীণ বাংলার সাধারণ জীবনের ছবি ছিন্নপত্রের কোন্ কোন্ চিঠিতে প্রাণবন্ত হয়ে ধরা দিয়েছে।— আলোচনা করো” এই বিষয়টি অবশ্যই জানতে হবে। এটি জানলে আপনার ইতিহাস সম্বন্ধে আরো ধারণা বেড়ে যাবে। আসেন যেনে নেয়।
‘গ্রামীণ বাংলার সাধারণ জীবনের ছবি ছিন্নপত্রের কোন্ কোন্ চিঠিতে প্রাণবন্ত হয়ে ধরা দিয়েছে।— আলোচনা করো
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে খুব সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন, শৈশব থেকে তিনি কেমন করে প্রকৃতির সঙ্গে সম্যক পরিচয় লাভ করেছেন এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যকে একনিষ্ঠ চিত্তে উপভোগ করতে সমর্থ হয়েছিলেন। একদা বর্ষার দিনে শৈশবে ভাবুক বালক লিখেছিলেন ‘জল পড়ে পাতা নড়ে। জীবনের প্রথম ছড়া যেটাকে পরবর্তী জীবনে শৈশবের মেঘদূত নামে আখ্যাত করেছেন। তারপর শৈশব দশা অতিক্রম করে রবীন্দ্রনাথ বাবা দেবেন্দ্রনাথের সান্নিধ্য লাভ করেন এবং দেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। এই ভ্রমণ সূত্রে হিমালয়ের অনন্ত স্নেহময়ী প্রকৃতি দেবীর কোলে নিশ্চিন্ত আশ্রয় নিয়ে ক্ষণে ক্ষণে উপলব্ধি করেছেন পাহাড় পর্বত নদনদী আকাশ বাতাস গাছ-গাছালি প্রভৃতির মাধুর্য। প্রকৃতি সম্পর্কে সূক্ষ্ম একটা অভিজ্ঞতা তাঁর মনে দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। এর পর কবির জীবনে ঘটে গেল একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনা, পিতার কাছ থেকে নির্দেশ পেলেন শিলাইদহের জমিদারি কাজকর্ম দেখাশোনার কাজ। রবীন্দ্রনাথ সাদরে তা গ্রহণ করলেন। জমিদারির সূত্রে পদ্মার বুকে ভাসিয়ে দিলেন বোট, পদ্মার স্রোত, পদ্মার চর, ঝড়বৃষ্টি, মোহময়ী সন্ধ্যা, জ্যোৎস্নাপ্লাবিত রাত্রি একে একে সৌন্দর্য বুভুক্ষু কবির চোখে প্রত্যক্ষ হতে থাকল। তাঁর অন্তরে ধীরে ধীরে জাগতে লাগল প্রকৃতি প্রেম। ছিন্নপত্রের প্রতিটি ছত্রে ছত্রে তাঁর পরিচয় মেলে।
সমুদ্র : ছিন্নপত্রকে অবলম্বন করে যদি রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতি প্রেম সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে যাই তাহলে প্রথমেই দেখতে হবে তিনি কোন্ কোন্ সূত্র অবলম্বন করে এই অনন্ত প্রকৃতিকে প্রত্যক্ষ করেছেন। এই প্রসঙ্গে বলতে হয় সমুদ্রের কথা। ছিন্নপত্রের ১ সংখ্যক পত্রে তিনি এই সমুদ্র সম্পর্কে সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন, সমুদ্রের বুকেই যে প্রকৃতির অখণ্ড রহস্য বাঁধা পড়ে আছে তা এই পত্র থেকে সহজেই অনুমেয়। সমুদ্রবক্ষে বোটের উপর বসে অবিরল বৃষ্টিধারার মধ্যে তিনি যেভাবে সমুদ্রকে দেখেছেন তা সত্যই বিস্ময়কর—“অসহায় অনাবৃত সমুদ্র ফুলে ফুলে ফেনিয়ে ফেনিয়ে সাদা হয়ে উঠেছে।” সমুদ্রের এই উন্মত্ততাকে তিনি সিংহের সঙ্গে তুলনা করেছেন—“আমরা যে সিংহের কেশর ধরে টানচি, অথচ অসহায় সিংহ কিছু বলতে পারছেনা—একবার যদি সমস্ত সমুদ্র ছাড়া পায় তাহলে আর আমাদের চিহ্নমাত্র থাকে না।” সমুদ্রের দুরন্ত তাণ্ডব দেখে তিনি অস্ফুটেই বলেছেন— “একবার চেয়ে দেখুন কী বিপুল বল, তরঙ্গগুলো যেন দৈত্যের মাংসপেশির মতো ফুলে উঠছে।” এ বর্ণনা থেকে বুঝতে বাকি থাকে না লেখক সমুদ্রের স্বরূপ কত নিকট থেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন।
