স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?

স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য: আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আপনারা নিশ্চয় স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য খোজার চেষ্টা করছেন। তাহলে আপনার একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনারা পেয়ে যাবেন সঠিক স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?

স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?

স্বল্পকালীন উৎপাদন ব্যয়দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়
স্বল্পকাল বলতে এমন একটি সময়কে বুঝায় যখন কমপক্ষে একটি উৎপাদনের উপকরণ স্থির থাকে এবং এর কোন পরিবর্তন করা যায় না।অন্যদিকে দীর্ঘকাল বলতে এমন এক সময়কে বুঝায়, যে সময়ে উৎপাদনের সকল উপকরণ পরিবর্তন করে উৎপাদনের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করা সম্ভব।
স্বল্পকালীন ব্যয়ের দুটি অংশ যথা- (ক) স্থির ব্যয় ও (খ) পরিবর্তনশীল ব্যয়।অন্যদিকে দীর্ঘকালীন সময়ে স্থির ব্যয় বলে কিছু থাকে না। সকল ব্যয়ই পরিবর্তনশীল ব্যয়।
সাধারণত: স্বল্পকালে ফার্মের আকার ও আয়তন ছোট বা বড় করা যায় না অর্থাৎ পরিবর্তন করা যায় নাঅন্যদিকে সাধারণত: দীর্ঘকালে ফার্মের আকার ও আয়তন ছোট বা বড় করা যায় অর্থাৎ পরিবর্তন করা যায়।
স্বল্পকালীন ব্যয়ের সমীকরণ হলো- STC = TFC + TVC ।  অন্যদিকে দীর্ঘকালীন ব্যয়ের সমীকরণ হলো- LTC = LTVC ।

স্বল্পকালীন উৎপাদন ব্যয়

স্বল্পকাল বলতে এমন একটি সময়কে বুঝায় যখন কমপক্ষে একটি উৎপাদনের উপকরণ স্থির থাকে এবং এর কোন পরিবর্তন করা যায় না। যেমন- মেশিনারি, ফার্মের আয়তন, বিল্ডিং, প্রযুক্তি ইত্যাদি। কিন্তুু উৎপাদন কার্যক্রমে নিয়োজিত পরিবর্তনীয় উপকরণ সমূহের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটিয়ে উৎপাদনের হ্রাস-বৃদ্ধি করা সম্ভব।

যেমন- কাঁচামাল, শ্রমিক, মজুরি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি পরিবর্তনীয় উপকরণ হ্রাস-বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করা সম্ভব। স্বল্পকালে পরিবর্তনীয় উপকরণগুলোর জন্য যে ব্যয় হয় তাকে স্বল্পকালীন উৎপাদন ব্যয় বলে। স্বল্পকালে উৎপাদনের পরিমাণ যাই হোক না কোন ফার্মকে স্থির উপকরণের ব্যয় বহন অব্যাহত থাকে। স্বল্পকালে উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও স্থির ব্যয় বহন অব্যাহত থাকে। এজন্য স্বল্পকালীন ব্যয়ের একটি বড় অংশ হলো স্থির ব্যয়।

দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়

দীর্ঘকাল বলতে এমন এক সময়কে বুঝায়, যে সময়ে উৎপাদনের সকল উপকরণ পরিবর্তন করে উৎপাদনের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করা সম্ভব। দীর্ঘকালে ফার্মের স্থির ব্যয় বলতে কিছু থাকে না। উৎপাদনের সকল ব্যয়ই পরিবর্তনশীল ব্যয় হিসেবে বিবেচিত হয়।

দীর্ঘকালে ফার্মের স্থির ব্যয়ের পরিবর্তন সাধন করে ফার্মের আকার ও আয়তন বাড়ানো বা কমানো সম্ভব। সংক্ষেপে বলা যায়, স্বল্পকালে ফার্মের স্থির ব্যয় ((Fixed Cost) ও পরিবর্তনীয় ব্যয়ের (Variable Cost) সমষ্টি হলো মোট উৎপাদন ব্যয়। কিন্তুু দীর্ঘকালে ফার্মের স্থির ব্যয় বলে কিছু থাকে না। সকল ব্যয়ই হলো পরিবর্তশীল ব্যয়।

আজকে আমরা দেখলাম কিছু পার্থক্য স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে। এইসব পার্থক্য আপনারা যেকোনো জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। এই সব স্বল্পকালীন ও দীর্ঘকালীন উৎপাদন ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য, বই থেকে সংগ্রহ করা। আশা করি এই পোস্টটি থেকে অনেক উপকারিত হয়েছেন। অনুগ্রহ করে আমাদের পোস্টগুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আসসালামু আলাইকুম:)

Leave a Comment