নদী : সমুদ্রের পর রবীন্দ্রনাথ যার প্রতি সর্বদা বিশেষ আসক্তি বোধ করতেন সেই নদীর কথা বলতেই হয়। শিলাইদহে জমিদারের কাজ দেখাশোনার সূত্রে নদীবক্ষে বোটের উপর অবস্থান কালে নদী তাঁর জীবনে দোসর হিসাবে প্রতিভাত হয়ে উঠেছিল। তিনি নানা সময়ে নানারকম ভাবে নদীকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন—নদীবক্ষে সূর্যোদয়, সকালের নদী, দুপুরের স্তব্ধ নদী, সচ্ছসলিলা স্রোতস্বিনী, গ্রীষ্মের ক্ষীণস্রোতা নদী, জ্যোৎস্নালোকে পরিপ্লাবিত নদী, নির্জনে বহতা নদী ইত্যাদি। এ সমস্ত বর্ণনা তাঁর ছিন্নপত্রের অধিকাংশ জুড়ে বিরাজ করছে। যেমন ১৯ সংখ্যক পত্রটিতে নদীতে ভেসে বেড়ানোর স্মৃতিখানি তুলে ধরেছেন—“খুব উঁচু–পাড়ে রাস্তার দুই ধারে গাছপালা লোকালয়—এমন শান্তিময়, এমন সুন্দর, এমন নিভৃত দুই ধারে স্নেহ সৌন্দর্য বিতরণ করে নদীটি এঁকে বেঁকে চলে গেছে— আমাদের বাংলাদেশের একটি অতি পরিচিত অন্তঃপুরচারিণী নদী। কেবল স্নেহ এবং কোমলতা এবং মাধুর্য পরিপূর্ণ। চাঞ্চল্য নেই, অথচ অবসরও নেই।” এছাড়া ১০ সংখ্যক পত্রে নদীতে ভাসমান অবস্থায় অপূর্ব এক সন্ধ্যার বর্ণনা দিয়েছেন—যেখানে নদীর চরই প্রাধান্য পেয়েছে—”প্রকাণ্ড চর–ধূ ধূ করছে—–কোথাও শেষ দেখা যায় না– কেবল মাঝে মাঝে এক এক জায়গায় নদীর রেখা দেখা যায় আবার অনেক সময় বালিকে নদী বলে ভুল হয়।” নদীর এই শুষ্ক নীরস চর দেখে লেখকের মনে হয়”গাছপালা, কুটির সূর্যালোকে আশ্চর্য স্বপ্নের মতো, ঠিক যেন এক পারে সৃষ্টি এবং আরেক পারে প্রলয়। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের চিত্রাকাব্যের ‘সুখ’ এবং মানসী কাব্যের সিন্ধুতরঙ্গ কবিতা দুটির কথা মনে পড়ে যায়। ছিন্নপত্রের নদী সৌন্দর্যের সঙ্গে যাদের ভাব সাজুয্য ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে।
ঝড়, বৃষ্টি : বেশ কয়েকটা বছর পদ্মার সান্নিধ্যে কাটানোর পর বিশ্বপ্রকৃতি নানারূপে রবীন্দ্রনাথের কাছে ধরা দিয়েছিল, প্রকৃতির অনন্ত রূপের মধ্যে বর্ষার ঝড় বৃষ্টি বিশিষ্ট। ছিন্নপত্রের বিভিন্ন জায়গায় যেমন ২৪/25/৪৭/৫৭ ইত্যাদি সংখ্যক পত্রে তিনি এই ঝড় বৃষ্টির চিত্র তুলে ধরেছেন। ২৪ সংখ্যক পত্রে তিনি এক স্থানে লিখেছেন—“কতগুলো ছিন্ন ভিন্ন মেঘ ভগ্ন দূতের মতো সুদূর পশ্চিম থেকে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে এল— তারপর বিদ্যুৎ বজ্র ঝড় বৃষ্টি সমস্ত একসঙ্গে এসে পড়ে একটা তুর্কি নাচন নাচতে আরম্ভ করল।” এই ঝড়ের পর যে মুষলধারে বৃষ্টি পতন তা প্রত্যাশিত। তারই চিত্র পাই ২৫ সংখ্যক পত্রে “জলে স্থল সমান, এমনকি ধানের খেতের উপর এক হাঁটু জল উঠেছে।” ঝড়ের রুদ্রচণ্ডা মূর্তিকে তিনি বিভিন্ন রকমভাবে বর্ণনা করেছেন–৪৭ সংখ্যক পত্রে তিনি বর্ণনা করেছেন—ধুলোয় আকাশ আচ্ছন্ন হয়ে গেল এবং বাগানের যত শুকনো পাতা একত্র হয়ে লাটিমের মতো বাগানময় ঘুরে ঘুরে বেড়াতে লাগল।”…বাগানের সমস্ত গাছপালা পায়ে শিকলি বাঁধা প্রকাণ্ড জটায়ু পাখির মতো ডানা আছড়ে ঝটপট ঝট করতে লাগল।” অনুরূপ একটা চিত্র পাই ৫৭. সংখ্যক পত্রে—মেঘের রুদ্ররূপ সচক্ষে প্রত্যক্ষ করেই তিনি বিস্মিত— “এমন রাগী চেহারার মেঘ আমি কখনো দেখেছি বলে মনে হয় না।” এ সকল বর্ণনা থেকে সহজেই অনুমেয় লেখকের দৃষ্টি কী তীক্ষ্ণ—অনুসন্ধিৎসু।
সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত : জাগতিক নিয়মে বাঁধা দৈনন্দিন জীবনে যা প্রত্যক্ষ করি সূর্যোদয়— সূর্যাস্ত সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বিচিত্র সৌন্দর্যের হদিস পেয়েছেন। বিশেষ করে প্রভাত সংগীত, কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ’ কবিতার কথা এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায়—
“আজি এ প্রভাতে রবির কর।
কেমনে পশিল প্রাণের পর।।”
কোনো একটা প্রভাত সম্পর্কে লেখকের এই অনুভূতির দ্বারস্থ হলে প্রতিদিনকার সকাল এমন নিবিড়ভাবে রূপের ডালি নিয়ে ধরা দেয় তা এর আগে কল্পনা করা যায়নি। ৩৩ সংখ্যক পত্রের এক স্থানে লিখেছেন—“এই ভরা নদীর ধারে বর্ষার জলে প্রফুল্ল নবীন পৃথিবীর উপর, শরতের সোনালি আলো দেখে মনে হয় যেন আমাদের এই নব যৌবনা ধরণিসুন্দরীর সঙ্গে কোনো এক জ্যোতির্ময় দেবতার ভালোবাসাবাসি চলছে।” কী সুন্দর পর্যবেক্ষণ শক্তি, বোধ করি কবির দৃষ্টি না নিয়ে খালি চোখে দেখলে তা কোনোমতেই প্রত্যক্ষ করা সম্ভব হত না। এছাড়া পতিসর থেকে লেখা একটি পত্রে সূর্যাস্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন—“আপন নিভৃত নির্জনতার মধ্যে সিঁদুর পরে বধূর মতো কার প্রতিক্ষায় বসে থাকে ।” কল্পনার যে উদার ব্যাপ্তি আমরা এখানে লক্ষ্য করি, তা আমাদের সত্যই মুগ্ধ করে।
জ্যোৎস্না : কেবলমাত্র কবি সাহিত্যিক ভাবুকেরা জ্যোৎস্না রাতে পরিপ্লাবিত ধরণিকে দেখে মুগ্ধ হন না সাধারণ মানুষের কাছে তার গুরুত্ব অসীম। তবুও কবি বা ভাবুকের দৃষ্টিতে জ্যোৎস্না যেমনভাবে ধরা দেয় তা বড়োই মনোমুগ্ধকর। এই জ্যোৎস্নার বর্ণনা দিতে গিয়ে সাজাদপুর থেকে এক পত্রে লিখেছেন—“একলা বসে বসে আমি যে এর ভিতরে কী অনন্ত শান্তি এবং সৌন্দর্য দেখতে পাই সে আর ব্যক্ত করতে পারিনে।” সত্যই এই অনুপম সৌন্দর্য সুষমা অব্যক্ত হয়েই ধরা দেয়। ৪২ সংখ্যক চিঠিতে এক স্থানে বলেছেন—“ঘুমন্ত চোখ খোলা থাকলে যেমন দেখতে হয়, এই প্রকাণ্ড পূর্ণিমার আকাশ সেইরকম ঈষৎ ঝাপসা দেখাচ্ছে। আবার ৯৯ সংখ্যক পত্রে জ্যোৎস্না রাতের বর্ণনা গভীরভাবে ব্যঞ্জিত হয়েছে— “জ্যোৎস্নায় এই ধূ ধূ শূন্য মাঠ ভারি অপূর্ব দেখতে হয়… গতি নেই, শব্দ নেই, বৈচিত্র্য নেই, প্রাণ নেই—ভারি একটা উদাস মৃত শূন্যতা।” এই বিষণ্ণ উপমা চিত্র কিন্তু পূর্ণিমা রাত্রির প্রতি কবির অনীহা প্রমাণ করে না, ভালোলাগার মহতী মনোভাবেরই পরিচায়ক।
পল্লিবাংলা : প্রকৃতির অসংখ্য রূপের মাঝে যে বিষয়টি মুখ্য হয়ে উঠেছে তা হল পল্লিবাংলার রূপ ও বৈচিত্র্য। কবির ভাষায় বলতে হয়—
“যে আছে মাটির কাছাকাছি
সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি।”
পল্লিবাংলার চিত্র এঁকেছেন তার বিভিন্ন কাব্য কবিতায়। ছিন্নপত্রও তার ব্যতিক্রম নয়। তাঁর ২৭ সংখ্যক পত্রে পাই—“গুটিকতক খোড়ো ঘর, কতকগুলো চাল, শূন্য মাটির দেয়াল, দুটো একটা খড়ের স্তূপ, কুলগাছ, আমগাছ, বটগাছ এবং বাঁশের ঝাড়, গোটা তিনেক ছাগল চরছে, গোটা কতক উলঙ্গ ছেলেমেয়ে…” গ্রামের কী অপূর্ব চিত্র তিনি এর মধ্যে তুলে ধরেছেন। তাঁর ২২ সংখ্যক পত্রে পাই—“দুই ধারে মেয়েরা স্নান করছে, কাপড় কাচছে, এবং ভিজে কাপড়ে এক মাথা ঘোমটা টেনে জলের কলসি নিয়ে ডান হাত দুলিয়ে ঘরে চলেছে—ছেলেরা কাদামেখে জল ছুঁড়ে মাতামাতি করছে।” বলা বাহুল্য রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রের প্রায় সকল পত্রে পল্লিবাংলার এই অপূর্ব চিত্র ফুটে উঠেছে। তাইতো ১৬ সংখ্যক পত্রের অন্তিম লগ্নে তিনি বলেছেন—“…আমি এই পৃথিবীকে ভারি ভালোবাসি।’
সর্বোপরি ছিন্নপত্রে রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতি চেতনা এমন শোভন সুন্দরভাবে প্রকাশ লাভ করেছে যা এক সৌন্দর্যের শীর্ষ শিখরে পৌঁছে দেয়। যে সৌন্দর্যের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে মানুষ। এক কথায়, লেখক তাঁর ছিন্নপত্রে প্রকৃতির সাথে সাথে মানব জীবনের দৈনন্দিন চিত্রগুলি ফুটিয়ে তুলেছেন, যা একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটা অর্থহীন হয়ে পড়ে। প্রকৃতির রূপ রস গন্ধ স্পর্শ এবং সামগ্রিক রূপ প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে মানব জীবনকেই কেন্দ্র করে, তেমনি এই মানব জীবন ধীরে ধীরে পরিণতির দিকে এগিয়ে যায় প্রকৃতি দেবীর আদর ও লালিত্যে। ৯০ সংখ্যক পত্রে তিনি আরও স্পষ্ট করে তুলেছেন এই ঐকতান সম্পর্কে। “ওপারে তরুমধ্যগত গ্রাম এবং এপারের অনতিদূরবর্তী লোকালয় মৃদু কর্ম প্রবাহ নিরীক্ষণ করে বেশ একটুখানি আনন্দে আছি।” তেমনি ৩৮ সংখ্যক পত্রে বলেছেন “পাড়াগাঁয়ে এলে আমি মানুষকে স্বতন্ত্রভাবে মানুষ ভাবে দেখিনে।” অর্থাৎ প্রকৃতির সঙ্গে মানুষ যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। এদের আলাদা আলাদা অস্তিত্ব থাকলেও মূলে কিন্তু এক। এই কারণেই লেখকের কাছে প্রকৃতি এমন জীবন্ত রূপে ধরা দিয়েছে।
আশা করি আপনারা এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যদি বুঝতে পারেন তাহলে আমাদের অন্যান্য পোস্ট ভিজিট করতে ভুলবেন না।